আলো তৈরি করছেন কারিগররা

Durga Puja 2024- RG Kar case: আরজি করের আবহে দুর্গা নয় কালীতেই ভরসা রাখছেন চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা

হুগলি: আরজি কর আবহে দুর্গাপুজোয় ভাটা পড়েছে চন্দননগরের আলোক শিল্পে। কাজ বাতিল হয়েছে অনেক বড় পুজো কমিটিগুলির। যার ফলে দুশ্চিন্তার ভাঁজ চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের কপালে। তবে দুর্গাপুজোয় না হলেও কালীপুজোর দেখেই তাকিয়ে চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা।

আলোর শহর চন্দননগর। কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দুর্গাপুজোর আলোর চমক মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা। মাঝে করোনার জন্য দু’বছর মন্দার বাজার কেটেছিল আলোকশিল্প মহলে। তবে আবারও যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা, সেই সময় এই বছর আরজি কর আবহে পুজো ছোট করেছে অনেক নামিদামি পূজা কমিটি। যার প্রভাব পড়েছে চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের উপর। অন্যান্য বছর দুর্গাপুজোয় যে পরিমাণ কাজ থাকে তার থেকে অনেকটাই কাজ কমেছে আলোক শিল্পীদের। অনেক আলোক শিল্পীদের কাজ এসে কাজ বাতিল হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে তাদের শ্রমিকদের উপরেও।

আরও পড়ুন: ভাত খাচ্ছিলেন স্ত্রী, সেই সময়ই গুলি করে খুন করল স্বামী! সাক্ষী মাতৃহারা পাঁচ বছরের সন্তান

এই বিষয়ে এক আলোক শিল্পী দেবনাথ মল্লিক বলেন, “এই বছর তাদের আরজিকর ঘটনার জন্য দুটি কাজ বরাত আসার পরে বাতিল হয়েছে। দুটি কাজ মিলিয়ে তাদের মোট খতির পরিমাণ প্রায় নয় লক্ষ টাকা। যার প্রভাব পড়েছে তাদের শ্রমিকদের উপর ও। প্রতিবছর পুজোর সময় ২৫ জন শ্রমিক নিয়ে তারা কাজ করতেন। এই বছর কাজ বাতিল হয়ে যাবার ফলে ২৫ জনের জায়গায় ১৫ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ চলছে। বাকি ১০ জনকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে কাজ না থাকার জন্য। তারাও এখন তাকিয়ে রয়েছেন কালীপুজোর দিকে। যদি কালীপুজোতে আগের মতো বরাত আসে তাহলে আবারও কাজে ফেরাতে পারবেন তাদের শ্রমিকদের।

আরও পড়ুন: দিনে দিনে সস্তা হচ্ছে বাংলাদেশের টাকা, জানেন ভারতের ১০০ টাকা মানে বাংলাদেশের কত?

আলোক শিল্পের মন্দার বাজার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুধবার বন্যা কবলিত বলাগড় পরিদর্শনে এসে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “উৎসব শুধু আনন্দের নয় সেখানে বহু মানুষের রুজি রুটি জড়িয়ে রয়েছে। চন্দননগরের আলোর বরাত কমেছে কাজের। যার ফলে একেবারে নিচু তলার শ্রমিকদের পেটে টান পড়েছে। তাদের কথাটাও ভাবা উচিত। ন্যায় বিচার ও সুবিচারের দাবিতে সকলেই পথে নেমেছে। তবে আমাদের এই বিষয়টিও মনে রাখতে হবে যে উৎসবের সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের রুজি রোজগার জড়িয়ে রয়েছে তাদের কথা মাথায় রাখা উচিত”।