প্রতীকী ছবি

Bangla: স্ত্রী থাকতেও প্রেমিকাকে ঘরে তুললেন এক ব্যক্তি, তারপরই সব শেষ! ভয়ঙ্কর ঘটনা কোচবিহারে

জামালদহ: জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭২ ঠুনকিরঝাড় এলাকা। এখানকার দীর্ঘ সময়ের বাসিন্দা বছর ৩১ এর অশ্বিনী বর্মন। দু বছর আগে তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান। তাঁদের একটি তিন বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে। এরপর এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অশ্বিনী। ঘটনায় সেই মহিলা বিয়ের দাবিতে অশ্বিনীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন। স্থানীয়দের দাবি মতো অশ্বিনী তাঁকে নিজের ঘরে আশ্রয় দেন। এবং বিয়ের জন্য রাজি হন। তবে পরস্ত্রীকে ঘরে তুলতেই রীতিমতো খুন হতে হল অশ্বিনী বর্মনকে।

রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার জামালদহ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: কোনও ছাড় নয়, দলের জন্য কঠিন ‘স্ট্র্যাটেজি’ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের! নিশানায় আসলে কারা?

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশ্বিনী বর্মন ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বছর ছয়েক আগে তাঁর বিয়ে হলেও দুই বছর আগে তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যান পারিবারিক অশান্তির জেরে। তাঁদের এক তিন বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে। এরপরই একটি বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অশ্বিনী। সেই মহিলা বিয়ের দাবিতে অশ্বিনীর বাড়ির সামনে ধর্নায়ও বসেন। স্থানীয়দের দাবিমতো অশ্বিনী তাঁকে নিজের ঘরে আশ্রয় দিতে বাধ্য হন। তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই খুন করা হয় অশ্বিনীকে।

মৃতের মা মীনা বর্মন জানান, “ওই মহিলার আগের স্বামী এই খুনের ঘটনা ঘটাতে পারেন। মুখে কালো কাপড় বাঁধা দুই ব্যক্তি ধারালঅস্ত্র নিয়ে ঘরের সিদ কেটে ভেতর প্রবেশ করে। এরপর ধস্তাধস্তি ও চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ পেয়ে বাড়ির মানুষেরা সেই দুই ব্যক্তির পিছু ধাওয়া করলেও তাঁরা পালিয়ে যায়। তাই তাঁদের পরিচয় জানতে পারা যায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় একটি খুনের মামলা রজু করা হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এছাড়া গোটা ঘটনার তদন্তের স্বার্থেই অশ্বিনীর বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া মহিলাকে আটক করেছে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনার পরই খুনের কারণ নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

—— Sarthak Pandit