পূর্ব বর্ধমান: সামনেই দূর্গাপুজো। আর তার আগেই জমে উঠল তাঁতের হাট। কমবেশি এই পুজোর দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করে থাকেন অনেকেই। সেরকমই এবার পুজোকে সামনে রেখে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছে সমস্ত ব্যবসা। পুজো আসতে আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। সেরকমই আশ্বিন মাসের শুরুতে জমে উঠেছে পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের সমুদ্রগড়ের তাঁত কাপড় হাট। এই হাটে বর্তমানে রীতিমত উপচে পড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। দূর-দূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছে পাইকারা। জমজমাট ভাবে চলছে বিক্রিবাটা। এক এক দিনে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। পুজোর আগে হাট জমে ওঠার কারণে খুশি হয়েছেন বিক্রেতারাও। এই প্রসঙ্গে দীপক দাস নামের এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, “বিক্রি ভালই হচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে খরিদ্দাররা আসছেন। আশা করছি পুজোর আগে আরও বিক্রি বাড়বে।”
সমুদ্রগড়, ধাত্রীগ্রাম, পূর্বস্থলী, শ্রীরামপুর, কালনা এই সকল এলাকায় বসবাস করেন তাঁতিরা। পূর্ব বর্ধমানের এই সকল এলাকায় প্রায় কিছু না হলেও হাজার হাজার তাঁতি বসবাস করেন। তাদের উৎপাদিত কাপড় এই হাটে আসে। সেইসব কাপড় অন্যান্য জায়গার থেকে এখানে অনেক কম দামে পাওয়া যায়। কারণ এখানে উৎপাদন এলাকা রয়েছে, তাই সরাসরি উৎপাদন হয়ে হাটে চলে আসে । ভিন রাজ্যের পাইকাররাও এখানে এসে কাপড় কিনে নিয়ে যান। পুজোর আগে আধুনিক নকশার শাড়িও প্রস্তুত করেছে তাঁতিরা।
এবছর সবথেকে বেশি চাহিদা রয়েছে কম দামের জামদানি শাড়ির। এই জামদানি শাড়ির চাহিদা কমে গিয়েছিল একসময়। কিন্তু আবার নতুন করে চাহিদা বাড়ছে এই জামদানি শাড়ির। এই প্রসঙ্গে হাটের মালিক সুবীর কর্মকার জানান, “কম দামের জামদানি শাড়ির ভাল চাহিদা রয়েছে। বিক্রিও ভালই হচ্ছে। যেহুতু এটা তাঁতিদের এলাকা সেকারণে কম দামে এখানে জামদানি পাওয়া যাচ্ছে।”
মালদা, শিলিগুড়ি, হুগলি, নামখানা থেকেও পাইকাররা পূর্ব বর্ধমানের এই হাটে কাপড় কিনতে আসে। পুজোর আগে প্রত্যেকবছর যেন জমজমাট হয়ে ওঠে পূর্ব বর্ধমানের এই হাট। সেরকমই এবছরও এই হাটে জোরকদমে চলছে বিক্রিবাটা। পুজো যেরকম এগিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে এই হাটে। আগামী দিনে আরও ভাল বেচাকেনা হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী