মন্ত্র পাঠ এবং মূর্তি তৈরি

Miracle Boy: খুদে বালকের দারুণ কাণ্ড, তার কচি হাতেই প্রাণ পায় প্রতিমা, মন্ত্রোচ্চারণে তুষ্ট হন দুর্গতিনাশিনী, চিনে নিন এই মিরাকেল বালককে

বাঁকুড়া:  সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সংকেত সেন। বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহির বাসিন্দা, বালক সংকেতের প্রতিভা আপনাকে অবাক করবে। শুদ্ধ উচ্চারণে মন্ত্র পাঠ করে মা দুর্গার মূর্তি তৈরি করছে ডিএভি পাবলিক স্কুলের ক্লাস সেভেনের ছাত্র সংকেত। এই ছেলের কান্ড দেখে এক প্রকার অবাক হয়েছেন কেন্দুয়াডিহি উচ্চ বিদ্যালয় এর গণিতের শিক্ষক সম্পর্কে সংকেতের বাবা নিতাই সেন এবং পেশায় নৃত্যশিল্পী সংকেতের মা মৌমিতা সেন। দাদু তুলসী চরণ সেনের কাছে মন্ত্র পাঠ করা শিখেছে সংকেত।

মাটির মা দুর্গা বিগত পাঁচ বছর ধরে বানায় সে। নিজের হাতেই সব সরঞ্জাম জোগাড় করে সংকেত। তারপর সেই মূর্তিকেই পুজো করে ক্লাস সেভেনের ছাত্র সংকেত। সঙ্গে রয়েছে মন্ত্র পাঠ।পুঁথিগত বিদ্যা, ভাষার শিক্ষা এবং খেলাধুলো বাদ দিয়েও বাচ্চাদের বিকাশ নির্ভর করে তাদের নিজস্ব চিন্তাধারার উপরে। সংকেত সেন সেই চিন্তাধারা প্রদর্শন করছে, বিগত কয়েক বছর। দুর্গা পুজো মানে বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে মজা করা, খাওয়া-দাওয়া এবং ঠাকুর দেখা।

আরও পড়ুন – Food Festival in School: বই আজ তোলা থাক, স্কুলে স্টল ফুচকা, ফিশ ফিঙ্গার, মোমো, বিন্দাস খাওয়াদাওয়ায় খুশি

তবে বাঁকুড়ার ক্লাস সেভেনের এই ছাত্রের দুর্গাপূজা শুরু হয় প্রায় ১৫ দিন আগে থেকে মূর্তি তৈরির মাধ্যমে। তারপর সেই মূর্তি পূজিত হন সংকেতের বাড়িতেই, তার হাতে। বিষয়টি জানাজানি হতে, অবাক হয়েছেন প্রতিবেশীরা, অবাক হয়েছেন সংকেতের শিক্ষক শিক্ষিকারাও। এমনকি সংকেত এর মন্ত্র পাঠ এবং পুজো দেখতে তাদের বাড়িতে ভিড় জমান পরিচিতরা।

ছোট ছেলে, প্রচেষ্টা শেষ নেই। ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্র হলেও, বাংলা এবং সংস্কৃত মন্ত্র পাঠে পারদর্শীহতে চায় সে। সেই কারণেই বিভিন্ন ভিডিও এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার করে সঠিক উচ্চারণ শিখে নেয় বারবার। একপ্রকার বলা চলে, দাদু তুলসীচরণ সেনের কাছে নিজস্ব তাগিদের ওপর ভর করে বাঁকুড়ার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সংকেত তার আধ্যাত্মিক ভাবধারার প্রসার শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই।

Neelanjan Banerjee