শিলিগুড়ি : ইউটিউব দেখে শিখে মাত্র ১২ বছর বয়েসে দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে গোটা শহরকে অবাক করছে শিলিগুড়ির খুদে । শিলিগুড়ির ভানু নগরের বাসিন্দা স্বস্তিক দাস। সেবক রোডের সারদা শিশু তীর্থ স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সে। পড়াশোনার ফাঁকে বসে বসে করে চলেছে মূর্তি বানানোর কাজ।
তার হাতের কাজ এত নিখুত যে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। এঁটেল মাটি, বাঁশের টুকরো হাতে রং তুলি নিয়ে তিনি তৈরি করে ফেলেছেন মা দুর্গার মূর্তি৷ একইসঙ্গে রয়েছে লক্ষী,গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক। তবে অবাক করা বিষয় হল এগুলি সে সবটাই শিখেছে ইউটিউব দেখে।
আরও পড়ুন: হু হু করে ঝরবে ওজন, দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদ হজমের সমস্যা, প্রতিদিন খান এই ম্যাজিক পানীয়
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ইউটিউব দেখে যে কেউ এত সুন্দর সৃষ্টি করতে পারে তা স্বস্তিকের তৈরি দুর্গামূর্তি না দেখলে হয়তো বিশ্বাস হবে না। সে জানায়, ও যখন ঠাকুমার সঙ্গে পুজো দেখতে বেরোত, ঠিক তখন মূর্তিগুলো দেখে ও অবাক হয়ে যেত৷ কি করে এই মূর্তি তৈরি হয় জানতে ভীষণ ইচ্ছা করতো।
আরও পড়ুন:আরশোলার যম, রান্নাঘরে রাখলেই পালানোর পথ পাবে না এই ঘিনঘিনে প্রাণী
সেই কৌতুহল থেকেই বাড়িতে এসে ইউটিউব ঘাঁটতেন এই ছোট্ট খুদে। ব্যস, তারপর একদিন মাটি, বাঁশের টুকরো নিয়ে বসে পড়া। রোজ স্কুল থেকে এসে যে ফাঁকা সময় টুকু পায় সেই সময়টুকুতে স্বস্তিক মূর্তি তৈরি করে৷ অবশেষে যখন দুর্গামূর্তি পুরোপুরি গঠন হয়ে যায় তা দেখে অবাক সকলেই।
স্বস্তিক বলে,’ ঠাকুরের প্রতি আমার ভীষণ ভালোবাসা রয়েছে। আমার বাড়িতে গোপাল ঠাকুর রয়েছে৷ আমি রোজ পুজো দিই। এর আগে যখন দুর্গাপুজো দেখতে বেরোতাম তখন থেকেই মূর্তি তৈরির ইচ্ছা মনে আসে। তারপর আমি এই মূর্তি বানানোর কাজ শুরু করে দিই। বাবা আমাকে সমস্ত রকম সাহায্য করে৷ আমি যখনই যে জিনিসটাই চেয়েছি তখন সেভাবেই আমাকে সেই জিনিসটা দিয়েছে। তাই সেরকমভাবে কোন সমস্যা হয়নি।’
স্বস্তিকের ইচ্ছে রয়েছে আগামী দিনে আরো ভাল কিছু তৈরি করার।’
অনির্বাণ রায়