পাঁচমিশালি Amarjeet Sada The Serial Killer: নিজের বোন সহ নৃশংস সব খুন! বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী সিরিয়াল কিলার ভারতেরই! কোথায় গেল অমরজিৎ? Gallery October 6, 2024 Bangla Digital Desk পটনা: আমরা সাধারণত শিশুদের সারল্যের প্রতিমূর্তি বলে মনে করি কেন না তাদের মন খুব নরম হয়। কিন্তু এ যাবৎ কাল এমনও কিছু ঘটনা ঘটে গিয়েছে যাতে দেখা গিয়েছে যে শিশুরা জঘন্যতম অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থেকেছে। বিহারের মুঙ্গেরে বসবাসকারী অমরজিৎ সাদা তেমনি এক শিশু অপরাধী। অত্যন্ত নিষ্ঠুর চরিত্রের এই কিশোর ভয়ঙ্কর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। মাত্র আট বছর বয়সে তিনটি খুন করেছিল সে। শুধু খুন বললে কিছুই বলা হয় না, রীতিমতো ঠান্ডা মাথায় অত্যন্ত নারকীয় ভাবে ওই খুন করা হয়। এত নৃশংসভাবে এই সব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল যা শুনলেও যে কারও বুক কেঁপে উঠবে। কিন্তু পরবর্তীতে ওই অপরাধী স্বীকার করে যে, খুন করতে গিয়ে তার একবারও হাত কাঁপেনি। সে না কি সকলকেই খুব সহজে হত্যা করেছিল। অমরজিতের হত্যাতালিকায় নাম ছিল তার নিজেরই দুই আত্মীয়ের। এর মধ্যে একজনের বয়স ছয় বছর এবং অন্যজন তার নিজের আট মাস বয়সী বোন। এই দু’জন ছাড়াও অমরজিৎ প্রতিবেশীর ছয় মাসের মেয়েকেও হত্যা করেছিল। খুশবু ছিল তার সবচেয়ে কম বয়স্ক শিকার। খুশবুকে পাথর মেরে হত্যা করেছিল অমরজিৎ। অবশ্য খুশবুকে খুনের কথা তার মায়ের সামনেই স্বীকার করেছিল অমরজিৎ সাদা। এর পরই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যেখানে মেন্টাল এক্সপার্টরা কেস স্টাডি করে তার ব্যাপারে অনেক কিছু জানিয়েছেন। গ্রেফতার হওয়ার সময় অমরজিৎ সাদার বয়স ছিল মাত্র আট বছর। তার জন্ম ১৯৯৮ সালে। পরিবারের দুই সদস্য ছাড়াও প্রতিবেশীর মেয়েকে হত্যা করার দায়ে পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। ২০০৬ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যেই সে পর পর তিনটি খুন করে। তখন তার বয়স ছিল সাত থেকে আটের মধ্যে। দ্য মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বয়সে তিনটি খুনের কারণে অমরজিৎ সাদার নাম বিশ্বের কনিষ্ঠতম সিরিয়াল কিলারের তালিকায় উঠে এসেছে। ভারতের আইন অনুযায়ী, ১৮ বছর বয়সের আগে সংঘটিত অপরাধের জন্য কোনও নাবালককে শাস্তি দেওয়া যায় না। এই কারণে অমরজিৎ সাদাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে খালাস পেয়েছে অমরজিৎ সাদা। বর্তমানে এই সিরিয়াল কিলার এখন কোথায় তা কেউ জানেন না। অমরজিৎ তার জবানবন্দিতে জানিয়েছিল, সে যখন কাউকে হত্যা করত তখন তার কষ্ট দেখতে খুব ভাল লাগত। রক্তপাত দেখা ছাড়া তার অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।