পাঁচমিশালি Viral News: মাথা কেটে রাখা কাঁচের বোতলে, এই মানুষটিকে চেনেন? যা করেছেন, গোটা বিশ্ব আজও শিউরে ওঠে Gallery April 15, 2024 Bangla Digital Desk মাদ্রিদ: পৃথিবীর একাধিক সিরিয়াল কিলার-এর ভয়ঙ্কর গল্প আপনারা নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। অনেকের কথা হয়তো পড়েছেন। কিন্তু আজ আমরা এমন এক ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলারের গল্প বলতে চলেছি যার কথা শুনলে চমকে উঠবেন। ১৮২ বছর পরেও তার কথা উঠলে মানুষ ভয় পেয়ে যায়। যখনই তার কথা বলা হয় তখনই আতঙ্ক ছড়ায়। টাকা রোজগারের লোভে সে নিষ্ঠুরতরা সব সীমা অতিক্রম করেছিল। তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তার মাথা এখনও সংরক্ষিত করা রয়েছে। পর্তুগালের সিরিয়াল কিলার ডিয়োগো আলভেসের গল্প বলব আজ। ১৮১৯ সালে স্পেনের গ্যালিসিয়া শহরে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিল সে। কাজের সন্ধানে অনেক দিন ঘুরে অবশেষে পর্তুগালের লিসবন সিটিতে পৌঁছয়। কিন্তু সেখানেও কাজ জোটেনি তার। এমন অবস্থায় সে অপরাধের পথ ধরে। শস্য ও সবজি বিক্রি করে বাড়ি যাওয়া কৃষকদের লুটপাট শুরু করে সে। একটি সেতু ঘিরে তার ঘাঁটি তৈরি হয়। সেই জায়গাটাকে সে অপরাধের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেয়। সেখান দিয়ে যাতায়াতকারীদের টার্গেট করতে শুরু করে সে। ডিয়োগো পরে এতটাই হিংস্র হয়ে ওঠে যে লুটপাটের পর সে মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা শুরু করে। হত্যার পর ২১৩ ফিট উঁচু সেতু থেকে লাশ জলে ফেলে দিত সে। ১৮৩৬ থেকে ১৮৩৯ সাল পর্যন্ত সে প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করেছিল। প্রতিবারই পুলিশ খুনের ঘটনাগুলিকে আত্মহত্যার মামলা বলে বন্ধ করে দিত। পুলিশ মনে করত, আর্থিক অনটনের কারণে কৃষকরা আত্মহত্যা করছে। ব্রিজের নিচে পাওয়া কয়েকজনের দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশের হুঁশ উড়ে যায়। তাদের গায়ে গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল। এর পরই সন্দেহ হয় পুলিশের। কারণ এমন গভীর চিহ্ন অস্ত্র দিয়ে হামলার পরই হতে পারে। পুলিশ তদন্ত শুরু করলে কয়েকদিনের মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে যায়, কৃষকদের হত্যার পরই সেতু থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছে। খুনির খোঁজে পুলিশ হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকে। পুলিশ খোঁজ শুরু করে। এদিকে ডিয়োগো মাটির নিচে ডেরা করে গা ঢাকা দেয়। কিছুদিন লুটপাট বন্ধ করে সে নিজের দল গঠন করেন। সেই দলের অধিকাংশই ছিল দরিদ্র পরিবারের সন্তান। শহরে বসবাস করা ধনী পরিবারগুলোকে টার্গেট করতে শুরু করে ডিয়োগো। প্রথমে রেইকি করত, তার পর লুটপাট করে মানুষ খুন করে পালিয়ে যেত। এরপর পুলিশের ওপর চাপ বেড়ে যায়। এদিকে সে তার দলবল নিয়ে একজন বিখ্যাত ডাক্তারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে হত্যা করে। সেই খুনের পরই পুলিশ রাস্তা আটকে তাকে আটক করে। ডিয়োগো নিজের অপরাধ স্বীকার করে। ডিয়োগো জানায়, সে কতজনকে হত্যা করেছে সেটা তার মনেই নেই। ১৮৪১ সালে ডিয়োগোকে তার অপকর্মের জন্য ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে ফ্রেনোলজি অধ্যয়নের প্রচলন ছিল। তখন মানুষের মন অধ্যয়ন করা হত। বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তারা ডিওগোর মন অধ্যয়ন করবেন। অপরাধীরা কীভাবে চিন্তা করেন তা খুঁজে বের করা হবে। সেই কারণে ফাঁসির পর ডিয়োগোর মাথা কেটে লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করা হয়। তার মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করে অবশ্য বলা যায় না। তবে এত বছর পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মাথা একইভাবে রাখা রয়েছে।
পাঁচমিশালি America: ৯৩টা মৃতদেহ, কোনও চিহ্ন নেই, আসলে খুন! আর খুনি? পৃথিবীর ‘সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার’! Gallery April 11, 2024 Bangla Digital Desk ভাবতে পারছেন, ৯৩ টি খুন! মার্কিন (USA) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফবিআইয়ের খাতায় ‘সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার’ হল স্যামুয়েল লিটল। কিন্তু ৯৩ টি খুনে স্যামুয়েলকে সাজা ভোগ করতে হয়েছে মাত্র ৬ বছর। ২০১৪ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর ২০১৬ সালেই প্রাণ হারান আমেরিকার ‘সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার।’ স্যামুয়েল যাঁদের খুন করত তাঁদের শরীরে কোনও ক্ষতচিহ্ন থাকত না। আর তার শিকারের বেশিরভাগই এমন মহিলা যাঁরা মাদক সেবন করতেন কিংবা দেহব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। স্যামুয়েলের হাতে খুন হওয়া এমন ব্যক্তিও আছেন যাঁর মৃত্যুর কারণ এখনও জানতে পারেননি মার্কিন গোয়েন্দারা। ওহিওয় জন্মের পর হাইস্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই লেখাপড়া শিকেয় তুলে দেয় স্যামুয়েল। এরপর দোকানলুট বা চুরি করেই মদ্যপান, ড্রাগ সেবন করত স্যামুয়েল। ১৬ বছর বয়সেই পুলিসের খাতায় তার প্রথম নামে ওঠে। ১৯৭০ সাল থেকে ২০০৫ সাল, অর্থাৎ ৩৫ বছরে তার হাতে খুন হয়েছেন ৯৩ জন। ১৯৫৬ সালেই প্রথম শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছিল স্যামুয়েলের। তখন অবশ্য তার নামের আগে সিরিয়াল কিলার তকমা লাগেনি। তখন স্যামুয়েলের অপরাধ বলতে ছিল লুট, জালিয়াতি। আশির গোড়ায় স্যামুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে মিসিসিপি ও ফ্লোরিয়াড নারীহত্যার। কিন্তু মৃতদেহে নেই কোনও ক্ষতচিহ্ন। প্রমাণের অভাবে দোষী সাব্যস্ত হয়নি স্যামুয়েল লিটল। এরপর একই পদ্ধতিতে নাগাড়ে খুন। বারবার পুলিসের ধরাছোঁয়ার বাইরে স্যামুয়েল লিটল। ২০১৪ সালে তাকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই গ্রেফতার করে। তখন কারাগারে বসেই নিজের কৃতকর্মের কথা শোনায় আমেরিকার ‘সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার।’ খুন হওয়া যেসব ব্যক্তির পরিচয় পুলিশ খুঁজে বের করতে পারেনি, তাঁদের নাম-পরিচয় জানায় স্যামুয়েল। জেরায় স্বীকার করে নেয় ৫০-এর বেশি খুন করেছে সে। তবে এফবিআইয়ের খাতায় তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ৯৩। ২০১৪ সালে সাজা ঘোষণা হয় স্যামুয়েলের। তখন তাকে ৩ দফায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন মার্কিন বিচারকরা। কিন্তু ৬ বছর সাজা ভোগ করেই প্রাণ হারাল স্যামুয়েল। ২০০৫ সালে খুন বন্ধ করার পরও পুলিসের নাগালে আসেনি সে। অভিনব পদ্ধতিতে খুন করায়, একাধিক ঘটনায় খুনের কারণই খুঁজে বের করতে পারেননি গোয়েন্দারা। কেউ কেউ মনে করেন প্রাক্তন মুষ্টিযোদ্ধা স্যামুয়েল এমনভাবে খুন করত, যেখানে ছুরি বা বন্দুকের প্রয়োজনই পড়ত না। ফলে একাধিক ঘটনার মৃত্যুর কারণ হিসাবে উঠে আসত মাদক সেবন বা দুর্ঘটনার তত্ত্ব। ৯৩ টা খুনের একাধিক মৃত্যুর কারণ যেমন ধোঁয়াশায়, তেমনই স্যামুয়েলের মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। সে দেশের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, কয়েক দিন ধরে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিল স্যামুয়েল।
পাঁচমিশালি Cyanide Mallika: বীভৎস ভাবে হত্যা! সাত-সাতজন মহিলাকে খুন, শিউরে ওঠে গোটা দেশ! কে এই সায়ানাইড মল্লিকা? Gallery April 7, 2024 Bangla Digital Desk সায়ানাইড মল্লিকা। এই নামেই তাকে চিনেছিল গোটা দেশ। এক সাধারণ পরিবারের মেয়ে। অভাব ছিল যার নিত্যসঙ্গী। আর সেই অভাব তাকে এমন কাজ করিয়েছিল, আঁতকে উঠেছিল গোটা দেশ। অভাবের সংসারেই তাঁর জন্ম। আবার তাঁর বিয়েও হয়েছিল অভাবের এক সংসারে। স্বামী দর্জির কাজ করতেন। সংসারের অনটন দূর করতে তাঁকেও পরিচারিকার কাজ করতে হত। তবে সেই কাজের জন্য তিনি হীনমন্য়তায় ভুগতেন। কেডি কেম্পাম্মা। কর্নাটকের কগ্গলীপুরার বাসিন্দা। পরে আইনের চোখে তাঁর নাম হয়েছিল সায়ানাইড মল্লিকা। সাধারণ মহিলা থেকে সিরিয়াল কিলার হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দেশের প্রথম মহিলা সিরিয়াল কিলার। তার কাণ্ড শুনে শিউরে উঠেছিল গোটা সমাজ। বিত্তশালীদের পরিবারে পরিচারিকার কাজ করতে যেত কেডি। বিত্তশালীদের জীবনযাপন দেখে নিজেকেও সেভাবেই সাজাতে চেয়েছিল সে। তবে পরিচারিকার কাজ করে তা কী আর হয়! আর তখনই নিজের প্রয়োজন মেটাতে চুরি শুরু করে সে। একটা সময় চুরির দায়ে ধরা পড়ে যায় কেডি। জেল খাটতে হয়। তার পর আর স্বামীর ঘরে থাকতে পারেনি সে। পেট চালাতে বিপথে চালিত হয়। চিট ফান্ডের ফাঁদ পেতে সাধারণ মানুষের টাকা হাতাতে চেয়েছিল কেডি। তবে তাতে সে সফল হয়নি। ধীরে ধীরে অন্ধকার জগতে পা রাখে কেডি। বিত্তশালী মহিলাদের টার্গেট করা শুরু করে সে। যে সব মহিলাদের কাছে টাকা থাকলেও সুখ ছিল না, তারাই ছিল কেডির টার্গেট। সেইসব মহিলাদের থেকে সর্বস্ব হাতিয়ে তাদের সায়ানাইড খাইয়ে খুন করত কেডি। পুজাপাঠের বাহনায় মহিলাদের সঙ্গে সখ্যতা বাড়াত কেডি। তার পর সুযোগ বুঝে তাদের থেকে সর্বস্ব লুঠ। ২০০৮ সালে নাগবেণী নামের এক মহিলাকে খুন করে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় কেডি। সাত বছরে সাতটি খুন করেছিল কেডি।