দেশ, বিদেশ Passport: বিদেশে বেড়াতে গিয়ে পাসপোর্ট খোওয়া গেলে মুশকিল; এই পরিস্থিতিতে কী কী করণীয়? জেনে নিন বিশদে Gallery October 20, 2024 Bangla Digital Desk বিদেশ ভ্রমণ নিঃসন্দেহে রোমাঞ্চকর একটা বিষয়। তবে এর সঙ্গে আসে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ। যার মধ্যে অন্যতম হল পাসপোর্ট। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় এবং নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য এটা অন্যতম প্রধান নথি। তাই বিদেশে সেটা হারিয়ে গেলে কিন্তু মুশকিল! (Indian Passport) মানসিক চাপের পাশাপাশি জটিলতারও উদ্রেক হয়। তবে এই সমস্যা কাটানোর জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করা সম্ভব। সেগুলি কী কী, সেটাই দেখে নেওয়া যাক। বিদেশে গিয়ে পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কী কী করণীয়? (passport loss solution) অনলাইন এফআইআর অথবা পুলিশি অভিযোগ: পাসপোর্ট হারিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবথেকে প্রথম এবং জরুরি পদক্ষেপ হল অনলাইন এফআইআর। অথবা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতেই হবে। এটা একটা রেকর্ড হিসেবে কাজ করে। আর নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে বিবেচিত হয়। নিকটবর্তী দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যোগাযোগ: পুলিশে অভিযোগ করার পর নিকটবর্তী দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যোগাযোগ করতে হবে। দেশের নাগরিক ভিন দেশে গিয়ে সমস্যায় পড়লে এক্ষেত্রে এগিয়ে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারতীয় দূতাবাস। নতুন পাসপোর্ট অথবা এমার্জেন্সি সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য কী কী করণীয়, সেই বিষয়েও সাহাযঅয করতে পারে তারা। এই এমার্জেন্সি সার্টিফিকেট হল অস্থায়ী ট্রাভেল ডকুমেন্ট। যার মাধ্যমে ভারতে ফিরে আসতে পারবেন ভ্রমণার্থী। নতুন পাসপোর্ট: নতুন পাসপোর্টের আবেদন করতে গেলে পেশ করতে হবে নিম্নলিখিত নথিগুলি। ১. বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপত্র ২. জন্মের সময়ের প্রমাণ ৩. একটি হলফনামা, যেখানে পাসপোর্ট হারিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতির বর্ণনা থাকবে। ৪. অরিজিনাল পুলিশ রিপোর্ট ৫. পুরনো পাসপোর্টের প্রথম দুটি এবং শেষ দুটি পেজের সেলফ-অ্যাটেস্টেড ফটোকপি ৬. অরিজিনাল এমার্জেন্সি সার্টিফিকেট অথবা সিজার মেমো। অনলাইনে অথবা দূতাবাসে ভিসার জন্য আবার আবেদন: পাসপোর্ট খোওয়া গেলে এর সঙ্গে ভিসাও হারিয়ে যায়। ফের ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে দেশের দূতাবাস অথবা কনস্যুলেটে যেতে হবে। এর পাশাপাশি ভিসা আবেদন অনলাইনেও জমা দেওয়া যায়। প্রয়োজনীয় নথি পুরনো ভিসার কপি পুলিশ রিপোর্ট নতুন পাসপোর্ট অথবা এমার্জেন্সি সার্টিফিকেট বিমানের টিকিট রিশিডিউল: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে ঘোরার পরিকল্পনাও ঘেঁটে যায়। দ্রুত তা উদ্ধার করা না গেলে বিমানের টিকিট রিশিডিউল করাতে হবে। এয়ারলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকল্প তারিখ নিতে হবে। সেই সঙ্গে সম্ভাব্য খরচ ও পেনাল্টির বিষয়েও কথা বলতে হবে। ভ্রমণ বিমার ব্যবহার: সমস্ত ভিসার জন্য বাধ্যতামূলক নয় ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স। তবে পাসপোর্ট খোওয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে এটা কিন্তু দারুণ উপযোগী হতে পারে। ইনস্যুরেন্স ক্লেমের রেকর্ড: সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি, রিসিট এবং রিপোর্ট নিজের কাছে রাখতে হবে ভবিষ্যতের ইনস্যুরেন্স ক্লেমের জন্য।