পুরুলিয়া : আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। সামনেই কালীপুজো। কালী পুজো বা দিওয়ালিতে বাজি ফাটানো একটা ট্রেনড। তাই এই সময় ব্যাপক হারে আতশবাজি বিক্রি হয়। কিন্তু সে আতশবাজি থেকে পরিবেশ দূষণ হয়। তাই পরিবেশবিদরা আতশবাজি বিক্রির সমর্থন কখনওই করেন না। আর তাই পরিবেশের ভারসাম্যর কথা মাথায় রেখে সবুজ আতশবাজি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পুরুলিয়ার আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি। শহরের মাঝে তারা সবুজ আতশবাজির একটি বাজার খুলেছেন। সেখানে সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব আতশবাজি বিক্রি হচ্ছে। আর ক্রেতারাও তাই ভিড় করে এখান থেকে আতশবাজি কিনছেন।
বিক্রেতারাও খুশি এই বাজারে বাজি বিক্রি করতে পেরে। দামও অন্যান্য জায়গার তুলনায় কম ও সকলের সাধ্যের মধ্যে। এ বিষয়ে আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির সেক্রেটারি দীপক কুমার জোশী বলেন ,”তারা এই বাজারে সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব বাজি বিক্রি করছেন সরকারি গাইডলাইন মেনে। আতশবাজির পাশাপাশি এখানে শব্দবাজিও বিক্রি হচ্ছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিগত বছর থেকে ১২০ ডেসিমেল শব্দবাজি বিক্রির পারমিশন রয়েছে সেই অনুযায়ী তারা বাজি বিক্রি করছেন। তারা আশা রাখছেন কালীপুজোর আগে তাদের ভালো ব্যবসা হবে।
এ বিষয়ে বিক্রেতা পরমা মল্লিক বলেন ,”তিনি গত বছরও এই বাজারে বাজির দোকান দিয়েছিলেন, এ বছরও দিলেন। তিনি আশা রাখছেন তার ভালো বিক্রি হবে।” এ বিষয়ে ক্রেতা অশ্বিনী মাহাতো বলেন ,”তিনি এর আগেও এই বাজার থেকে বাজি কিনেছেন। এ বছরও নিজের ছেলের জন্য এখান থেকেই বাজি কিনলেন। এই বাজি থেকে কোনও সাইডএফেক্ট হয় না তাই তিনি অন্যান্য জায়গায় ছেড়ে এখান থেকে বাজি কেনেন।”
আরও পড়ুনঃ KKR News: স্টার্কের বিদায় পাকা! সাড়ে ছয় ফুটের ভয়ঙ্কর বিদেশী পেসারকে নেবে কেকেআর! বড় আপডেট
কালীপুজো বা দীপাবলীর সময় রং-বেরঙের বিভিন্ন ধরনের বাজি পাওয়া যায়। তাই অনেকেরই দীপাবলি ও কালীপুজো উদযাপন করার জন্য বাজি কিনতে আগ্রহী হন। তবে পরিবেশে অনেকখানি ক্ষতি করে আতশবাজি। সেই কথা মাথায় রেখেই পরিবেশ বান্ধব আতশবাজি বিক্রি হচ্ছে পুরুলিয়ায়। যার রীতিমতসাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা জেলায়।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি