Tag Archives: eco friendly

Eco Friendly Plate: জঙ্গলকে ভরসা করে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টায় আদিবাসী মহিলারা, বাড়ছে ব্যবসা

জঙ্গল ঘেরা এলাকায় বসবাস। জঙ্গল ওঁদের কাছে সব। সেই জঙ্গলকে কেন্দ্র করেই স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন কাঁকসা জঙ্গলমহলের আদিবাসী মহিলারা।
জঙ্গল ঘেরা এলাকায় বসবাস। জঙ্গল ওঁদের কাছে সব। সেই জঙ্গলকে কেন্দ্র করেই স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন কাঁকসা জঙ্গলমহলের আদিবাসী মহিলারা।
শালপাতার থালা তৈরি করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন জঙ্গলমহলের বিভিন্ন আদিবাসী গ্রামগুলির মহিলারা। কৃষিকাজের সময় বাদ দিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত শালপাতা তৈরির জন্য পরিশ্রম করছেন।
শালপাতার থালা তৈরি করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন জঙ্গলমহলের বিভিন্ন আদিবাসী গ্রামগুলির মহিলারা। কৃষিকাজের সময় বাদ দিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত শালপাতা তৈরির জন্য পরিশ্রম করছেন।
সকাল সকাল গ্রামের মহিলারা চলে যান জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করতে। শালপাতা সেলাই করার জন্য বিশেষ ধরনের একটি ঘাসও সংগ্রহ করেন।
সকাল সকাল গ্রামের মহিলারা চলে যান জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করতে। শালপাতা সেলাই করার জন্য বিশেষ ধরনের একটি ঘাসও সংগ্রহ করেন।
এরপর বাড়িতে শুরু হয় শালপাতাগুলিকে একসঙ্গে জুড়ে পাতা তৈরির কাজ। সেখানে পরিবারের অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এরপর কয়েক হাজার পাতা তৈরি হলে সেগুলি চলে যায় বাজারে বিক্রির জন্য।
এরপর বাড়িতে শুরু হয় শালপাতাগুলিকে একসঙ্গে জুড়ে পাতা তৈরির কাজ। সেখানে পরিবারের অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এরপর কয়েক হাজার পাতা তৈরি হলে সেগুলি চলে যায় বাজারে বিক্রির জন্য।
শালপাতার থালা তৈরির মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন সোনামণি হেমব্রম। তিনি বলছেন, হাতে শালপাতার থালা তৈরি করতে সময় বেশি লাগে। যদি শালপাতা তৈরির মেশিন পেতেন তাহলে কাজে আরও সুবিধা হত।
শালপাতার থালা তৈরির মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন সোনামণি হেমব্রম। তিনি বলছেন, হাতে শালপাতার থালা তৈরি করতে সময় বেশি লাগে। যদি শালপাতা তৈরির মেশিন পেতেন তাহলে কাজে আরও সুবিধা হত।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে থার্মোকলের পাতার ব্যাপকভাবে চাহিদা বেড়েছিল। কিন্তু সেগুলি পরিবেশের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তাই আবার শালপাতার থালা, বাটির চাহিদা বাড়ছে। সেই সুযোগে আদিবাসী মহিলারা চেষ্টা করছেন স্বনির্ভর হওয়ার।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে থার্মোকলের পাতার ব্যাপকভাবে চাহিদা বেড়েছিল। কিন্তু সেগুলি পরিবেশের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তাই আবার শালপাতার থালা, বাটির চাহিদা বাড়ছে। সেই সুযোগে আদিবাসী মহিলারা চেষ্টা করছেন স্বনির্ভর হওয়ার।

West Bardhaman News: বিরাট আবিষ্কার! বোটও চলবে, দূষণও হবে না! জলপথে বিপ্লব আনল দুর্গাপুর

এবার দূষণমুক্ত জলপথ পরিবহনের জন্য বড় কাজ করে ফেলল দুর্গাপুরের সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট অর্থাৎ সিএমইআরআই।
এবার দূষণমুক্ত জলপথ পরিবহনের জন্য বড় কাজ করে ফেলল দুর্গাপুরের সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট অর্থাৎ সিএমইআরআই।
সিএসআইআর সিএমইআরআই দুর্গাপুর তৈরি করে ফেলেছে সৌরবিদ্যুৎ চালিত ইলেকট্রিক বোট। যা জলপথে পরিবহন দূষণমুক্ত করবে। ডিজেল চালিত বোটগুলির পরিবর্তে এই বোটের ব্যবহার কমাবে বায়ুদূষণ।
সিএসআইআর সিএমইআরআই দুর্গাপুর তৈরি করে ফেলেছে সৌরবিদ্যুৎ চালিত ইলেকট্রিক বোট। যা জলপথে পরিবহন দূষণমুক্ত করবে। ডিজেল চালিত বোটগুলির পরিবর্তে এই বোটের ব্যবহার কমাবে বায়ুদূষণ।
ইতিমধ্যেই সিএমইআরআই এর তৈরি এই পরিবেশবান্ধব বোটের সফল প্রদর্শন করা হয়েছে। সৌরবিদ্যুৎ চালিত এই ইলেকট্রিক বোটে বসতে পারবেন ১৬ জন সাধারণ যাত্রী। তাছাড়াও দু'জন ক্রু মেম্বারের জায়গা রয়েছে এখানে।
ইতিমধ্যেই সিএমইআরআই এর তৈরি এই পরিবেশবান্ধব বোটের সফল প্রদর্শন করা হয়েছে। সৌরবিদ্যুৎ চালিত এই ইলেকট্রিক বোটে বসতে পারবেন ১৬ জন সাধারণ যাত্রী। তাছাড়াও দু’জন ক্রু মেম্বারের জায়গা রয়েছে এখানে।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এটি টুইন হাল ক্যাটামারান ধর্মীয় একটি বোট। যা সম্পূর্ণরূপে সাসটেনেবল এবং ইকো ফ্রেন্ডলি জলপথ পরিবহনের একটি মাধ্যম। যা জ্বালানি তেল ব্যবহারে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অনেক কমাবে।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এটি টুইন হাল ক্যাটামারান ধর্মীয় একটি বোট। যা সম্পূর্ণরূপে সাসটেনেবল এবং ইকো ফ্রেন্ডলি জলপথ পরিবহনের একটি মাধ্যম। যা জ্বালানি তেল ব্যবহারে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অনেক কমাবে।
দুর্গাপুর সিএমইআরআই-এর তৈরি এই নতুন আবিষ্কার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণরূপেই দেখছেন গবেষকরা। বর্তমানে যখন ব্যাটারি চালিত বাইক, গাড়ির চাহিদা বাড়ছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সৌরবিদ্যুৎ চালিত এই বোট যথেষ্ট কার্যকরী হবে বলেই তারা মনে করছেন।
দুর্গাপুর সিএমইআরআই-এর তৈরি এই নতুন আবিষ্কার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণরূপেই দেখছেন গবেষকরা। বর্তমানে যখন ব্যাটারি চালিত বাইক, গাড়ির চাহিদা বাড়ছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সৌরবিদ্যুৎ চালিত এই বোট যথেষ্ট কার্যকরী হবে বলেই তারা মনে করছেন।

Eco-friendly Ornaments: প্রতিমার অঙ্গে কী সেই বিশেষ সাজ? বিসর্জনের পর ক্ষতি হবে না পরিবেশের

ভেটাগুড়ি: দুর্গাপুজো আসতে আর বেশি দেরি নেই। তোরজোড় শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা শিল্পীদের। তবে শুধুই প্রতিমা শিল্পীদের কর্মব্যস্ততা নয়। পাশাপাশি কাজ শুরু হয়েছে প্রতিমার অলংকার শিল্পীদেরও। শিল্পীদের এবার কাজের চাপ এখন থেকেই রয়েছে অনেকটা বেশি। চলতি বছরে অলংকার শিল্পীরা তৈরি করছেন দুর্গা প্রতিমার পরিবেশ বান্ধবগয়না, যা ইতিমধ্যেই নজর আকর্ষণ করতে শুরু করেছে বিভিন্ন পুজো কমিটির।

প্রতিমা বিসর্জনের পর এই পরিবেশবান্ধব গয়নাগুলো পরিবেশের ক্ষতি করবে না, দাবি শিল্পীদের। তাছাড়াও, এই গয়নায় রয়েছে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। শিল্পী অশোক বর্মন জানান, “এই পরিবেশবান্ধব গয়না তৈরি করা হচ্ছে শোলা ও কাগজ দিয়ে। ফলে এই গয়না বেশিদিন পরিবেশে থেকে পরিবেশের ক্ষতি করবে না।” বহু সময় ধরে তিনি দুর্গা প্রতিমার গয়না নির্মাণের কাজ করেন। চলতি বছরে বিগ বাজেটের পুজো থেকে শুরু করে সাধারণ পুজো মিলিয়ে মোট ৫০টি গয়না তৈরির অর্ডার পেয়েছেন তিনি। তাই এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হয়েছে তাঁকে।

বেশি দামের গয়না যেমন আছে, কম দামের গয়নাও বানিয়েছেন শিল্পীরা। অশোক জানান, এই গয়না মূলত প্রতিমার থিমের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করতে হচ্ছে। না হলে গয়নার সামঞ্জস্যতা থাকবে না। তাই খাটনি হচ্ছে অনেকটাই বেশি। তবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে বাঙালির উন্মাদনা থাকে অনেকটাই বেশি। তাই কাজের মান ভাল করার চাপও থাকে। নিপুণ হাতে, সময় নিয়ে তৈরি করতে হচ্ছে প্রতিমার অলংকারগুলি। মূলত এই কারণেই রেডিমেড অলংকারের চাইতে এই অলংকারগুলির চাহিদা রয়েছে বেশি। দেখতে সুন্দর মৌলিক ডিজাইনের গয়নার চাহিদাও তাই বেশি।

আরও পড়ুন-কাশ্মীরের জঙ্গি হামলায় নিহত বাংলার যুবক! ২৭ বছর বয়সে প্রাণ দিলেন সেনা

চলতি বছরে কোচবিহারে বিগ বাজেটের পুজো রয়েছে অনেকগুলি। সব পুজোর উদ্যোক্তারা এবার অনেকটাই আগে থেকে পুজো মণ্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই প্রতিমা থেকে শুরু করে প্রতিমার অলঙ্কার শিল্পীদের চাপ বেড়েছে অনেকটাই। তবে চাপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ তাঁরা করছেন রীতিমতো দ্রুত গতিতে। শিল্পীদের আশা, এবার জেলার পুজোয় আকর্ষণ হতে চলেছে প্রতিমার পরিবেশবান্ধব গয়না।

সার্থক পন্ডিত

গোবরের প্লাস্টার ও নিমের ইটের দৌলতে বছরে ১০ লক্ষ উপার্জন অধ্যাপকের

দেশ জুড়ে তাপপ্রবাহের মধ্যেও যে মুনাফা করা যায়, দেখিয়ে দিয়েছেন হরিয়ানার ডক্টর শিবদর্শন। দেশের উত্তর অংশে গ্রীষ্মে যে তাপপ্রবাহ চলে, সেটাই তার তুরুপের তাস। গরম বাড়লে আমরা সাধারণত শীতাতপ যন্ত্র ও সিলিং ফ্যানের গতি তীব্র করি। তারই বিকল্প পথ দেখিয়েছেন শিবদর্শন। তাঁর দেখানো পরিবেশবান্ধব উপায়ে গরমও কমবে, আবার পরিবেশও বাঁচবে।

সেই পরিবেশবান্ধব উপায় হল গোবরের প্লাস্টার এবং নিমের ইট। এই দুই উপকরণে বাড়ি তৈরি করলে পরিবেশের তুলনায় ৭ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমানো যায়। উল্লেখযোগ্যভাবে কমে কার্বন ফুটপ্রিন্ট। ডক্টর শিবদর্শনের কীর্তি ভাইরালও হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

আরও পড়ুন :  ডাল মাখানি ৮ টাকা, শাহি পনির ৫ টাকা, রেস্তরাঁয় ভূরিভোজের নামমাত্র মূল্যে হতবাক নেটিজেনরা

 

দেশে নয়, বিদেশেও প্রশংসিত তাঁর উদ্ভাবন। নরওয়ের প্রাক্তন আবহাওয়া ও পরিবেশমন্ত্রী এরিক সোলহেইম তাঁর কথা ট্যুইট করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে গোবরের প্লাস্টার ও নিমের ইটের দৌলতে অধ্যাপক শিবদর্শন প্রতি বছর ভারতীয় মুদ্রায় ১০ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। এই ভিডিও ৩.৫ মিলিয়নের বেশি ভিউজ পেয়েছে। লাইক পেয়েছে কয়েক হাজার।

 

এক ওয়েবসাইটে শিবদর্শন জানিয়েছেন বেদিক প্লাস্টার তৈরি করেন গোবর, মাটি ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান মিশিয়ে। সিমেন্টের তৈরি বাড়ির তুলনায় এই প্রাকৃতিক উপাদান অনেক বেশি ঠান্ডা হয়। ফলে বিদ্যুতের খরচও কম হয়।