বোলপুর ছাতিমতলা

Shantiniketan Chhatimtala: ইতিহাস ঐতিহ্য মিশেছে ফুলের সুবাসে, শান্তিনিকেতনে আবিষ্ট করে ছাতিমতলা

সৌভিক রায়, বীরভূম: বিশ্বকবির রাঙামাটির শহর বোলপুর শান্তিনিকেতন। দূরদূরান্ত থেকে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের পর্যটকরাও এখানে শান্তির খোঁজে আসেন। প্রত্যেকদিন লাগামছাড়া ভিড় হয় এই বোলপুর শান্তিনিকেতনে। এখানে এসে আপনি যেদিকে চোখ ঘোরাবেন, শুধুই সবুজ গাছগাছালি। কোথাও কোথাও সুবিশাল সব গাছের ছায়া ভেদ করার সাধ্য নেই স্বয়ং সূর্যদেবেরও! প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্যের পীঠস্থান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন। বঙ্গজীবনের এক ঐতিহ্য বয়ে বেড়াচ্ছে এই স্থান।

শান্তিনিকেতনের সৌন্দর্য, রূপ বরাবরই আকর্ষণীয়। বিশেষত ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে শান্তিনিকেতনের চেহারারও বদল ঘটে। শীত, বর্ষা, বসন্তে রবিঠাকুরের এই জায়গার দৃষ্টিনন্দন রূপ ভোলবার নয়। বিভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন রূপ ধারণ করে এই বোলপুর শান্তিনিকেতন আর সেই কারণেই পর্যটকদের এক সেরা ডেস্টিনেশন এটি। আর এই বোলপুর শান্তিনিকেতনেই  রয়েছে ছাতিমতলা। বোলপুর শান্তিনিকেতন তো অনেকবার গিয়েছেন, কোনওদিন গিয়েছেন এই ছাতিমতলায়? তবে কী এই ছাতিমতলা? কী রয়েছে এর ইতিহাস?

বোলপুর শান্তিনিকেতনের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় ছাতিমতলাকে। রবীন্দ্র-জীবনীকারদের বিভিন্ন লেখা থেকে জানা যায়, রায়পুরের জমিদারের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করতে যাওয়া বা ফেরবার পথে এই ছাতিমতলায় অল্প ক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিয়েছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছাতিমতলার সঙ্গে বহু উজ্জ্বল স্মৃতিই জড়িয়ে রয়েছে। ছাতিমতলাকে মহর্ষির সাধনাবেদিও বলা হয়। আশ্রম প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীক্ষাদিবসের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে এই ছাতিমতলায়। শুধু তাই নয়, বোলপুর শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার শুভ সূচনা হয় এই ছাতিমতলা থেকেই।

আরও পড়ুন : এ বছর ধনতেরস কবে? এই শুভ মুহূর্তে সোনা-রুপো-বাসন কিনলে সংসারে উপচে পড়বে টাকা ও সৌভাগ্য! রইল নির্ঘণ্ট

অতীতে পৌষ উৎসব, বাইশে শ্রাবণের মতো বিশেষ দিনে উপাসনা হত এখানে। পরবর্তী সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়াতে তা উপাসনাগৃহে সরানো হয়।পৌষের উপাসনা ও মহর্ষির প্রয়াণদিবস উপলক্ষে স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠান এখনও ছাতিমতলায় পালিত হয়। তাই এবার বোলপুর গেলে অবশ্যই এই জায়গা না যাওয়ার ভুল করবেন না।