উত্তর ২৪ পরগনা:বৃহস্পতিবার রাতেই ল্যান্ডফল করেছে ঘূর্ণিঝড় দানা। কিন্তু দানার থাবায় তেমন প্রভাব পড়ল না সুন্দরবন এলাকায়। গতকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়া ও তুমুল বৃষ্টিপাত শুরু হলেও দানার তেমন প্রভাব দেখা গেল না এই অংশে ।
তবে সুন্দরবন এলাকার বেশ কিছু জায়গায় কৃষি জমিতে জল জমে গিয়েছে৷ বেশ কিছু ফসল দমকা হওয়ার দাপটে নুয়ে পড়েছে। একই রকম ভাবে সুন্দরবন এলাকায় নদীগুলোতে বেড়েছে জলস্ফীতি। নদীর জল কানায়-কানায় জলপূর্ণ।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি গতকাল মধ্যরাতে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের সংলগ্ন উপকূলে আছড়ে পড়ছে ‘দানা’। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলা-সহ দঙ্গিণবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। সাগর রয়েছে উত্তাল।
তবে এখনওপর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকার হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ সহ বিভিন্ন এলাকায় তেমন বড় কিছু ক্ষয়ক্ষতি এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা আসলেই প্রথমে সুন্দরবনের ভৌগলিক মানচিত্রের কথা মাথায় আসে। বার-বার প্রকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সুন্দরবনের একাধিক এলাকা।
সুন্দরবন এলাকার ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পিছনে প্রধান কারণ দুর্বল নদীবাঁধ। বিগত দিনে আমফান, ইয়াশ ও আয়লার মতো প্রাকৃতিক রোষে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন অঞ্চল।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদী বাঁধ। বিপন্ন হয়েছে সুন্দরবনের সামাজিক জীবন। ঘূর্ণিঝড় দানার আগে প্রবল আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছিল নদী পারের বাসিন্দারা। কিন্তু দানার প্রভাব তেমন ভাবে না পড়ায় কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে প্রান্তিক মানুষেরা।
জুলফিকার মোল্লা