দার্জিলিং: প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও জাঁকজমকের সঙ্গে পুজো হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সেবকেশ্বরী কালী মন্দিরে। শিলিগুড়ি থেকে কিছু কিলোমিটারের দূরত্বে ঘন জঙ্গলে পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত এই সেবকেশ্বরী কালী মন্দির। জানা যায়, দূর দূরান্ত থেকে ভক্ত এবং পর্যটকেরা এই মন্দিরে মায়ের দর্শন করতে এসে থাকেন। সেই অর্থেই দীপাবলীর সকাল থেকেই মন্দিরের শুরু হয়েছে ভক্তদের আনাগোনা।
সকাল থেকেই সেবকেশ্বরী কালী মন্দিরে এক উৎসবের আমেজ। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও মায়ের বাৎসরিক পুজোয় কোন খামতি নেই। তবে একসময় মন্দিরে বলির প্রথা চলত, বর্তমানে প্রশাসন এবং মন্দির কমিটির সিদ্ধান্তে সেই বলির প্রথা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার পরিবর্তে বলি দেওয়া হয় পাঁচ ধরনের ফল এবং পুজোর দিনে মায়ের জন্য বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হয়। পুজো শেষে চলে প্রসাদ বিতরণ।
আরও পড়ুন: পাহাড়ের কোলে সুস্বাদু এই ধান চাষ করে আয় করুন লক্ষ লক্ষ টাকা!
এই মন্দিরে ভিন রাজ্য থেকে তথা পাশের দেশ নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশ থেকেও ভক্তরা ছুটে আসে পুজোর দিনে। এই মন্দিরে পৌঁছাতে গেলে মোট ১০৭টি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হবে। মূলত তিন জন পুরোহিত মিলে মায়ের পুজো অর্চনা করেন।
আরও পড়ুন: পাহাড়ের কোলে মুলো চাষ করে আয় করুন লক্ষ লক্ষ টাকা! জানুন পদ্ধতি
মন্দিরের পুরোহিত নন্দকিশোর গোস্বামী বলেন, ১৯৫২ সালে এক কালীর সাধক তথা সরকারি কর্মচারী নীরেন্দ্রনাথ সান্যাল স্বপ্ন আদেশে সেবকের গায়ে পঞ্চমুন্ডির আসন বেদী এবং ত্রিশূল দেখতে পান। পরদিন সকালে তার সন্ধানে গিয়ে তিনি খুঁজে পান মায়ের পঞ্চমুন্ডি আসন বেদী এবং ত্রিশূল। সেই থেকেই শুরু হয় পূজা অর্চনা। পরবর্তীতে সময়ের সাথে ধীরে ধীরে সেবকের পাহাড় কেটে এই মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। সেই থেকেই রীতিনীতি মেনে পুজো অর্চনা হয়ে আসছে এই মন্দিরে।
সুজয় ঘোষ