হুগলি: শক্তি আরাধনায় মেতে উঠেছে গোটা রাজ্য। বাদ যায়নি হুগলির পান্ডুয়া। বারাসাত, নৈহাটির পাশাপাশি কালীপুজোর সুনাম রয়েছে পান্ডুয়াতে। বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির, স্বপ্নের উড়ান থেকে এক টুকরো রাজস্থান আলোকসজ্জা ও প্রতিমাতেও নজর কড়েছে। যা দেখতে জেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় নামে পান্ডুয়ায়। এই ব্লকে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২০০ টি পুজো হয়। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে ৪৬ টি পুজো করা হয়।
গত কয়েক বছর ধরে থিমের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে পুজো কমিটিগুলি। প্রতিবছরই আলো, প্রতিমা থেকে মন্ডপ সজ্জায় থাকে অভিনবত্বের ছোঁয়া। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ৬৭ বছরে পান্ডুয়া প্রগতি সংঘ বৃন্দাবনের প্রেম মন্দিরের আদলে মন্ডপ নির্মাণ করে চমক দিয়েছে দর্শনার্থীদের। মন্ডপ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে কাপড়, থার্মোকল, ফোম, বাঁশ বেটম। মন্ডপে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে চারিপাশে রয়েছে বিভিন্ন মডেল এবং শিব ও কালীর মূর্তি। তারি মাঝে কৃষ্ণ কালী রূপে অধিষ্ঠান করছেন মা।
আরও পড়ুন: এলইডির টুনি লাইট চন্দননগরে আলোর শিল্পে এনেছে নতুন জোয়ার!
পুজো কমিটির সম্পাদক শান্তনু ঘোষ বলেন, প্রতিবছরই আমাদের পুজোতে নতুনত্ব থাকে। কিন্তু এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ দানার প্রভাবে মণ্ডপ নির্মাণ করতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হয়েছিল। তবে সময়ের মধ্যে মন্ডপ নির্মাণ করেছেন শিল্পীরা তার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। পুজোর বাজেট সাড়ে ১০ লক্ষ থেকে ১১ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন: সিঙ্গুরের ডাকাতে কালী! রঘু ডাকাত ও গগন ডাকাতের হাতে শুরু হয়েছিল এই পুজো! জানুন
পিছিয়ে নেই পান্ডুয়ার কানলা রোড ব্যবসায়ী সমিতি ও বেনে পাড়া যুব সম্প্রদায়ের পুজো। ৬৫ তম বর্ষে এ বছরে তাদের থিম “স্বপ্নের উড়ান”। মন্ডপ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে নেট, ফোম ও কাপড়। মন্ডপের ভিতরে মায়ের দুপাশে রয়েছে দুটি শ্বেত বর্ণের হরিণ তারই মাঝে রয়েছেন সোনালী বর্ণের মা কালী। পুজো কমিটির সভাপতি সুজয় দত্ত বলেন, মানুষ স্বপ্ন দেখলে মনের মধ্যে যে ভাবনাটা আসে সেটাকেই মন্ডপ সজ্জায় তুলে আনা হয়েছে। শান্ত শৃঙ্খলা মেনে আমরা পুজো করি কোনরকম ডিজে বক্স আমরা বাজাই না শোভাযাত্রাতেও তা সম্পূর্ণ নিষেধ কর হয়েছে। পুজোর বাজেট প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
পান্ডুয়া মধ্যমপাড়া ব্যবসায়ী সমিতি ও তরুণ সংঘের পুজোয় প্রতিবছরই থাকে চমক। এ বছরও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি ৫৭ তম বর্ষে এক টুকরো রাজস্থানের আদলে মন্ডপ নির্মাণ করেছেন উদ্যোক্তারা। মন্ডপের প্রবেশের দুপাশেই রয়েছে দুটি গজ। ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে বিভিন্ন মডেল দিয়ে সাজানো রয়েছে মন্ডপ তারই মাঝে অধিষ্ঠান করছেন আদ্যা শক্তি মহামায়া মা কালী।
Rahi Haldar