#সাউদাম্পটন: ১৭৭ বল খেলে ৪৯। বুঝতেই পারছেন, কেন উইলিয়ামসন চাদর, বালিশ নিয়েই ক্রিজে নেমেছিলেন। কিছুতেই উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসবেন না। উইকেটে যেন গেঁড়ে বসেছিলেন নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক। এমনিতেই একটানা বৃশ্টিতে টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল কার্যত বিরক্তির পর্যায় পৌঁছে গিয়েছিল। তার উপর কেন উইলিয়ামসনের বোরিং ব্যাটিং যেন দর্শকদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিল। এমনিতে টি-২০-র যুগে টেস্টের দর্শক সংখ্যা কমছে. তার উপর কেন উইলিয়ামসনের এমন স্লো ব্যাটিং টেস্ট ক্রিকেটকে যেন আরও পরীক্ষার মধ্যে ফেলছিল। তার উপর ভারতীয় সমর্থকদের চিন্তা। কেন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান। তিনি একবার উইকেটে দাঁড়িয়ে গেলে আর রক্ষে নেই। তাই শেষমেশ আর কোনও পথ না দেখে ভক্তরা ডাক দিলেন সোনু সুদকে। বলিউড অভিনেতা এখন সবার কাছেই মুশকিল আসান
সোনুর কাছে সাহায্যের আবেদন করে হতাশ হয়েছেন এমন কেউ বোধ হয় ভূ-ভারতে নেই। করোনা লকডাউন পর্বে দুঃস্থ, দরিদ্র মানুষদের মসিহা হয়েছিলেন সোনু। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে তিনি সুপারম্যান। অবশ্য অতিমানবিক কাজই করেছেন এই বলিউড অভিনেতা। কখনও করোনা আক্রান্তকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন। কখনও ভিন রাজ্যে থাকা মজদুরদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করেছেন। কখনও কাজ হারানো মানুষের বাড়িতে রেশন পৌঁছে দিয়েছেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করেছেন বিনা কোনও স্বার্থে। কী করেননি তিনি এই কয়েক মাসে! তাঁর হাতে অলৌকিক কোনও ক্ষমতা রয়েছে। এমনটা ভাবা হয়তো আর ভুল হবে না। সোনু সুদ সত্যিই দেশের মানুষের কাছে এখন দেবতূল্য একজন। মানুষ হয়েও যে অতিমানবের মতো কাজ করা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।
हमारी टीम में ऐसे दिग्गज हैं जो खुद ही भेज देंगे।
देखा, गया ना।?? https://t.co/QLZ9aBy7rT— sonu sood (@SonuSood) June 22, 2021
ম্যাচের পঞ্চম দিনে ভারতীয় বোলাররা দুরন্ত পারফর্ম করেছেন। তবুও দিনের প্রথম এক ঘণ্টায় কিউয়িরা কোনও উইেট হারায়নি। শেষ পর্যন্ত শামি ও ইশান্ত মিলে নিউ জিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়ে দেন। একদিকে উইকেট পড়ছিল নিয়মিত। আরেকদিকে উইকেট কামড়ে পড়ে ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। ভারতীয় পেসারদের অবলীলায় খেলে দিচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় এক ভারতীয় সমর্থক হতাশ হয়ে সোনু সুদকে ডাকেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন সোনুকে ট্যাগ করে। দাবি করেন, সোনু সুদ যেন কেন উইলিয়ামসনকে প্যাভিলিয়নে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেন। সোনু পাল্টা লেখেন, ভারতীয় দলে অভিজ্ঞ বোলাররাই এই কাজটা করে দেবেন। আর তাঁর মুখের কথা বাস্তবে ফলে যেতে বেশি সময়ও লাগেনি।