ডেঙ্গিতে মৃত কিশোরের মৃত্যুতে বিস্ফোরক অভিযোগ পরিবারের

Dengue Death: ‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হল না!’ এবার ডেঙ্গিতে মৃত কিশোরের মৃত্যুতে বিস্ফোরক অভিযোগ পরিবারের

কলকাতা: দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৭নং ওয়ার্ডের শ্যামনগর দাস ভিলা এলাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বছর এগারোর পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সৃজন সাহার। পরিবারের দাবি, ছেলের জ্বর হয় বেশ কিছুদিন ধরে৷ বৃহস্পতিবার রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপরেই শুক্রবার সকালেই দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রকে।

পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সেখানে কোনওরকম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি। উল্টে তারা পরিষেবা দিতে পারবেন না বলে অন্যত্র ছাত্রকে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এরপরেই ওইদিন মৃত্যু ছাত্রের পরিবার তাদের সন্তানকে নিয়ে বেলঘাটা আই ডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন-      বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন

তাদের আরও অভিযোগ, আইডি-তে সামান্য স্যালাইন টুকু দেওয়া হয়নি। আই ডি-তে থাকাকালীন প্লেটলেট দেড় লক্ষ থেকে ৪০ হাজার নেমে যায়। ওইদিন ভোর রাতে সন্তানের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। এরপরে শনিবার সকালে ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে সৃজনকে ভর্তি করা হয়। ওইদিন বিকেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রের মৃত্যু হয়৷ সৃজনের মাসির অভিযোগ, অন্দোলনের জেড়ে পরিষেবা তারা পাওয়া যায়নি। আন্দোলনকে তারাও সমর্থন করেন। কিন্তু তাদের মত অসহায় মানুষদের দিকে তাকানো উচিৎ। এই অন্দোলনের জেড়ে পরিষেবা না পেয়ে মৃত্যু হয় তাদের সন্তানের। তার দাবি, মুমূর্ষু রোগীদের পরিষেবা দেওয়া উচিৎ। সৃজনের মায়ের দাবি, দক্ষিণ দমদম পুরসভার পৌর হাসপাতালে সঠিক পরিষেবা মেলেনি। তার সাথে আই ডি-তে পরিষেবা না মেলায় তিনি সন্তান হারা হলেন।

আরও পড়ুন-       বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতালে কোনও রোগীর সঠিক পরিষেবা পাওয়া যায় না। তাদের পরিষেবা নিয়ে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসে দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতাল। জুন মাসেও হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতালেও কোনওরকম পরিষেবা দেওয়া হয়নি। দু’বার করে তারা পৌর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের জানায় তারা পরিষেবা দিতে পারবে না। তাদের পরিকাঠামো নেই।