Tag Archives: south dumdum

Electrocution in South Dumdum: স্নান করতে গিয়ে বিদ্যুৎবাহী তারে হাত, মৃত্যু দক্ষিণ দমদম পুরসভার সাফাই কর্মীর

কলকাতা: সোমবার সন্ধ্যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৫নং ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের লেবার রুমে কাজ সেরে স্নান করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক কর্মীর। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম দীপক দাস, পেশায় তিনি দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৫ নং ওয়ার্ডের সাফাই কর্মী। বাগুইআটি অর্জুনপুরের বাসিন্দা বছর ৪২ দীপক, প্রতিদিনের মতো এদিনও কাজ সেরে, ২৫ নং ওয়ার্ডের লেবার রুমে এসেছিলেন স্নান করার জন্য। সেই সময়ই অসাবধানতাবশত লেবার রুমের বিদ্যুৎবাহী জি আই তারে তাঁর হাত লেগে যায়, সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হন তিনি।

আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পুজোয় বৃষ্টি হবে? নাগাড়ে বৃষ্টি আর কতদিন? আবহাওয়ার বড় খবর
এরপরে তাঁকে দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এই গোটা ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিভাবে ওয়ার্ডের লেবার রুমে বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার মতন ঘটনা ঘটল সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। লেবার রুমের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি, প্রশ্ন উঠছে পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগ নিয়েও।

আরও পড়ুন: মঙ্গলে একদিকে সুপ্রিম-শুনানি, আর অন্যদিকে সন্দীপকে ঘিরে ঘটতে পারে বড় কিছু?

কারণ পুরসভার একটি ঘরের মধ্যে বিপদজনক ভাবে বিদ্যুৎবাহি তার খোলা অবস্থায় রয়ে গিয়েছে, সে বিষয়ে, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা খোঁজ রাখেননি কেন সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। লেবার রুমের সামনেই বিশ্বকর্মা পুজোর প্যান্ডেল করা হয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন এই প্যান্ডেল করতে গিয়েই কি  বিপদজনকভাবে বিদ্যুৎ বাহিত হয়ে পড়েছিল গোটা লেবার রুম ? আর তার জেরেই অকালে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হল পুরসভার সাফাইকর্মী দীপককে?
মৃত্যুর খবর  আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ওই পুর কর্মীর গোটা পরিবার ও আত্মীয় পরিজন। গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

Dengue Death: ‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হল না!’ এবার ডেঙ্গিতে মৃত কিশোরের মৃত্যুতে বিস্ফোরক অভিযোগ পরিবারের

কলকাতা: দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৭নং ওয়ার্ডের শ্যামনগর দাস ভিলা এলাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বছর এগারোর পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সৃজন সাহার। পরিবারের দাবি, ছেলের জ্বর হয় বেশ কিছুদিন ধরে৷ বৃহস্পতিবার রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপরেই শুক্রবার সকালেই দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রকে।

পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সেখানে কোনওরকম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি। উল্টে তারা পরিষেবা দিতে পারবেন না বলে অন্যত্র ছাত্রকে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এরপরেই ওইদিন মৃত্যু ছাত্রের পরিবার তাদের সন্তানকে নিয়ে বেলঘাটা আই ডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন-      বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন

তাদের আরও অভিযোগ, আইডি-তে সামান্য স্যালাইন টুকু দেওয়া হয়নি। আই ডি-তে থাকাকালীন প্লেটলেট দেড় লক্ষ থেকে ৪০ হাজার নেমে যায়। ওইদিন ভোর রাতে সন্তানের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। এরপরে শনিবার সকালে ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে সৃজনকে ভর্তি করা হয়। ওইদিন বিকেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রের মৃত্যু হয়৷ সৃজনের মাসির অভিযোগ, অন্দোলনের জেড়ে পরিষেবা তারা পাওয়া যায়নি। আন্দোলনকে তারাও সমর্থন করেন। কিন্তু তাদের মত অসহায় মানুষদের দিকে তাকানো উচিৎ। এই অন্দোলনের জেড়ে পরিষেবা না পেয়ে মৃত্যু হয় তাদের সন্তানের। তার দাবি, মুমূর্ষু রোগীদের পরিষেবা দেওয়া উচিৎ। সৃজনের মায়ের দাবি, দক্ষিণ দমদম পুরসভার পৌর হাসপাতালে সঠিক পরিষেবা মেলেনি। তার সাথে আই ডি-তে পরিষেবা না মেলায় তিনি সন্তান হারা হলেন।

আরও পড়ুন-       বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতালে কোনও রোগীর সঠিক পরিষেবা পাওয়া যায় না। তাদের পরিষেবা নিয়ে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসে দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতাল। জুন মাসেও হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, দক্ষিণ দমদম পৌর হাসপাতালেও কোনওরকম পরিষেবা দেওয়া হয়নি। দু’বার করে তারা পৌর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের জানায় তারা পরিষেবা দিতে পারবে না। তাদের পরিকাঠামো নেই।