পশ্চিম বর্ধমান: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে। বিশেষভাবে নজর রাখার পর তাকে আটক করেছে এসটিএফ। তারপর চলেছে ম্যারাথন জেরা। শেষে তাকে গ্রেফতার করে তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলায়।
কিন্তু এই ঘটনা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না ওই এলাকার মানুষজন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম হাবিবুল্লা শেখ। সে মানকর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বলে জানা গিয়েছে। তার পড়াশোনা চলছিল কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে। এলাকায় হাবিবুল্লা মেধাবী ছাত্র বলেই পরিচিত ছিল। এই তুখোড় বুদ্ধিসম্পন্ন যুবক শান্ত স্বভাবের এবং কম মিশুকে। এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কিন্তু সেই যুবকের সঙ্গে কিনা বাংলাদেশি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ, এমনটা বিশ্বাসই করতে পারছেন না তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর বিগত, কয়েক মাস ধরে অভিযুক্ত হাবিবুল্লা বাংলাদেশী নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে। কোড ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে সে যোগাযোগ রাখত। তার ওপর কয়েক দীর্ঘ সময় ধরে নজরদারি চালাচ্ছিল স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স অর্থাৎ এসটিএফ। এরপর পোক্ত প্রমাণ পেয়ে ময়দানে নামে এসটিএফ। শনিবার দুপুরের পর বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে নিয়ে যায় এসটিএফ।
অভিযুক্ত যুবকের পাশাপাশি তার বাবাকেও আটক করা হয়। এরপর তাদের কাঁকসা থানায় নিয়ে গিয়ে চলে ম্যারাথন জেরা। তারপর যুবককে শনিবার রাতের দিকে গ্রেফতার করে তুলে দেওয়া হয়েছে কাঁকসা থানার পুলিশের হাতে। কিন্তু কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করা যুবক এমন কাজ কেন করেছে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না এলাকার মানুষ৷ তারা বলছেন, অভিযুক্ত যুবককে ঘরের বাইরে খুব বেশি দেখা যেত না। পড়াশোনার পাশাপাশি সে সময় কাটাত ল্যাপটপ এবং মোবাইলে। আর তার এমন কর্মকাণ্ড দেখে স্থানীয়রা রীতিমতো হতবাক।
নয়ন ঘোষ