কলকাতা: সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার ফলাফল নিয়ে শুরু তুমুল বিতর্ক। বিষয়টা খুব সহজ কিছু নয়। যা ঘটেছে তা এক কথায় রীতিমতো অভাবনীয়ই বটে। ‘নিট’ পরীক্ষার ইতিহাসে এই প্রথম ৬৭ জন পরীক্ষার্থী ৭২০-র মধ্যে ৭২০ পেয়েছেন। আর তা নিয়েই বিতর্ক, সন্দেহ। পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ একে ‘স্ক্যাম’ আখ্যাও দিয়েছেন। সে প্রসঙ্গেই ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার ওই আবেদন শোনে বিচারপতি কৌশিক চন্দ এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
এ বিষয়ে ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি’-র তরফে যে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটার কোনও ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন শিক্ষকেরা। এর জেরে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের হস্তক্ষেপের দাবি তোলা হয়েছে। উঠে আসছে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগও।
আরও পড়ুন: নিজের গড় বহরমপুরেই হেরেছেন, তার পরেও একটি কারণেই পাঠানের প্রশংসায় অধীর!
সূত্রের খবর, প্রথম স্থানাধিকারী ৬৭ জনের মধ্যে ৬ পরীক্ষার্থীর একই কেন্দ্রে সিট পড়েছিল। আর এক শিক্ষক জানিয়েছেন, কোনও পরীক্ষার্থী ৭১৮ বা ৭১৯ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু হিসাব মতো ৭২০-র পরের নম্বর হতে পারে ৭১৬। কারণ কেউ যদি একটা প্রশ্ন ছেড়ে দেয়, তাহলে সে ৭১৬ পাবে। এক একটি প্রশ্নে ৪ নম্বর করে থাকলে কী ভাবে কোনও পরীক্ষার্থী ওই নম্বর পেতে পারেন।
লোকসভা ভোটের ফলঘোষণার দিন প্রকাশিত হয়েছে নিটের ফল। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও দাবি করেছেন, নিট পরীক্ষায় ‘দুর্নীতি’ হয়েছে।