উত্তুরে হাওয়া বইতে না বইতেই যেন নতুন গুড় জ্বাল দেওয়ার গন্ধ নাকে এসে লাগে। আর শীতকাল মানেই তো রকমারি মরশুমি শাকসবজি, পৌষ-পার্বণ আর মন-প্রাণ ভরে কবজি ডুবিয়ে খানাপিনা। ইতিমধ্যেই দিকে দিকে শুরু হয়ে গিয়েছে পৌষ-পার্বণ। চারিদিক যেন ম-ম করছে পিঠেপুলির গন্ধে।
এদিকে কলকাতা তথা বাংলার সবথেকে পুরনো ‘ফাইন-ডাইন’ খাঁটি বাঙালি রেস্তোরাঁ পিয়ারলেস হোটেলস লিমিটেডের ‘আহেলি’-ও এই পৌষ-পার্বণে হারিয়ে যাওয়া খাঁটি বাঙালি খাবারের বিশেষ ডালি সাজিয়েছে। রয়েছে ক্ষীরের পাটিসাপ্টা, নতুন গুড়ের রাবড়ি, নতুন গুড়ের ছানার পায়েস, নতুন গুড়ের ভাপা সন্দেশ-সহ আরও নানা জিভে জল আনা মিষ্টি। এখানেই শেষ নয়, আছে পিঁয়াজকলি চিংড়ি কিংবা নতুন আলুর দমের মতো লোভনীয় পদও।এমনিতে বিগত তিরিশ বছর ধরে খাঁটি বাঙালি খাবার পরিবেশন করে আসছে আহেলি। রেগুলার থালি তো মিলবেই, সেই সঙ্গে আলা-কার্টেও বিভিন্ন পদের স্বাদ উপভোগ করা যাবে। তবে পৌষ-পার্বণ বিশেষ ভাবে উদযাপন ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সেই বিশেষ মেন্যুতে কী কী রয়েছে, সেটাই একবার দেখে নেওয়া যাক। রাখা হয়েছে কড়াইশুঁটির কচুরি, পৌষের সবজি ডাল, বাহারি মরশুমি ভাজা, মুরগি কড়াইশুঁটির কাটলেট, নতুন আলুর দম, পিঁয়াজকলি পোস্ত, পালং শাকের চচ্চড়ি, ফুলকপির রোস্ট, ভাপা শিম চচ্চড়ি, পিঁয়াজকলি চিংড়ি, মুলো দিয়ে ট্যাংরা মাছের ঝোল, ফুলকপি দিয়ে ভেটকি মাছের ঝোল, পিঁয়াজকলি কমলা মুরগি, পালং মাংসের ভিন্ন স্বাদ, মেথি শাক দিয়ে মাছের মাথার মতো লোভনীয় পদ। আর এই মরশুমে মিষ্টির পাতে পিঠে-পুলি-সহ নতুন গুড়ের নানা মিষ্টি না থাকলে কি চলে।থাকবে ক্ষীরের মালপোয়া, নতুন গুড়ের রাবড়ি, নতুন গুড়ের ছানার পায়েস, ক্ষীরের পাটিসাপ্টা, দুধ পুলি, রসভরা, ভাপা পিঠে, নতুন গুড়ের ভাপা সন্দেশ, নতুন গুড়ের রাজভোগ, নতুন গুড়ের দই কলস, নতুন গুড়ের পায়েস। এই প্রসঙ্গে আহেলির একজিকিউটিভ স্যুজ শ্যেফ সৌম্যদীপ দত্তের (Soumyadip Dutta, Executive Sous Chef) বক্তব্য, “আহেলিতে স্বাগত! এখানে আমরা খাঁটি বাঙালি খাবারটা সব সময় একই রকম রাখি। এবার পৌষ-পার্বণে আমরা এই সময়কার যত শাক-সবজি আছে, সেগুলোকে এবং হারিয়ে যাওয়া বাঙালি খাবারগুলিকে নতুন ভাবে কিউরেট করে নিয়ে আসছি, ঠিক যেভাবে বাঙালিরা পছন্দ করেন। সেটা ভাজাও হতে পারে, কিংবা সামান্য শিমও হতে পারে। আর পিঠের কথা তো ভোলাই যাবে না! রসভরা পিঠে, পুলি পিঠে, পাটিসাপ্টা তো থাকবেই! মূলত এই সময় বাঙালি যেটা পছন্দ করেন, সেটাই আমরা তুলে এনেছি। প্রতি বছরেই আমরা তা করে থাকি। তবে এই বছরের ব্যাপারটা আলাদা।”তিনি আরও বলেন যে, “তিরিশ বছর এই জায়গায় আমরা আমাদের খাঁটি বাঙালি খাবার একই ভাবে চালিয়ে যাচ্ছি। এখানে তিরিশ বছর পরেও সেই পুরনো হারিয়ে যাওয়া রেসিপি, যেরকম আমাদের ঠাকুরমারা বাড়িতে বানাতেন, ঠিক সেই ভাবেই বানাচ্ছি। তাতে আমরা বলতে পারি পিঁয়াজকলি চিংড়ি কিংবা নতুন আলুর দমের কথা। এই সময় জানুয়ারি মাসে কিংবা পৌষ মাসে নতুন আলুটা আমরা খুবই ভালবাসি। আর সেই মেন্যুটাকেই নিয়ে এসেছি। মিষ্টির মধ্যে পাটিসাপ্টা তো একদমই ভোলা চলবে না! তাছাড়াও নতুন গুড়ের রসগোল্লা, নতুন গুড়ের রাজভোগ, নতুন গুড়ের সন্দেশ এগুলোও রয়েছে। আর তিরিশ বছরের যে আহেলিয়ানা, সেটা কোনও দিনও ভুলব না। আর সেটাকেই এগিয়ে নিয়ে চলব। আমরা আপনাদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছি।”রিজার্ভেশনের জন্য যোগাযোগ করুন +91 6291979565, 9831780405ভাপা গুড়ের সন্দেশপালং মাংসের ভিন্ন স্বাদমুলো দিয়ে ট্যাংরা মাছের ঝোল