Sadak Suraksha Abhiyan: হাতে লাঠি! মুখে বাঁশি! ট্রাফিক সামলে চলেছেন একা হাতে! জানেন এই মহিলা কে?

আলিপুরদুয়ার: ট্রাফিক সামলানো কোনও ব‍্যাপার নয় তার কাছে।নয় বছর ধরে কালচিনির মত ব‍্যস্ততম রুটের ট্রাফিক সামলাচ্ছেন একা হাতে ডুয়ার্সরত্ন সীমা ভুজেল। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব নিতে রাজি হন না অধিকাংশ মহিলা পুলিশ কর্মী। কারণ রোদ,ঝড়,কুয়াশা উপেক্ষা করে সামলাতে হয় ট্রাফিকের মত গুরু দায়িত্ব।সেই স্থানে দাঁড়িয়ে পুলিশকর্মী এগিয়ে আসেন কালচিনির ব‍্যস্ততম রুটের ট্রাফিকের দায়িত্ব সামলাতে।তাকে সাহায্য করতে রয়েছেন দু’জন সিভিক ভলেন্টিয়ার।

কিন্তু সকাল ও বিকেলের ব‍্যস্ততম সময়ে ট্রাফিক কন্ট্রোল নিজেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে করেন সীমা ভুজেল।তিনি এলাকায় আসার পর দুর্ঘটনা ঘটে না বললেই চলে।হাতে লাঠি ও মুখে বাঁশি নিয়ে গাড়ি চালকদের দেখিয়ে দেন রাস্তায় চলার ধরন।ট্রাফিক সামলাতে গিয়ে লাঠি দিয়ে নানান কেরামতি দেখান তিনি।যা দেখতে পছন্দ করেন গাড়ির চালক ও পথচারীরা।

আরও পড়ুন: ঘুমোনোর আগে এই সব খাবার খাচ্ছেন? জীবনেও ওজন কমবে না! জানুন চিকিৎসকের মত

এই বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ সীমা ভুজেল জানান, “রাস্তায় অনেক নতুন গাড়ি ও বাইক চালক থাকেন। ভুলটা তারা করবেন সেটাই স্বাভাবিক।তাদের সঠিক রাস্তায় আনতে লাঠি হাতে কেরামতিগুলো করতে হয়।ট্রাফিক সিগন‍্যাল দেখাতে হয়।ইন্ডিকেটর জ্বালিয়ে চলার পরামর্শ দিতে হয়।আমি তো গর্বের সঙ্গে বলি আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এলাকায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।”

আরও পড়ুন:  বাসি মেখে রাখা আটা দিয়ে গুনে গুনে রুটি বানান? চরম সর্বনাশ! জ্যোতিষীর মত জানলে ভয় হবে

কালচিনির এই রাস্তা ধরেই যেতে হয় রাজাভাতখাওয়া, আলিপুরদুয়ার, হাসিমারা,জয়গাঁ।বাস,যাত্রীবাহী গাড়ি,বাইক এবং পণ‍্যবাহী গাড়ি সবই এই রাস্তা ধরে চলাচল করে।তার ওপর এই রাস্তা দিয়েই যেতে হয় সরকারি স্কুল, থানা ও বিডিও অফিস।গাড়ির চলাচলের চাপ তুমুল থাকে সকাল থেকে বিকেল।কিন্তু এই ব‍্যস্ততম রাস্তাকে চাপ বলে মনেই হয় না সীমা ভুজেলের।তাঁর কথায় কোনও কাজ কঠিন নয়।

Annanya Dey