ভগ্নপ্রায় যুগি দেউল 

West Medinipur News: ভেঙে পড়া পাথরের গায়ে ইতিহাস, সংরক্ষণের দাবি স্থানীয়দের

পশ্চিম মেদিনীপুর: বাংলার অলিতে গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা প্রাচীণ ইতিহাস।যত্ন করে খুঁজলে হয়ত আমাদের চারপাশে পড়ে থাকা নানান পাথরেও ইতিহাস পাওয়া যাবে।বাংলা ওড়িশা সীমান্তবর্তী এলাকা ইতিহাস প্রসিদ্ধ জায়গা। প্রত্যন্ত গ্রামে লুকিয়ে আছে একাধিক ইতিহাসের নিদর্শন। যা হয়ত কালের নিয়মে ক্রমশ মাটিতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই ইতিহাসের নিদর্শন বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান সাধারণ মানুষের।

পাশ দিয়ে লাল মোরামের রাস্তা। পাশেই ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে এই পোড়া এক মন্দির। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার দেউলি এলাকায় বেলদা কলেজ থেকে অনতি দূরে রয়েছে একটি ভগ্নপ্রায় মন্দির।যার পরতে পরতে লেগে আছে ইতিহাসের একাধিক নিদর্শন।যা পরিচিত যুগী দেউল হিসেবে। চতুর্দশ থেকে ষোড়শ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত এক ভগ্নপ্রায় মন্দিরের সংরক্ষনের পথে কয়েকধাপ এগিয়েছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষন।তবে দ্রুত সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন : যেমন সুন্দর চিত্র, তেমন অসাধারণ ভাস্কর্য, ঘুরে দেখুন এই প্রদর্শনী

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার দেউলী এলাকায় এই মন্দির।যা ক্রমশ ভেঙে ভেঙে পড়ছে। সাধারণ ল্যাটেরাইট পাথরের তৈরি এই মন্দির।মন্দিরটি যুগী দেউল নামে পরিচিত।গ্রামের মানুষ মনে করেন মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় আনুমানিক চতুর্দশ থেকে ষোড়শ শতকে।উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতির আদলে তৈরি করা গেলেও ধীরে ধীরে ওড়িশা সংস্কৃতির ধারা লক্ষ্য করা যায়।তারপর থেকে অবহেলায় পড়ে এই মন্দির।পিরামিড আকৃতির এই মন্দির পড়ে পড়ে ধ্বংসপ্রায় রূপ নিচ্ছে ক্রমশ।মন্দিরের বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে পড়েছে।ক্ষতি হয়েছে একাধিক পাথরেও।প্রসঙ্গত এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে বছরে একাধিকবার নানান সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হয়।বছরে কয়েকবার পরিষ্কার হলেও অবহেলায় পড়ে থাকে মন্দিরটি। কখনও আগাছা আবার কখনও বৃষ্টি জলে পড়ে পড়ে নষ্ট হয় মন্দিরের একাংশ।

ভারতীয় পুরাতত্ত্ব দফতরের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন।এবং সংরক্ষনের ব্যাপারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন তারা। সরকারিভাবে এবং পুরাতত্ত্ব বিভাগের সহযোগিতায় দ্রুত সংরক্ষণ হবে বলে মত সংশ্লিষ্ট দফতরের। পাশাপাশি এই মন্দিরকে সংরক্ষণ করার পর সাধারণ মানুষের কাছে যাতে ইতিহাস পৌঁছতে পারে তারও ব্যবস্থা করা হবে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ইতিহাস উন্মোচিত হোক দাবি স্থানীয়দের।তবে সরকারিভাবে সংরক্ষণ হলে খুশি হবেন সাধারণ মানুষজন।

রঞ্জন চন্দ