দাঁতনের মুন্সেফ কোর্ট

West Medinipur News: কালের নিয়মে হারিয়ে যাচ্ছে ব্রিটিশ আমলের আদালত, জানেন কোথায় আছে এমন উদাহরণ?

পশ্চিম মেদিনীপুর: কালের নিয়মে ক্রমে হারিয়ে যায় ইতিহাস। সংরক্ষণের অভাব এবং সদিচ্ছার অভাবে ক্রমে অবলুপ্তি ঘটে বড় বড় ইমারতের ও। এমনই এক ইতিহাসের নিদর্শন ধ্বংসের মুখে।এক সময় এখানেই চলতবিচার। সারাদিন হত মামলা মোকদ্দমার খুঁটিনাটি আলোচনা। তবে প্রায় বেশ কয়েক বছর ধরে এই ইমারতে পা রাখেনি কোনও আইনজীবী থেকে বিচারপতি । বর্তমানে এক পরিত্যক্ত ভূত বাড়ি দাঁতনের ব্রিটিশ সময়ে নির্মিত এই আদালত।

ব্রিটিশ আমলে একসময় এখানে মামলা মোকদ্দমার জন্য আসতেন এলাকার মানুষ। গমগম করত। এখন যদিও তা খন্ডহর। পরিত্যক্ত ব্রিটিশ আমলে গড়ে তোলা মুন্সেফ কোর্ট। যা কালের নিয়মে মাটির সঙ্গে মিশে যাবে কিছুদিনের মধ্যে। যার সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন দাঁতনবাসী। তৎকালীন বাংলা ওড়িশার বহু মামলা ও তার নিষ্পত্তি হয়েছে এই আদালতে যা চলেছে সত্তরের দশক পর্যন্ত। কিন্তু এখন সেই ইমারতে জরাজীর্ণ অবস্থা পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে দলিল, দস্তাবেজ ,রাখার তাক থেকে ঘর। ধ্বংসের মুখে উকিলদের ঘর ও।ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ওড়িশা সীমান্তবর্তী সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী দাঁতনে ব্রিটিশ আমলে গড়ে উঠেছিল মুন্সেফ কোর্ট।

আরও পড়ুন : ভোটে ফ্লেক্স-ব্যানারের প্রচার অনেক হল, এবার চোখ রাখুন এই মাধ্যমে

এলাকার দেওয়ানি মামলা মোকদ্দমা নিষ্পত্তির জন্যেই গড়ে তোলা হয়েছিল এই আদালত। তবে দাঁতন মুন্সেফ কোর্টের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাকাল এখনও পর্যন্ত অধরা দাঁতনবাসীর কাছে।দাঁতন থেকে এযাবৎ কাল অবধি লিখিত ও প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষকেরা মনে করেন বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে দাঁতনে কোর্ট স্থাপিত হয়েছিল। যা সিপাহী বিদ্রোহ ১৮৫৭ সালের পরবর্তী কোনও সময়ে।

আরও পড়ুন : এই পেশায় চলছে না সংসার, ভোটের আগে কী কী দাবি কামারদের?

১৮০৩ সালে দেবগ্রামে মারাঠা-বর্গী ও ইংরেজদের মধ্যে বহু আকাঙ্ক্ষিত সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে এবং সুবর্ণরেখা নদী ওড়িশা ও বাংলার মধ্যে সীমানা নির্ধারিত হওয়ার ফলে সীমান্তবর্তী দাঁতনের গুরুত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এখান থেকে আদালত কিছুটা দূরে স্থানান্তরিত হলে তার নিজস্ব জৌলুস হারায় পুরানো এই আদালত ভবন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই ব্রিটিশ স্থাপত্যকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ