তারাপীঠে অভিষেক

Abhishek Banerjee at Tarapith: তারাপীঠে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বীরভূম: ঠিক গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে জেলা সফরে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারাপীঠের চিলের মাঠে তাবু খাটিয়ে সেখানে রাত্রি বাস করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।পাশাপাশি তিনি গিয়েছিলেন কুসুম্বা গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মামার বাড়িতে।এবার তেমনি ঠিক লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ফের কর্মিসভা করতে আজ, বুধবার বীরভূম আসেন তিনি। এদিন বেলা ১টা নাগাদ তিনি চিলের মাঠে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নামেন। এরপরে সেখান থেকে একটি বেসরকারি হোটেলে কর্মীসভার পর বেলা ৩:৩৫ নাগাদ সেখান থেকে তারাপীঠের মা তারার মন্দির দর্শন করেন।গত বছর মে মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তারা মায়ের কাছে পুজো দিয়ে রাত্রিবাস করেছিলেন তারাপীঠে।এবারও তারাপীঠে নিজে পুজো দিয়ে দলীয় কর্মীদের শক্তি যোগান দেন।

তিহারে জেলবন্দি জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় এসে তাঁর অনুপস্থিতিতে কী করতে হবে, কোন নেতার কাজ কতটা তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিলেন। এরফলে জেলা পরিষদের ৫২ আসনের মধ্যে ৫১টি তৃণমূলের দখলে। জেলার ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতি ও কয়েকটি ছাড়া সব গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। আজ সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তারাপীঠের একটি বেসরকারি লজে বীরভূম ও বোলপুর, দুই কেন্দ্রের কর্মীদের নিয়ে বার্তা দেন। কিন্তু সেবারে যেমন জেলার মুরারই থেকে নানুর পর্যন্ত জন জোয়ারে ভেসেছিল। এবার তাঁর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৯৩ জন কর্মী। এমনই খবর তৃণমূল সূত্রে।

আরও পড়ুনMamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ভরসা পেলেন চা শ্রমিকরা, আপাতত আন্দোলনের পথ থেকে সরছেন তাঁরা

দুই কেন্দ্রের আলাদা করে নির্বাচনী কমিটি গঠন করা হলেও তাঁদের ডাকা হয়নি।বরং আলাদা তালিকা করে কর্মীদের ডাকা হয়েছে। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থাকার নির্দেশ থাকলেও জেলা পরিষদের মাত্র কয়েকজনকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র আঁখি অধিকারী,নারায়ণ হালদার ও প্রদীপ ভকতকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।অন্যদিকে কেন তাঁরা থাকতে পারবেন না, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা থেকে কেন বঞ্চিত হবেন, সে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। সে বিষয়ে জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী আমাদের জানান, “তালিকা রাজ্য থেকে তৈরি করে পাঠান হয়েছে। যাঁরা দলের সাংগঠনিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, তাছাড়া জনপ্রতিনিধি সেই তালিকা অনুসারেই তাঁরা উপস্থিত ছিলেন।”

দলের সেনাপতির আগমন উপলক্ষ্যে তাঁর নিরাপত্তা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গতকাল বেসরকারি লজে যান রামপুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত, রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গোবিন্দ শিকদার। বেসরকারি লজে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন।নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ওই বেসরকারি লজে, হেলিপ্যাডে ও মন্দিরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রায় কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাস্তার দুই ধারে দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়।

সৌভিক রায়