থানার সাফল্য

Crime News: রাস্তায় বেরলেই ঘনিয়ে আসে বিপদ! গলা থেকে ছিনতাই চেন! পুলিশের জালে গোটা চক্র

উত্তর ২৪ পরগনা: নারী নিরাপত্তা নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য, তারই মাঝে মধ্যমগ্রামের রাস্তায় বেরনো বিভিন্ন মহিলাদের গলার সোনার চেন ছিনতাই করে মুহূর্তেই পালিয়ে যাওয়া বাইক বাহিনী চক্রকে নৈহাটি থেকে ধরল পুলিশ। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মধ্যমগ্রাম থানা এলাকায় একের পর এক সাধারণ মহিলাদের গলা থেকে সোনার চেন ছিনিয়ে নিয়ে পালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। থানায় বেশ কিছু অভিযোগ জমতেই, ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তে নামে জেলা পুলিশ। এরপরই মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ অধিকারিক দীপঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে গোটা ঘটনা তদন্তে নেমে কুখ্যাত দুষ্কৃতি মজিদ আনোয়ার ওরফে ইমরানকে নৈহাটি এলাকা থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা যায়, এই ইমরান আগেও বেশ কয়েকটি চেন ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে বেশ কিছুদিন জেল খাটার পর ছাড়া পেয়েই নিরুদ্দেশ হয়ে যায় সে। তদন্তকারী অফিসারের বিচক্ষণতায় এই চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসাবে ইমরানের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজেও নজরদারি চালানো হয় তার খোঁজে। সম্প্রতি মধ্যমগ্রামে তিনটি পৃথক এলাকায় সোনার চেন ছিনতাই হয়। মধ্যমগ্রাম বীরেশ পল্লী, নন্দনকানন ও বসুনগর এলাকা থেকে এমন ঘটনার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি তদন্তে নামে পুলিশ। আগের মত একই কায়দায় বাইক নিয়ে এসে চেন ছিনতাই করে পালানোর কায়দা দেখেই সন্দেহ যায় ইমরানের প্রতি।

এরপর নৈহাটি এলাকায় পুলিশ আধিকারিক দীপঙ্কর ঘোষ খোঁজ পান ইমরানের। এখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়। শুধু ইমরানই নয়, চেন ছিনিয়ে গোটা একটি চক্র কাজ করতে বলেও জানা যায়। ছিনতাই করা সোনার চেন নিয়ে এসে, চেন চলে যেত আমির হোসেন নামে লিংকম্যানের কাছে। তারপর সেই চেন বিক্রি হত সাবির পুরকাইতের কাছে। এইভাবে চেন ধরে ছিনতাইয়ের চক্র চলে, যা এইদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন মধ্যমগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুবিন্দু সরকার। ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেফতার করে এদিন বারাসত আদালতে পাঠায় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। মধ্যমগ্রামে চলা এই আতঙ্কের চেন ছিনতাই চক্রকে ধরতে পারা, থানার সাফল্য বলেই মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।

রুদ্র নারায়ণ রায়