দক্ষিণ দিনাজপুর: দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে এই জেলা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: রাস্তা থেকে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ধরল সিবিআই
ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে বালুরঘাট হাসপাতাল এমনই অভিযোগ রোগীর প্রয়োজনদের। এমনকি ১০ তলা এই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ঢোকার পথেই শুধুমাত্র নিরাপত্তারক্ষী লক্ষ্য করা যায়। এই হাসপাতালের অন্যান্য যে সমস্ত ওয়ার্ডগুলি রয়েছে তার সামনে কিংবা অন্যান্য জায়গায় নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে পড়ে না অভিযোগ রোগীর পরিজনদের। আরও অভিযোগ, এই হাসপাতাল চত্বরে নেই কোনও পুলিশ ক্যাম্প, মাত্র ২ থেকে ৩ জন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও দুই একজন পুলিশ দিয়েই কাজ চলছে। যে কোনও মুহূর্তে বড় ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে, সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মাঝরাস্তা থেকে সন্দীপ ঘোষকে পাকড়াও করল সিবিআই, সোজা নিয়ে গেল সিজিও-তে
আগে একাধিকবার বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভেতরে বিউটি পার্লার সহ একাধিক ব্যবসায়ী সংস্থা চালানোর অভিযোগ উঠেছে, এমন ঘটনা একাধিকবার খবরের শিরোনামে উঠে আসে। এরপরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হুঁশ ফেরেনি। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের সুরক্ষা নিয়ে খুব শীঘ্রই একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। পরিদর্শনে হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স রাখার পার্কিং খতিয়ে দেখা হয়। এরপর রাত্রিকালীন নিবাস, মানসিক বিভাগ, আবাসিকদের চিকিৎসা কেন্দ্র-সহ হাসপাতালের নানা দিক খতিয়ে দেখা হয়।