মালদহ: অবৈধভাবে ভরাট হওয়া জলাজমি ফেরাতে উদ্যোগ মালদহ প্রশাসনের। মালদহ শহরের ইংরেজবাজার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গাবাড়ি মোড় সংলগ্ন টিয়াকাটি জলাশয়ে খনন প্রক্রিয়া শুরু প্রশাসনের।
কিছুদিন আগে এই জলাশয় ভরাট করতে শুরু করে জমি মাফিয়ারা। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলছিল চুপিসারে জলাজমি ভরাট। বেশ কয়েক বিঘা জলাশয়ের অনেকটা অংশ ভরাটও করে ফেলে দুষ্কৃতীরা। এলাকার প্রভাবশালীদের মদতে জলাজমি ভরাট চলছিল বলে অভিযোগ ওঠে। কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ওই জলাজমি ভরাট করে প্রমোটিংয়ের ছক কষা হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে নোটিশ জারি করে প্রশাসন।
অবৈধভাবে জলাজমি ভরাটের অভিযোগে কয়েক জনের নামে নোটিস জারির পাশাপাশি এলাকায় বোর্ড ঝুলিয়ে জলাজমি ভরাট বন্ধের নির্দেশি দেয় জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। ওই জলাশয়ে কোনও রকমের নোংরা, আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার নির্দেশ দেয় ইংরেজবাজার পুরসভা। অবশেষে শুক্রবার সকাল থেকে এলাকায় ট্রাক্টর ও জেসিবি নামিয়ে শুরু হয় জলা জমি পুরনো অবস্থায় ফেরানোর কাজ। জলাজমির মাটি তুলে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন। শুক্রবার সকালে এলাকার যান ইংরেজবাজারের ব্লক, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক রাজশ্রী মান্না-সহ প্রশাসনের কর্তারা। জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়ার নির্দেশে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিএল এন্ড এলআরও।
এদিকে ওই জলাশয় থেকে নানা রকম রোগব্যাধি ছড়াচ্ছে, তাই জলাশয় সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের দাবী করেছেন স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর তথা ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী দলনেতা অম্লান ভাদুড়ি। নিজের ওয়ার্ডে অবৈধভাবে জলা জমি ভরাটের বিষয়ে তিনি দাবি করে বলেন, “কয়েকদিন জেলার বাইরে ছিলাম। সেই সময় ভরাটের কাজ হয়েছে। আমরা কোথাও জলা বা ডোবা ভরাটের পক্ষে নয়। তবে শুধু ভরাট হওয়া মাটি তুলে ফেললেই হবে না। সংস্কার ও সৌন্দর্যাযনেরও প্রয়োজন আছে”।
ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “যে এলাকায় জলাজমি ভরাট হয়েছে তা পুরসভার বিরোধী দলনেতার ওয়ার্ড। এক্ষেত্রে ওয়ার্ড কমিটির সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন ছিল। ওই এলাকায় বেআইনিভাবে ভরাটের কাজ চলছিল। আমরা জানার পর প্রশাসনকে জানায়। পুরসভার তরফ থেকেও নোটিশ জারি করা হয়েছে। প্রশাসন মাটি তুলে ফেলার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা সঠিক”।