কালনা পৌরসভা 

East Bardhaman News: পুজোর আগে কালনা পৌরসভার তরফে নেওয়া হল অভিনব উদ্যোগ 

পূর্ব বর্ধমান : অল্প বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে কালনা শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। কয়েকদিন আগে নিম্নচাপের জেরে জেলা জুড়ে বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সেই সময় জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল কালনা শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ড। একাধিক বাড়ির মধ্যেও প্রবেশ করেছিল জল। রীতিমত চরম কষ্টে দিন কাটাতে হয়েছিল স্থানীয়দের। এছাড়াও অনেকেরই অভিযোগ ছিল অল্প বৃষ্টিতেই এই সমস্যা হয়, কিন্তু পৌরসভার তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়না।কিন্তু এবার জনসাধারণের কথা ভেবে এগিয়ে এল কালনা পৌরসভা। পুজোর আগে কালনা শহরের বাসিন্দাদের কথা ভেবে নেওয়া হল অভিনব উদ্যোগ।

একাধিক অপরিষ্কার এবং মজে যাওয়া পুকুর সংস্কার করা হচ্ছে কালনা পৌরসভার তরফে। কালনা পৌরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, তথা কনজারভেন্সি বিভাগের সভাপতি অনিল বসু বলেন, “যে সমস্ত পুজো মণ্ডপ রয়েছে সেই মন্ডপ চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। চুন, ব্লিচিং দেওয়া হচ্ছে যাতে ডেঙ্গুর প্রভাব না পড়ে। এছাড়াও পুজোর সময় বৃষ্টি হলে যাতে জল না জমে, সে কারণে মেইন রাস্তা থেকে অলিগলি সব পরিষ্কার করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি পুকুরের জল ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। সেই পুকুরগুলি সংস্কার করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন : পূর্ব বর্ধমানের ১৬ টি পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী, জেনে নিন বিস্তারিত

আবহাওয়া দফতর পুজোর মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত না হলেও বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর অল্প বৃষ্টি হলেই কালনা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জমে জল। শহরের পুকুর গুলোর জল ধারণ ক্ষমতা কিছুটা কমে যাওয়ার কারণে, বেশ কিছুক্ষণ জল দাঁড়িয়ে থাকে কালনা শহরের একাধিক ওয়ার্ডে। সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাই পুজোর মধ্যে বৃষ্টি হলে কালনা শহরের বাসিন্দাদের যাতে সমস্যার মধ্যে না পড়তে হয়, সেই কারণে সচেষ্ট কালনা পৌরসভা।

আরও পড়ুন : জং ধরা পেরেক, ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়ে তৈরি হচ্ছে দুর্গা প্রতিমা, পাড়ি ভিনরাজ্যে!

কালনা পৌরসভার অন্তর্গত অধিকারী পাড়া, ১০৮ শিব মন্দির চত্বর, বারুইপাড়া সংলগ্ন এলাকায় মজে যাওয়া পুকুর গুলিকে পরিষ্কার করা হচ্ছে কালনা পৌরসভার তরফে। কালনা পৌরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা কনজারভেন্সি বিভাগের সভাপতি অনিল বসু নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পুকুরগুলি পরিষ্কার করার কাজ করাচ্ছেন। পুজোর আগে পৌরসভার এহেন উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। সকলেই আশাবাদী এর ফলে জল জমে যাওয়ার সমস্যার একটু হলেও সমাধান হবে। পুজোর পরেও এইধরনের কাজ করা হবে পৌরসভার তরফে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী