AI-TCS: বন্ধ হয়ে যাবে সমস্ত কল সেন্টার! চাকরি হারাবেন কয়েক হাজার মানুষ! বড় তথ্য সামনে আনল TCS

AI: আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে সমস্ত কল সেন্টার। চাকরি হারাবেন কয়েক হাজার তরুণ-তরুণী। তাঁদের জায়গায় কাজ করবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স চালিত রোবট। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন টিসিএস-এর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কে কীর্তিবাসন।ভারতের আইটি সেক্টরের মূল অংশ হল কল সেন্টার। বিশ্বের উন্নত বাজারগুলির চিত্রটাও একই। বছরের পর বছর ধরে এই সেক্টর চাকরি যুগিয়ে চলেছে কয়েক লক্ষ তরুণ তরুণীর। কিন্তু টিসিএস প্রধান মনে করছেন, কল সেন্টারগুলোর মৌলিক কাজ চালানোর জন্য এআই প্রস্তুত। মানুষের উপস্থিতি ছাড়াই সিস্টেম এবং ইনকামিং কল পরিচালনা করতে পারবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স।

কীর্তিবাসন মনে করেন, এমন দিন আর বেশি দূরে নেই যখন কল সেন্টার পরিচালনা করবে এআই। গ্রাহকদের কথা শুনবে, সমস্যা অনুযায়ী সমাধান করবে। এই কাজে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের ডেটা মডেলের উপর ভিত্তি করে এআইকে প্রশিক্ষণ দেবে কোম্পানিগুলোই। এআই বিবর্তনের গতি দেখে এক বছরের মধ্যেই এই পরিবর্তন হতে পারে বলে অনুমান করছেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: ঘুম নেই, কষ্টে আছেন, অসুখ ছাড়ছেই না? জড়িয়ে ধরুন মানুষকে! মুহূর্তে সুস্থ হবেন!

 

এর স্পষ্ট অর্থ হল লক্ষ লক্ষ কর্মী চাকরি হারাবেন। অনেক ফিজিক্যাল কলিং সেন্টার বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, “আমরা যদি আদর্শ পরিস্থিতির কথা বলি, তাহলে আগামী সময়ে, কল সেন্টারগুলিতে কল আসার সংখ্যা কমে যাবে”। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে আছি যখন প্রযুক্তি কল আসার আগেই গ্রাহকের সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং তাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারে।”

 

আরও পড়ুন: ৫০-এও কী করে এত সুন্দর? ফাঁস হল মালাইকা আরোরার সিক্রেট! আপনিও হতে পারেন এমন!

 

লেনদেনের ইতিহাস এবং অতীত আচরণ দেখে চ্যাটবট সহজেই বুঝতে পারবে গ্রাহক কী ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে, কল সেন্টারের কর্মীদের কাজটা এআই খুব সহজেই করতে পারবে। গত কয়েক বছর ধরেই চাকরির বাজারে এআই-এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা চলছে। গুগল ইতিমধ্যেই ব্যাপক ছাঁটাই করেছে। জেনারেটিভ এআই-কে দিয়ে অনেক জটিল কাজ চালাচ্ছে তারা। তবে টিসিএসের প্রধান মনে করেন, আগামী কয়েক বছরে প্রযুক্তিবিদদের চাহিদা কমার পরিবর্তে বাড়বে। তিনি আরও মনে করেন, পরিবর্তিত চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।