কলকাতা: আবার নতুন সাইবার প্রতারণা। AI Voice cloning app এখন সব থেকে বড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতারকরা বিভিন্নভাবে যে কোনও মানুষের কণ্ঠস্বর জোগাড় করছে। তারপর ভয়েস ক্লোনিং অ্যাপের মাধ্যমে সেই কণ্ঠস্বরের হুবহু বাক্য তৈরি করছে। এবং সেটিকে ডিজিটাল ভাবে চালিয়ে প্রতারণা করছে বিভিন্ন মানুষকে। ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সাইবার থানা গুলি।
কী এই Artificial Intelligence Voice cloning app? আমি আপনি যে রকম ভাবে কথা বলি, ঠিক সেই ভাবেই একই কন্ঠস্বর নকল করা হয় এই অ্যাপের মাধ্যমে। যার ফলে যারা ওই কণ্ঠস্বরটি চিনতে পারেন, তেমন লোককে ফোন করে টাকা চাওয়া হচ্ছে। কোনও ব্যক্তি যখনই তার পরিচিত এই কন্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছেন, তখনই তিনি কোনও কিছু না বুঝেই প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে দিচ্ছেন। যার ফলে ঠকছে প্রচুর মানুষ।
এরা সামাজিক মাধ্যম থেকে ভিডিও বা অডিও জোগাড় করছে। নইলে নানা অছিলায় ফোন করে ভয়েস রেকর্ড করে নিচ্ছে। তার পর সেই কণ্ঠস্বরকে নকল করছে। এই ধরনের ঘটনায় ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী দিল্লি, নয়ডা এবং তামিলনাড়ুর বিভিন্ন বয়স্ক মানুষেরা। ভয়েস ক্লোনিং অ্যাপের মাধ্যমে কোন ব্যক্তিকে তার একান্ত পরিচিত ব্যক্তির কণ্ঠস্বর বসিয়ে টাকা চাওয়া হচ্ছে। যেহেতু পরিচিত কণ্ঠস্বর সেহেতু কোনও বাছবিচার না করে ফোনের ওপাশ থেকে পরিচিত ব্যক্তির চাহিদা মতো টাকা দিয়ে ফেলছেন ফোন প্রাপক। যখন জানতে পারছেন আসল ঘটনা, তার আগেই সাইবার প্রতারকরা রীতিমতো বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে কেটে পড়ছে।
সাইবার আধিকারিকদের বক্তব্য, সাইবার প্রতারকরা ভয়েস ক্লোনিং অ্যাপের মাধ্যমে ফোন করে বেশিরভাগই বয়স্ক এবং আর্থিক ভাবে সচ্ছল ব্যক্তিদের টার্গেট করছে। কেউই ওই ফোনে আসা কণ্ঠটি পরিচিত নয় বা নিকটাত্মীয়ের নয়। সেটা পরীক্ষা না করেই টাকা দিয়ে ফেলছেন। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের উচিত কারও কোনও বিপদের ফোন এলে আগে ফোনটি কেটে সেই ব্যক্তিকে ফোন করে তার বিপদের কথা জেনে নেওয়া। এটুকু পরীক্ষা না করে নিলে আগামিদিনে প্রচুর মানুষ প্রতারিত হবেন।