Tag Archives: AI

Artificial Intelligence: সব টাকা ‘চুরি’ হয়ে যাবে, AI-এর ভয়েস ক্লোনিং অ্যাপই এখন সবথেকে বড় মাথাব্যথা! ঠকছেন বহু মানুষ

কলকাতা: আবার নতুন সাইবার প্রতারণা। AI Voice cloning app এখন সব থেকে বড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতারকরা বিভিন্নভাবে যে কোনও মানুষের কণ্ঠস্বর জোগাড় করছে। তারপর ভয়েস ক্লোনিং অ্যাপের মাধ্যমে সেই কণ্ঠস্বরের হুবহু বাক্য তৈরি করছে। এবং সেটিকে ডিজিটাল ভাবে চালিয়ে প্রতারণা করছে বিভিন্ন মানুষকে। ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সাইবার থানা গুলি।

কী এই Artificial Intelligence Voice cloning app? আমি আপনি যে রকম ভাবে কথা বলি, ঠিক সেই ভাবেই একই কন্ঠস্বর নকল করা হয় এই অ্যাপের মাধ্যমে। যার ফলে যারা ওই কণ্ঠস্বরটি চিনতে পারেন, তেমন লোককে ফোন করে টাকা চাওয়া হচ্ছে। কোনও ব্যক্তি যখনই তার পরিচিত এই কন্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছেন, তখনই তিনি কোনও কিছু না বুঝেই প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে দিচ্ছেন। যার ফলে ঠকছে প্রচুর মানুষ।

আরও পড়ুন: ‘সন্দেশখালির বেলুনে আলপিন..,’ বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের ভিডিও নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ, কী বললেন অভিষেক?

এরা সামাজিক মাধ্যম থেকে ভিডিও বা অডিও জোগাড় করছে। নইলে নানা অছিলায় ফোন করে ভয়েস রেকর্ড করে নিচ্ছে। তার পর সেই কণ্ঠস্বরকে নকল করছে। এই ধরনের ঘটনায় ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী দিল্লি, নয়ডা এবং তামিলনাড়ুর বিভিন্ন বয়স্ক মানুষেরা। ভয়েস ক্লোনিং অ্যাপের মাধ্যমে কোন ব্যক্তিকে তার একান্ত পরিচিত ব্যক্তির কণ্ঠস্বর বসিয়ে টাকা চাওয়া হচ্ছে। যেহেতু পরিচিত কণ্ঠস্বর সেহেতু কোনও বাছবিচার না করে ফোনের ওপাশ থেকে পরিচিত ব্যক্তির চাহিদা মতো টাকা দিয়ে ফেলছেন ফোন প্রাপক। যখন জানতে পারছেন আসল ঘটনা, তার আগেই সাইবার প্রতারকরা রীতিমতো বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে কেটে পড়ছে।

সাইবার আধিকারিকদের বক্তব্য, সাইবার প্রতারকরা ভয়েস ক্লোনিং অ্যাপের মাধ্যমে ফোন করে বেশিরভাগই বয়স্ক এবং আর্থিক ভাবে সচ্ছল ব্যক্তিদের টার্গেট করছে। কেউই ওই  ফোনে আসা কণ্ঠটি পরিচিত নয় বা নিকটাত্মীয়ের নয়। সেটা পরীক্ষা না করেই টাকা দিয়ে ফেলছেন। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের উচিত কারও কোনও বিপদের ফোন এলে আগে ফোনটি কেটে সেই ব্যক্তিকে ফোন করে তার বিপদের কথা জেনে নেওয়া। এটুকু পরীক্ষা না করে নিলে আগামিদিনে প্রচুর মানুষ প্রতারিত হবেন।

AI-TCS: বন্ধ হয়ে যাবে সমস্ত কল সেন্টার! চাকরি হারাবেন কয়েক হাজার মানুষ! বড় তথ্য সামনে আনল TCS

AI: আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে সমস্ত কল সেন্টার। চাকরি হারাবেন কয়েক হাজার তরুণ-তরুণী। তাঁদের জায়গায় কাজ করবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স চালিত রোবট। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন টিসিএস-এর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কে কীর্তিবাসন।ভারতের আইটি সেক্টরের মূল অংশ হল কল সেন্টার। বিশ্বের উন্নত বাজারগুলির চিত্রটাও একই। বছরের পর বছর ধরে এই সেক্টর চাকরি যুগিয়ে চলেছে কয়েক লক্ষ তরুণ তরুণীর। কিন্তু টিসিএস প্রধান মনে করছেন, কল সেন্টারগুলোর মৌলিক কাজ চালানোর জন্য এআই প্রস্তুত। মানুষের উপস্থিতি ছাড়াই সিস্টেম এবং ইনকামিং কল পরিচালনা করতে পারবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স।

কীর্তিবাসন মনে করেন, এমন দিন আর বেশি দূরে নেই যখন কল সেন্টার পরিচালনা করবে এআই। গ্রাহকদের কথা শুনবে, সমস্যা অনুযায়ী সমাধান করবে। এই কাজে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের ডেটা মডেলের উপর ভিত্তি করে এআইকে প্রশিক্ষণ দেবে কোম্পানিগুলোই। এআই বিবর্তনের গতি দেখে এক বছরের মধ্যেই এই পরিবর্তন হতে পারে বলে অনুমান করছেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: ঘুম নেই, কষ্টে আছেন, অসুখ ছাড়ছেই না? জড়িয়ে ধরুন মানুষকে! মুহূর্তে সুস্থ হবেন!

 

এর স্পষ্ট অর্থ হল লক্ষ লক্ষ কর্মী চাকরি হারাবেন। অনেক ফিজিক্যাল কলিং সেন্টার বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, “আমরা যদি আদর্শ পরিস্থিতির কথা বলি, তাহলে আগামী সময়ে, কল সেন্টারগুলিতে কল আসার সংখ্যা কমে যাবে”। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে আছি যখন প্রযুক্তি কল আসার আগেই গ্রাহকের সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং তাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারে।”

 

আরও পড়ুন: ৫০-এও কী করে এত সুন্দর? ফাঁস হল মালাইকা আরোরার সিক্রেট! আপনিও হতে পারেন এমন!

 

লেনদেনের ইতিহাস এবং অতীত আচরণ দেখে চ্যাটবট সহজেই বুঝতে পারবে গ্রাহক কী ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে, কল সেন্টারের কর্মীদের কাজটা এআই খুব সহজেই করতে পারবে। গত কয়েক বছর ধরেই চাকরির বাজারে এআই-এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা চলছে। গুগল ইতিমধ্যেই ব্যাপক ছাঁটাই করেছে। জেনারেটিভ এআই-কে দিয়ে অনেক জটিল কাজ চালাচ্ছে তারা। তবে টিসিএসের প্রধান মনে করেন, আগামী কয়েক বছরে প্রযুক্তিবিদদের চাহিদা কমার পরিবর্তে বাড়বে। তিনি আরও মনে করেন, পরিবর্তিত চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।

Miss AI Pageant: ‘মিস ইন্ডিয়া’, ‘মিস ইউনিভার্স’ অতীত, এবার আসছে ‘মিস এআই’! নাম শুনেই চমকে যাচ্ছেন? আসল ব‍্যাপার জানলে চোখ কপালে উঠবে

‘মিস ইন্ডিয়া’, ‘মিস ইউনিভার্স’ অতীত। এবার আসতে চলছে ‘মিস এআই’। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের তৈরি মডেল এবং ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আসর বসাচ্ছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস। বিশ্বব্যাপী এআই ক্রিয়েটারদের সৃজনশীলতাকে সম্মান জানাতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন।

‘মিস এআই’ বিজেতার হাতে তুলে দেওয়া হবে ৫ হাজার ডলারের নগদ পুরস্কার। ভারতীয় মুদ্রায় ৪.১ লাখ টাকা। প্রতিযোগিতায় সব মিলিয়ে মোট ২০ হাজার ডলারের পুরস্কার থাকছে। ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ১৬.৭ লক্ষ টাকা। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার বিতরণের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি, তবে ১০ মে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার দিনই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আচমকা কালো হয়ে গেল ফোনের স্ক্রিন! আপনার ফোনেও কী একই সমস্যা? এখনই সতর্ক না হলে বাড়তে পারে বিপদ

১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে নাম রেজিস্ট্রেশন। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের ক্রিয়েটাররা তাঁদের এআই মডেলের নাম লেখাতে পারবেন ‘মিস এআই’ প্রতিযোগিতায়। অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি থাকতে হবে।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, ফোবর্স দ্বারা হাইলাইট করা ‘মিস এআই’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস। ফ্যাশন বৈচিত্র্য এবং এআই উৎপাদিত পুরুষ মডেলের মতো বিভিন্ন থিম থাকছে। তবে এআই জেনারেটেড মহিলা মডেলদের উপরই বিশেষভাবে ফোকাস করা হয়েছে। এআই টুলের মাধ্যমে তৈরি মডেল হতে হবে, সফটওয়্যার ব্যবহারে কোনও বিধিনিষেধ নেই। জনপ্রিয় টুলগুলির মধ্যে OpenAI এর DALL-E 3, মিডজার্নি এবং কপিলট ডিজাইনার অন্তর্ভুক্ত।

প্রতিযোগিদের ৩টি গুণের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সৌন্দর্য, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সামাজিক প্রভাব। সৌন্দর্যের মধ্যে ব্যবহার, বাগ্মিতা এবং কঠিন প্রশ্নের অনায়াস উত্তর দেওয়ার মতো দক্ষতা আছে কি না দেখা হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রম্পট থেকে আউটপুট তৈরির ক্ষমতা সহ এআই ব্যবহারের নির্মাতাদের দক্ষতা বিচার করবেন বিচারকরা।

সামাজিক প্রভাব ডিজিটাল দুনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। নির্মাতারা কতটা দর্শক টানতে পারেন, তাঁদের ব্যস্ততার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে তাঁদের উপস্থিতি দেখা হবে। এই বিভাগগুলিতে পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে সামগ্রিক স্কোর পাবেন প্রতিযোগীরা।

জানা গিয়েছে, প্রতিযোগিতায় চারজন বিচারক থাকছেন। এর মধ্যে রয়েছেন এআই ইনফ্লুয়েন্সার আইতানা লোপেজ ও এমিলি পেলেগ্রিনি-র সঙ্গে উদ্যোক্তা অ্যান্ড্রু ব্লচ এবং সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার বিচারক স্যালি-অ্যান ফসেট।

Computer Lab: জেলার স্কুলে শেখানো হবে AI! চালু হল উন্নতমানের কম্পিউটার ল্যাব

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলে খোলা হল উন্নতমানের কম্পিউটার ল্যাব। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে কম্পিউটার সায়েন্স, মডার্ন কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে ডেটা সায়েন্স, এআই, সাইবার সিকিউরিটির মত কোর্স যুক্ত করা হয়েছে জেলার এই স্কুলে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এধরণের উদ্যোগ প্রথম বলে জানা গিয়েছে। শনিবার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই ল্যাব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত ৩০ টি কম্পিউটার দিয়ে এই ল্যাবটি চালু হয়েছে। পরে আরও ১০ টি কম্পিউটার আসবে। ছাত্র-ছাত্রীদের শেখানোর জন্য রয়েছেন দুজন প্রশিক্ষক। এই ল্যাব তৈরিতে খরচ হয়েছে ২২ লক্ষ টাকা। এই নিয়ে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার মাইতি জানান, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কোর্সগুলি প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীরা নিতে শুরু করলে উপকৃত হবে এই এলাকার মেধাবী পড়ুয়ারা।

আর‌ও পড়ুন: একবেলার ছাতু সংক্রান্তি মেলার নাম শুনেছেন? রোদ উঠে বালি গরম হলেই বাড়ির পথ ধরে সবাই

আগামীতে এই ল্যাব অন্যান্য স্কুলগুলিকে পথ দেখাবে। এই ল্যাবে কম্পিউটার টেকনোলজির পরবর্তী ধাপের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সাধারণত স্কুলগুলিতে একেবারে বেসিক লেভেলের কম্পিউটার সেখানো হত এতদিন। তবে এবার উচ্চমাধ্যমিক স্তর থেকে আ্যডভ্যান্স লেভেলের কম্পিউটার সেখানো হবে।

নবাব মল্লিক

Qatar Airways: কাতার এয়ারওয়েজের প্রথম এআই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ‘Sama 2.0’; বিমানযাত্রা এখন আরও চমকপ্রদ!

অনেকেই হয়তো কল্পনা করতে পারেননি একদিন বিমানে চড়ার পর মানব ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের বদলে কোনও ভার্চুয়াল ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট তাঁদের অভ্যর্থনা করবে। কাতার এয়ারওয়েজে এমনটাই করা হয়েছে। একে সামা ২.০ বলে ডাকা হয়, এবং এটি শুধু কোনও ডিজিটাল চরিত্রই নয়- এটি বিশ্বের প্রথম এআই-চালিত ডিজিটাল মানব কেবিন ক্রু। Photo Courtesy: Qatar Airways
অনেকেই হয়তো কল্পনা করতে পারেননি একদিন বিমানে চড়ার পর মানব ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের বদলে কোনও ভার্চুয়াল ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট তাঁদের অভ্যর্থনা করবে। কাতার এয়ারওয়েজে এমনটাই করা হয়েছে। একে সামা ২.০ বলে ডাকা হয়, এবং এটি শুধু কোনও ডিজিটাল চরিত্রই নয়- এটি বিশ্বের প্রথম এআই-চালিত ডিজিটাল মানব কেবিন ক্রু। Photo Courtesy: Qatar Airways
'আকাশ'-এর আরবি শব্দের নামানুসারে, সামা আইটিবি বার্লিনে কাতার এয়ারওয়েজ স্ট্যান্ডে আত্মপ্রকাশ করেছিল। UneeQ-এর সহযোগিতায় এআই চালিত ডিজিটাল ক্রু তৈরি করা হয়েছে। সামা আমাদের বিমান ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় বিপ্লব ঘটাতে প্রস্তুত। কাতার এয়ারওয়েজ হল প্রথম এয়ারলাইন কোম্পানি যারা এআই ক্রু নিয়ে এসেছে।
‘আকাশ’-এর আরবি শব্দের নামানুসারে, সামা আইটিবি বার্লিনে কাতার এয়ারওয়েজ স্ট্যান্ডে আত্মপ্রকাশ করেছিল। UneeQ-এর সহযোগিতায় এআই চালিত ডিজিটাল ক্রু তৈরি করা হয়েছে। সামা আমাদের বিমান ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় বিপ্লব ঘটাতে প্রস্তুত। কাতার এয়ারওয়েজ হল প্রথম এয়ারলাইন কোম্পানি যারা এআই ক্রু নিয়ে এসেছে।
এবারে প্রশ্ন হল সামা কী করতে পারে? এআই দিয়ে সজ্জিত সামা কাতার এয়ারওয়েজের জন্য একটি বিশ্বকোষের মতো। সামা রিয়েল-টাইমে যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী থেকে যথার্থ তথ্য প্রদান করে। ডিজিটাল ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট কাতার এয়ারওয়েজের ইমারসিভ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, QVerse এবং তাদের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাক্সেসযোগ্য।
এবারে প্রশ্ন হল সামা কী করতে পারে? এআই দিয়ে সজ্জিত সামা কাতার এয়ারওয়েজের জন্য একটি বিশ্বকোষের মতো। সামা রিয়েল-টাইমে যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী থেকে যথার্থ তথ্য প্রদান করে। ডিজিটাল ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট কাতার এয়ারওয়েজের ইমারসিভ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, QVerse এবং তাদের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাক্সেসযোগ্য।
কাতার এয়ারওয়েজের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্কেটিং বাবর রহমান বলেন যে, সামা ২.০ ব্যতিক্রমী সার্ভিস এবং গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স নিবেদন করে। সামা মানুষের সঙ্গে প্রযুক্তিকে একীভূত করার তাৎপর্যের উপর জোর দেয়, এয়ারলাইনের জগতে সামা একটি নতুন মান স্থাপন করেছে।"
কাতার এয়ারওয়েজের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্কেটিং বাবর রহমান বলেন যে, সামা ২.০ ব্যতিক্রমী সার্ভিস এবং গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স নিবেদন করে। সামা মানুষের সঙ্গে প্রযুক্তিকে একীভূত করার তাৎপর্যের উপর জোর দেয়, এয়ারলাইনের জগতে সামা একটি নতুন মান স্থাপন করেছে।”
সামা ২.০ আমাদের উদ্ভাবনের নিরলস সাধনার প্রমাণ। কাতার এয়ারওয়েজের ব্যতিক্রমী সার্ভিস ও আতিথেয়তার মূল্যবোধকে সামা মূর্ত করে তুলেছে। কাতার এয়ারওয়েজ তার গ্রাহকদের জন্য অগ্রগামী পরিষেবা দিতে এই প্রযুক্তির আশ্রয় নিয়েছে"। ওয়েব সামিট কাতার এর আগেও বহু জেনারেটিভ এআই অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে। এই দুর্দান্ত এআই সিস্টেম ছবি এবং একটি ৩ডি মানচিত্র ব্যবহার করে। এটি ১৭০টিরও বেশি গন্তব্যের বিশাল তালিকা থেকে শুধুমাত্র যাত্রীদের জন্য তৈরি করা দুর্দান্ত ট্রাভেল প্ল্যান প্রস্তাব করবে ৷ Photo Courtesy: Qatar Airways
সামা ২.০ আমাদের উদ্ভাবনের নিরলস সাধনার প্রমাণ। কাতার এয়ারওয়েজের ব্যতিক্রমী সার্ভিস ও আতিথেয়তার মূল্যবোধকে সামা মূর্ত করে তুলেছে। কাতার এয়ারওয়েজ তার গ্রাহকদের জন্য অগ্রগামী পরিষেবা দিতে এই প্রযুক্তির আশ্রয় নিয়েছে”। ওয়েব সামিট কাতার এর আগেও বহু জেনারেটিভ এআই অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে। এই দুর্দান্ত এআই সিস্টেম ছবি এবং একটি ৩ডি মানচিত্র ব্যবহার করে। এটি ১৭০টিরও বেশি গন্তব্যের বিশাল তালিকা থেকে শুধুমাত্র যাত্রীদের জন্য তৈরি করা দুর্দান্ত ট্রাভেল প্ল্যান প্রস্তাব করবে ৷ Photo Courtesy: Qatar Airways

Narendra Modi:’ডিপফেকের শিকার হয়েছি আমিও, প্রযুক্তির অপব্যবহার রুখতে হবে’, বিল গেটসকে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সুবিধার পাশাপাশি কোন কোন বিষয় হতে পারে চ্যালেঞ্জ? মাইক্রোসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সঙ্গে আলোচনার সময় সেই দিকেও আলোকপাতকরলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষ করে ডিপফেকের উপরে জোর দিয়েছেন তিনি।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সুবিধার পাশাপাশি কোন কোন বিষয় হতে পারে চ্যালেঞ্জ? মাইক্রোসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সঙ্গে আলোচনার সময় সেই দিকেও আলোকপাতকরলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষ করে ডিপফেকের উপরে জোর দিয়েছেন তিনি।
বিল গেটসের সঙ্গে এআই পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন,"আমি লক্ষ্য করেছি যে যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়া, যদি এই ধরনের শক্তিশালী প্রযুক্তি অদক্ষ হাতে দেওয়া হয় তবে অপব্যবহারের একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি রয়েছে"।
বিল গেটসের সঙ্গে এআই পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন,”আমি লক্ষ্য করেছি যে যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়া, যদি এই ধরনের শক্তিশালী প্রযুক্তি অদক্ষ হাতে দেওয়া হয় তবে অপব্যবহারের একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি রয়েছে”।
এরপরই ডিপফেকের প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ভারতের মতো একটি বিশাল গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহার করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি তারা আমার ভয়েসের অপব্যবহার করে, প্রাথমিকভাবে লোকেরা এটি বিশ্বাস করবে, যার ফলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হবে।
এরপরই ডিপফেকের প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ভারতের মতো একটি বিশাল গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহার করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি তারা আমার ভয়েসের অপব্যবহার করে, প্রাথমিকভাবে লোকেরা এটি বিশ্বাস করবে, যার ফলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হবে।
এছাড়াও তিনি নিজের উদাহরণ দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন,"আমি সম্প্রতি একটি ভিডিও দেখেছি যাতে আমাকে গরবা করেতে দেখা গেছে। আমি স্কুল থেকে গরবা করিনি। অনলাইনে এরকম আরও অনেক ভিডিও রয়েছে।"
এছাড়াও তিনি নিজের উদাহরণ দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন,”আমি সম্প্রতি একটি ভিডিও দেখেছি যাতে আমাকে গরবা করেতে দেখা গেছে। আমি স্কুল থেকে গরবা করিনি। অনলাইনে এরকম আরও অনেক ভিডিও রয়েছে।”
এআই পদ্ধতির খারাপ দিক আটকানোর জন্য কিছু করণীয় রয়েছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবং যারা ব্যবহার করবেন তাদের দক্ষ হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন,"কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সময়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে প্রযুক্তিকে দায়িত্বের সাথে ব্যবহার করা উচিত"।
এআই পদ্ধতির খারাপ দিক আটকানোর জন্য কিছু করণীয় রয়েছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবং যারা ব্যবহার করবেন তাদের দক্ষ হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন,”কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সময়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে প্রযুক্তিকে দায়িত্বের সাথে ব্যবহার করা উচিত”।

Technology News: সেতু তৈরিতে ঝালাইয়ের ভুল ধরবে AI, যুগান্তকারী আবিষ্কার আইআইটি খড়গপুরের

পশ্চিম মেদিনীপুর: বড় বড় কলকারখানায় বা সেতু তৈরিতে বিভিন্ন জিনিস তৈরির জন্য ঝালাই বা ওয়েল্ডিং-এর দরকার হয়। এর মাধ্যমে বিভিন্ন বস্তুকে জোড়া লাগানো হয়। স্বাভাবিক নিয়মে এই কাজ করতে গিয়ে বহু ত্রুটিও নজরে আসে। যা পরবর্তীতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তবে আর চিন্তা নেই, এবার ওয়েল্ডিং বা ঝালাইয়ের কাজ হবে একদম নিখুঁত। কারণ তাতে ব্যবহার করা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। আর বহু ক্ষেত্রের মত এই আবিষ্কারটাও আইআইটি খড়গপুরের।

আরও পড়ুন: পাঁচ মেয়ের‌ই বিয়ে হয়ে গেছে, কেউ দেখে না! জীবন যুদ্ধে দিশেহারা বৃদ্ধ যোগেন্দ্র

এই নতুন আবিষ্কারের হাত ধরে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভিন্ন ওয়েল্ডিং-এর ত্রুটি ধরে ফেলতে পারবে। এর জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ এআই ভিত্তিক সফটওয়্যার। সেই ত্রুটি কোথায়, কতটা বিপজ্জনক সব জানিয়ে দেবে এই বিশেষ সফটওয়্যার। এই বিশেষ সফটওয়্যার বানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন আইআইটি খড়গপুরের অধ্যাপক ও গবেষকরা।

আইআইটি খড়গপুরের সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ইন অ্যাডভান্স ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি, ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে।

বিভিন্ন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে তাঁরা নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ওয়েল্ডিং-এর ত্রুটি মেরামত এবং ত্রুটি যাচাইয়ের জন্য একটি বিশেষ সফটওয়্যার বানানো হয়েছে। যা খুব দ্রুত ওয়েল্ডিং-এর ত্রুটি ধরে ফেলবে এবং সেই ত্রুটি কতটা সেই পরিমাপও নিখুঁতভাবে জানিয়ে দেবে এই সফটওয়্যার।

গবেষকরা জানিয়েছেন, মানবদেহে যেমন আলট্রাসনিক সাউন্ডের মধ্য দিয়ে একটি বিশেষ ছবি পাওয়া যায়, একইভাবে ওয়েল্ডিং-এর ত্রুটি রয়েছে কিনা তা জানার জন্য আলট্রাসনিক ইমেজ প্রস্তুত করা হয়। সেই আলট্রাসনিক ওয়েভ থেকে প্রাপ্ত ছবি যাচাই করা হয়ে থাকে। এবার সেই বিশেষ ছবি যাচাই করবে এআই সফটওয়্যার, ফলে সব নিখুঁতভাবে জানা যাবে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এআই নির্ভর এই বিশেষ সফটওয়্যারের নাম দেওয়া হয়েছে I-ToFD। বিভিন্ন ওয়েল্ডিং-এর ত্রুটি সেই বিশেষ বস্তুকে না ভেঙে যাচাই করবে এই সফটওয়্যার। আইআইটি’র সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ইন অ্যাডভান্সড ম্যানুফেকচারিং টেকনোলজির প্রধান অধ্যাপক সূর্যকান্ত পালের তত্ত্বাবধানে দুই গবেষক পড়ুয়া অনন্ত দত্ত এবং অভিষেক মুখার্জি এবং দুই আন্ডার গ্রাজুয়েট পড়ুয়া, রসায়নের ছাত্র এ. কে বিশ্বনাথন, এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র শ্রবণ কুমার সিং এই বিশেষ সফটওয়্যারটি তৈরি করেছেন। শিল্পক্ষেত্রে এটি যুগান্তকারী আবিষ্কার বলা যায়।

রঞ্জন চন্দ

AI: আইআইটি খড়গপুরের নয়া আবিষ্কার! ওয়েল্ডিং-এ ত্রুটি থাকলে ধরবে AI, জানুন

পশ্চিম মেদিনীপুর: বড় কোনও শিল্প ক্ষেত্রে একাধিক ধাতব বস্তুর জোড়া লাগাতে হয়। যদি মনে করা হয়, কোনও জাহাজ নির্মাণ করতে হবে সেক্ষেত্রে একাধিক স্থানে ধাতব প্লেট, বস্তুকে জোড়া লাগিয়ে তৈরি করা হয় জাহাজটিকে। যাকে চলতি ভাষায় বলা হয় ওয়েল্ডিং। এত সংখ্যক মানুষ কাজ করার কারণে ভুল ত্রুটি হামেশাই লেগে থাকে। তবে এই ত্রুটি নিখুঁত পর্যবেক্ষণ এবং ত্রুটি মেরামতের বিশেষ উপায় তৈরি করেছেন আইআইটির গবেষকরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্য দিয়ে ওয়েল্ডিং এর ত্রুটি যাচাই করবে একটি বিশেষ সফটওয়্যার। যা তৈরি করেছেন আইআইটি খড়্গপুরের গবেষকেরা। নাম দেওয়া হয়েছে আই-ওয়েল্ড।বর্তমানে যা গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড ব্যবহার করছে।

শিল্প ক্ষেত্রে ভারী যন্ত্রাংশ নির্মাণ বা মেরামতের জন্য ওয়েল্ডিং করার পর কোনও ত্রুটি রয়েছে কিনা তা যাচাই করত মানুষ। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ওয়েল্ডিং এর পর ছবি তুলে বা বিজ্ঞানের ভাষায় এক্স-রে কে পর্যবেক্ষণ করে কোনও ত্রুটি আছে কিনা বা ত্রুটিমুক্ত কিনা তা যাচাই করা হত। তবে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর পরীক্ষার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে আইআইটি খড়্গপুর। ত্রুটি মুক্ত ওয়েল্ডিং যাচাইয়ের জন্য বিশেষ এক সফটওয়্যার আবিষ্কার করেছে। প্রতিষ্ঠানের সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ইন অ্যাডভান্স ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজির প্রধান অধ্যাপক সূর্যকান্ত পালের তত্ত্বাবধানে এই বিশেষ সফটওয়্যার সফলতা পেয়েছে। অধ্যাপক সূর্যকান্ত পালের তত্ত্বাবধানে এ বিশেষ সফটওয়ার নির্মাণ করেছে গবেষক পড়ুয়া অভিষেক মুখার্জি। যেখানে ওয়েল্ডিং এর পর প্রাপ্ত বিশেষ এক্সরে বা ছবিকে পর্যবেক্ষণ করবে সফটওয়্যার।

জানা গিয়েছে, মূলত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীন গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেডের অনুমোদিত অর্থপুষ্টে এই আবিষ্কার করেছেন আইআইটি গবেষকেরা। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ওয়েল্ডিং করার পর বা ওয়েল্ডিং সংক্রান্ত কোনও ছবি যাচাই করা হতম্যানুয়ালি। অর্থাৎ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তা পর্যবেক্ষণ করতেন। যা ছিল বেশ সময় সাপেক্ষ। তবে বর্তমানে তা যাচাই করবে এআই নির্ভর বিশেষ সফটওয়্যার। ২০২৩ এর অগাস্টেই এই গবেষণা শেষে মিলেছে ইন্ডিয়ান রেজিস্টার অফ শিপিং এর মান্যতা। এই সফটওয়্যার দ্রুত এবং নিখুঁত পর্যবেক্ষণ করে উত্তর জানাবে। কতটা ত্রুটি রয়েছে? কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তা দ্রুত জানিয়ে দেবে এই সফটওয়্যার।

আরও পড়ুন: কুল খেলেই দূর হবে জটিল রোগ! কীভাবে খাবেন? জানুন চিকিৎসকের পরামর্শ!

প্রসঙ্গত ম্যানুয়ালি কোনও এক্সরে ছবি থেকে ওয়েল্ডিংয়ের কোনওত্রুটি ধরার জন্য বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হত। তবে বর্তমানে এই সফটওয়্যার এর মধ্য দিয়ে ত্রুটি এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি সহজেই যাচাই করা যাবে। অধ্যাপক সূর্যকান্ত পাল জানিয়েছেন, ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি যাচাই করতে গেলে অনেক সময় নানান ভুল থাকত। তবে এই সফটওয়্যার দ্রুত একাধিক ছবি বা এক্স রে ইমেজকে দ্রুত পর্যবেক্ষণ করে উত্তর দেবে। যার নিখুঁত পর্যবেক্ষণ করবে এই সফটওয়ার।

প্রসঙ্গত, আইআইটি খড়্গপুরের সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ইন অ্যাডভান্স ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি, বর্তমানে শিল্পক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পদ্ধতি আবিষ্কার নিয়ে গবেষণা করে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশেষ প্রতিষ্ঠান শিল্প ক্ষেত্রে একাধিক বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে গবেষণায় সাফল্য পেয়েছে।শিল্প ক্ষেত্রে এই বিশেষ আবিষ্কার যে এক যুগান্তকারী তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

রঞ্জন চন্দ

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে AI Worm, এটা আসলে কী? কীভাবেই বা কাজ করে? জানুন সুরক্ষিত থাকার উপায়

ক্রমেই এগিয়ে চলেছে ডিজিটাল দুনিয়া। আর এই বিবর্তনের দিক থেকে সবার উপরে রয়েছে জেনারেটিভ এআই-চ্যাটজিপিটি, জেমিনি, কোপাইলট এবং আরও নানা কিছু। বর্তমানে আমাদের চারপাশে রয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-চালিত প্ল্যাটফর্ম। যা এক পলকে বেশিরভাগ মুশকিল আসান করে দিতে পারে। তবে এভাবে এআই ইকোসিস্টেমের উপর একপ্রকার নির্ভরশীল হয়ে পড়ার কারণে নতুন আশঙ্কাও উঁকি দিচ্ছে।
ক্রমেই এগিয়ে চলেছে ডিজিটাল দুনিয়া। আর এই বিবর্তনের দিক থেকে সবার উপরে রয়েছে জেনারেটিভ এআই-চ্যাটজিপিটি, জেমিনি, কোপাইলট এবং আরও নানা কিছু। বর্তমানে আমাদের চারপাশে রয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-চালিত প্ল্যাটফর্ম। যা এক পলকে বেশিরভাগ মুশকিল আসান করে দিতে পারে। তবে এভাবে এআই ইকোসিস্টেমের উপর একপ্রকার নির্ভরশীল হয়ে পড়ার কারণে নতুন আশঙ্কাও উঁকি দিচ্ছে।
এইসব আশঙ্কার মধ্যে অন্যতম হল এআই ওয়ার্ম। যা আমাদের গোপন তথ্য চুরি করে নিতে পারে। এমনকী জেনারেটিভ এআই সিস্টেমের তৈরি নিরাপত্তা প্রাচীরও ভঙ্গ করতে সক্ষম এআই ওয়ার্ম।
এইসব আশঙ্কার মধ্যে অন্যতম হল এআই ওয়ার্ম। যা আমাদের গোপন তথ্য চুরি করে নিতে পারে। এমনকী জেনারেটিভ এআই সিস্টেমের তৈরি নিরাপত্তা প্রাচীরও ভঙ্গ করতে সক্ষম এআই ওয়ার্ম।
একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নতুন এআই ম্যালওয়্যার নিয়ে গবেষণার এবং পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়েছিল। আর এই ধরনের নতুন ম্যালওয়্যার এখনও পর্যন্ত বাস্তব পৃথিবীতে দেখা যায়নি। তবে গবেষকর এই নতুন ধরনের ম্যালওয়্যার নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন! কারণ এটি ব্যবহার করা এআই অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষের ডেটা চুরি এবং তাঁদের স্প্যাম মেল পাঠানো সম্ভব।

একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নতুন এআই ম্যালওয়্যার নিয়ে গবেষণার এবং পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়েছিল। আর এই ধরনের নতুন ম্যালওয়্যার এখনও পর্যন্ত বাস্তব পৃথিবীতে দেখা যায়নি। তবে গবেষকর এই নতুন ধরনের ম্যালওয়্যার নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন! কারণ এটি ব্যবহার করা এআই অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষের ডেটা চুরি এবং তাঁদের স্প্যাম মেল পাঠানো সম্ভব।
এমনকী গবেষকরা সাবধান করে এর সম্ভাব্য নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কথাও জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার দিকে নজর দেওয়ার বিষয়টাও জানিয়েছেন তাঁরা।
এমনকী গবেষকরা সাবধান করে এর সম্ভাব্য নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কথাও জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার দিকে নজর দেওয়ার বিষয়টাও জানিয়েছেন তাঁরা।
কীভাবে কাজ করে এআই ওয়ার্ম?মরিস ২-কে একটা গোপন কম্পিউটার ওয়ার্ম বা পোকা হিসেবে কল্পনা করা যেতে পারে। এর কাজ হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারকারী ইমেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিপাকে ফেলা। প্রথমে মরিস ২ একটি গোপন কৌশল ব্যবহার করে। যার নাম ‘অ্যাডভার্সারিয়াল সেলফ-রেপ্লিকেশন’। এটি ইমেল সিস্টেমে একের পর এক মেসেজ করতে থাকে।
কীভাবে কাজ করে এআই ওয়ার্ম?
মরিস ২-কে একটা গোপন কম্পিউটার ওয়ার্ম বা পোকা হিসেবে কল্পনা করা যেতে পারে। এর কাজ হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারকারী ইমেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিপাকে ফেলা। প্রথমে মরিস ২ একটি গোপন কৌশল ব্যবহার করে। যার নাম ‘অ্যাডভার্সারিয়াল সেলফ-রেপ্লিকেশন’। এটি ইমেল সিস্টেমে একের পর এক মেসেজ করতে থাকে।
এতে ইমেল অ্যাসিস্ট্যান্টের পিছনে থাকা এআই মডেলগুলি বিভ্রান্ত হতে শুরু করে। ফলে সেই মডেলগুলি তথ্য অ্যাক্সেস করে তা পরিবর্তন করতে শুরু করে। এর জেরে তথ্য চুরি যাওয়ার পাশাপাশি ম্যালওয়্যারের মতো ক্ষতিকর জিনিস ছড়িয়ে পড়ে। গবেষকদের মতে, মরিস ২-এর লুকিয়ে থাকার দুটি উপায় রয়েছে। সেগুলি হল - টেক্সট-ভিত্তিক এবং ইমেজ-ভিত্তিক।
এতে ইমেল অ্যাসিস্ট্যান্টের পিছনে থাকা এআই মডেলগুলি বিভ্রান্ত হতে শুরু করে। ফলে সেই মডেলগুলি তথ্য অ্যাক্সেস করে তা পরিবর্তন করতে শুরু করে। এর জেরে তথ্য চুরি যাওয়ার পাশাপাশি ম্যালওয়্যারের মতো ক্ষতিকর জিনিস ছড়িয়ে পড়ে। গবেষকদের মতে, মরিস ২-এর লুকিয়ে থাকার দুটি উপায় রয়েছে। সেগুলি হল – টেক্সট-ভিত্তিক এবং ইমেজ-ভিত্তিক।
এদিকে একবার এআই অ্যাসিস্ট্যান্টদের মধ্যে যদি মরিস ঢুকে পড়তে পারে, তাহলে তা নিরাপত্তা প্রোটোকল তো লঙ্ঘন করেই, সেই সঙ্গে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার ক্ষেত্রেও তা আশঙ্কা তৈরি করে। জেনারেটিভ এআই-এর ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই ওয়ার্ম কিন্তু ইমেল থেকে নাম, ফোন নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য এবং সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বরের মতো সংবেদনশীল তথ্য বার করে আনতে পারে।
এদিকে একবার এআই অ্যাসিস্ট্যান্টদের মধ্যে যদি মরিস ঢুকে পড়তে পারে, তাহলে তা নিরাপত্তা প্রোটোকল তো লঙ্ঘন করেই, সেই সঙ্গে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার ক্ষেত্রেও তা আশঙ্কা তৈরি করে। জেনারেটিভ এআই-এর ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই ওয়ার্ম কিন্তু ইমেল থেকে নাম, ফোন নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য এবং সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বরের মতো সংবেদনশীল তথ্য বার করে আনতে পারে।
সুরক্ষিত থাকতে কী করণীয়?এআই ওয়ার্ম সম্পূর্ণ নতুন বিষয়। ফলে খুব খুঁটিয়ে তা লক্ষ্য করা হয়নি। যদিও গবেষকরা এর সম্ভাব্য নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির সম্পর্কে ডেভেলপার এবং সংস্থাগুলিকে সাবধান করেছেন। তবুও সুরক্ষিত থাকার জন্য কী কী করণীয়, সেটাই দেখে নেওয়া যাক।
সুরক্ষিত থাকতে কী করণীয়?
এআই ওয়ার্ম সম্পূর্ণ নতুন বিষয়। ফলে খুব খুঁটিয়ে তা লক্ষ্য করা হয়নি। যদিও গবেষকরা এর সম্ভাব্য নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির সম্পর্কে ডেভেলপার এবং সংস্থাগুলিকে সাবধান করেছেন। তবুও সুরক্ষিত থাকার জন্য কী কী করণীয়, সেটাই দেখে নেওয়া যাক।
সিকিওর ডিজাইন:নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ডেভেলপারদের এআই সিস্টেম ডিজাইন করা উচিত। এর জন্য পরম্পরাগত সিকিউরিটি প্র্যাকটিস ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে এআই মডেলগুলির আউটপুটকে চোখ বন্ধ করে ভরসা করা চলবে না।
সিকিওর ডিজাইন:
নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ডেভেলপারদের এআই সিস্টেম ডিজাইন করা উচিত। এর জন্য পরম্পরাগত সিকিউরিটি প্র্যাকটিস ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে এআই মডেলগুলির আউটপুটকে চোখ বন্ধ করে ভরসা করা চলবে না।
মানুষের দ্বারা তদারকি:সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় মানুষকে রাখতে হবে। আসলে কোনও মানুষের অনমোদন ছাড়া যদি এআই সিস্টেম পদক্ষেপ করে, তাহলে তা ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে। সেটাই প্রতিরোধ করা আবশ্যক।
মানুষের দ্বারা তদারকি:
সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় মানুষকে রাখতে হবে। আসলে কোনও মানুষের অনমোদন ছাড়া যদি এআই সিস্টেম পদক্ষেপ করে, তাহলে তা ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে। সেটাই প্রতিরোধ করা আবশ্যক।
মনিটরিং:এআই সিস্টেমের অস্বাভাবিক কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালানো আবশ্যক। এটা সম্ভাব্য হামলা শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।
মনিটরিং:
এআই সিস্টেমের অস্বাভাবিক কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালানো আবশ্যক। এটা সম্ভাব্য হামলা শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।

Google Gemini AI: গুগলের ফাটাফাটি এআই ফিচার জেমিনি, আইফোনে কীভাবে ব্যবহার করবেন? জানুন

গুগল নিয়ে এসেছে জেনারেটিভ এআই চ্যাটবট জেমিনি। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে তো বটেই, গুগল অ্যাপ থেকে আইফোনেও এই এআই ফিচার ব্যবহার করা যাবে। ইউজারদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি চ্যাট এবং ছবি তৈরি করবে জেমিনি।

অ্যান্ড্রয়েডের মতো আইওএসে ডেডিকেটেড জেমিনি অ্যাপ নেই। তবে আইফোন ইউজাররা গুগল অ্যাপ থেকে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, বর্তমানে জেমিনি এআই ফিচার নির্বাচিত বাজারেই সীমাবদ্ধ। ফলে যে সব দেশে এই ফিচার সাপোর্ট করে সেখানকার আইফোন ইউজাররাই জেমিনি এআই চ্যাটবটের অ্যাক্সেস পেতে পারেন।

আরও পড়ুন: মা বিপাশার সঙ্গে যোগা ম্যাটে মেয়ের খুনসুটি! দেবীর কাণ্ড দেখে অবাক নেটপাড়া

এর জন্য প্রথমে গুগল অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে। জেমিনি এআই আইওএস ১৫.০ বা পরবর্তী ভার্সনের সমস্ত আইফোনে বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে। তবে জেমিনি এআই ব্যবহার করতে হলে ইউজারের গুগল অ্যাকাউন্ট এবং ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: সোহিনীর সঙ্গে বাগদান সারলেন শোভন? গায়কের হাতে আংটি দেখেই শুরু জল্পনা

গুগল অ্যাপ ইনস্টল হয়ে গেলে স্ক্রিনের উপরের দিকে একটা টগল দেখা যাবে। এ থেকে গুগল সার্চ বা জেমিনির মধ্যে যে কোনও একটা বেছে নেওয়া যাবে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মতো আইফোনে ভয়েস কম্যান্ডের মাধ্যমে জেমিনি এআই চালু করা যাবে না। চ্যাটবটে অ্যাক্সেসের জন্য প্রতিবার গুগল অ্যাপ খুলতে হবে।

আইফোনে জেমিনি এআই-তে কী কী করা যাবে: ইউজারের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবে জেমিনি এআই। শুধু টেক্সট প্রম্পটের মাধ্যমে ছবি তৈরি করবে। ছবি থেকে ছবিও তৈরি করে দেবে। সোজা কথায়, চ্যাটজিপিটি বা কোপিলটের মতো এআই চ্যাটবটগুলো যা যা করতে পারে সে সব করার ক্ষমতা জেমিনি-রও রয়েছে। তবে এর জন্য গুগল ফ্লাইট, গুগল হোটেল, গুগল ম্যাপস, গুগল ওয়ার্কস্পেস এবং ইউটিউবের মতো এক্সটেনশনগুলো চালু করতে হবে।

পরামর্শও দেবে: জেমিনি এআই কীভাবে ব্যবহার করতে হয় বুঝতে না পারলে, ইউজারকে জলবৎ তরলং করে বুঝিয়ে দেবে ফিচার নিজেই। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য ক্যাপশন তৈরি, দুই বা ততোধিক অনুরূপ পণ্যের তুলনা করে সঠিক পণ্য বাছাই করতে সাহায্য করা থেকে জন্মদিনের পার্টি সেলিব্রেট করার আইডিয়াও দেবে জেমিনি।