পরিবারের সঙ্গে পূর্ণি

Struggle Story: ক্ষীণদৃষ্টি মেয়ের জন্য তিলে তিলে সঞ্চয়, হতদরিদ্র মা এখন নিজেই ক্যানসারে শয্যাশায়ী…চোখে জল আনবে এই সংগ্রাম

অনন্যা দে, আলিপুরদুয়ার: টাকা জমিয়েছিলেন মেয়েকে বাইরের রাজ্যে নিয়ে গিয়ে চোখের চিকিৎসা করাবেন বলে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে নিজেই দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হ্যামিল্টনগঞ্জের বাসিন্দা পূর্ণি ঋষি। হতদরিদ্র মা ও মেয়ের জীবন কাহিনি চোখে জল আনবে আপনারও। ১৮ বছরের গীতা ঋষি ছোট থেকেই চোখের সমস্যায় জর্জরিত। দিন প্রতিদিন তাঁর দু’চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসছে। ছোট থেকেই তাঁকে আগলে রেখেছেন তাঁর মা পূর্ণি ঋষি। বর্তমানে তিনিও ক্যানসারে আক্রান্ত।

নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারে ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই। বিনা চিকিৎসায় রয়েছেন মা ও মেয়ে। এদিকে পূর্ণি ঋষির স্বামী মঙ্গল ঋষি গাড়িচালক। গাড়ি নিয়ে এদিকে ওদিক ছুটতে হয়েছে। তাই সংসারে বেশি সময় তিনি কখনও দিতেই পারেননি। বাড়ির এমন পরিস্থিতিতে তিনিও গাড়ি চালাচ্ছেন না। ঘরেই স্ত্রী ও মেয়ের দেখভাল করছেন। এদিকে এলাকাবাসীরা যতটুকু পারছেন ততটুকু সাহায্য করছেন এই দরিদ্র পরিবারটিকে।

আরও পড়ুন : দেবী দুর্গা এখানে ‌রাজবংশী কন্যা রূপেই পূজিতা! জাঁকজমকের পরিবর্তে আন্তরিকতা ও আভিজাত্যই মুখ্য

এই বিষয়ে পূর্ণি ঋষির স্বামী মঙ্গল ঋষি জানান, ‘‘কাজেও যেতে পারছি না দীর্ঘদিন। সংসার চালানোর টাকা নেই। বিনা চিকিৎসায় রয়েছেন স্ত্রী ও মেয়ে। একটু সাহায্য যদি কেউ করত তাহলে উপকার হত।’’ হ্যামিল্টনগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারাও চাইছেন এই মা ও মেয়ে যাতে সুস্থতার দিকে এগোতে পারে।