Tag Archives: Struggle

Clay Lamp: কেবল কালীপুজোর আগে নয়, সারা বছর ধরে এই গ্রামে তৈরি হয় মাটির প্রদীপ

উত্তর দিনাজপুর: এঁটেল মাটির দলায় হাতের ছোঁয়া লাগলেই তৈরি হয়ে যায় প্রদীপ। আর সেই মাটির প্রদীপ কেনার হিড়িক পড়ে বাড়ির দুয়ারে। এভাবেই আলোকিত হয় ঘর। শুধু দীপাবলি নয়, এই মাটির প্রদীপ বিক্রি করে সারা বছর আসে অর্থ। প্রদীপ তৈরি করেই জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন এই গ্রামের মহিলারা।

উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের হাটপাড়া যাওয়ার রাস্তার দু’ধারে বসবাস করেন বেশ কয়েকটি পরিবার। সকলেই পেশায় মৃৎশিল্পী। তাঁদের এই জীবিকা অর্ধ শতাব্দী প্রাচীন। সারা বছর এই গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িতেই তৈরি হয় মাটির প্রদীপ। শিল্পীদের নিপুণ দক্ষতায় তৈরি হয় হরেক রকমের প্রদীপ। মাটির প্রদীপ তৈরি করেই সারাদিনে কেউ ৫০০ কেউ বা ১০০০ টাকা উপার্জন করেন।

আর‌ও পড়ুন: বৃষ্টির অভাবে কীভাবে কম জলে চাষ করবেন? এক ঝটকায় জেনে বাজিমাত করুন

সারা বছর বিয়ে, পুজো কিংবা বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে এই প্রদীপগুলো ব্যবহার করা হয়। শুধু দীপাবলি নয়, তাঁদের তৈরি এই মাটির প্রদীপের সারা বছর চাহিদা থাকে। সারা বছর বিভিন্ন পাইকাররা এসে তাঁদের কাছ থেকে নিয়ে যান বিভিন্ন ধরনের মাটির প্রদীপ। পোড়ামাটির তৈরি এই রংবেরঙের প্রদীপ পৌঁছে যায় জেলার বিভিন্ন বাজারে বাজারে। প্রদীপের কারিগর জয়ন্তী রায় জানান, এই প্রদীপগুলো সারা বছর জুড়ে বিক্রি হয়। মহিলা, পুরুষ সবাই এই প্রদীপগুলো তৈরি করেন। গরিব এই পরিবারগুলোর সংসারের অন্ধকার দূর করতে ভরসা এই মাটির প্রদীপ।

পিয়া গুপ্তা

Boatman: তিনি না থাকলে বন্ধ ঘাট পারাপার! এই মাঝির জীবন কাহিনী অবাক করবে

কোচবিহার: নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ঘাটিয়াল বলে ডাক দিলেই অন্য পাড় থেকে নৌকা নিয়ে হাজির হন তিনি। পান খাওয়া মুখে লেগে থাকে লাল দাঁতের চওড়া হাসি। তবে কোন‌ও রাগ নয়, অভিমান নয়। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা সব মরশুমেই তার একই ভূমিকায় দেখা যায় মাঝি অমৃত দাস’কে (৬১)। ৪০ বছর ধরে মানুষকে নদী পারাপার করিয়ে চলেছেন।

কোচবিহারের ২ নম্বর কালীঘাট এলাকার এই মাঝির জীবন এক অবাক করা কাহিনী বলে যায়। বছর ১৮ থেকে তাঁর এই খেয়া পারাপারের জীবন শুরু। তারপর আর বিশ্রাম মেলেনি এই কাজ থেকে। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬১ বছর। এখনও পর্যন্ত বহু মানুষকে নদী পারাপার করিয়ে উপকার করছেন তিনি। নেন যৎসামান্য মূল্য।

আর‌ও পড়ুন: বর্ষায় এলেই এখানে নৌকার কদর বাড়ে! কীভাবে তৈরি হয়, কত দাম জানেন?

মাত্র ১০ টাকায় সাইকেল-বাইক থেকে শুরু করে মানুষ, সকলকেই পারাপার করান তিনি। বহু দিন ধরে এই খেয়া পারাপার করার ফলে এলাকার মানুষদের কাছে তিনি পরিচিত ঘাটিয়াল নামেই। বহু দুস্থ মানুষকে বিনা পয়সায় পারাপার করিয়ে দেন এই তিনি। সংসারে স্ত্রী গত হয়েছেন বহুদিন আগেই। একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন এই নদী পারাপার করিয়েই। বর্তমানে একার সংসার। তাই খুব একটা অসুবিধা হয় না সারাদিন এই কাজ করতে। গত ১০ বছর ধরে বাড়িও যান না এই কাজের জন্য।

তোর্সা পাড়ের দুই বাসিন্দা জোৎস্না দাস ও বাহারুল হক জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই এই মাঝি নদী পারাপার করছেন এখানে। একটা সময় আমার বাবাকে দেখতাম ওনার নৌকা করেই নদী পারাপার করতে। বর্তমানে আমিও করি। কোনদিন এখানের নৌকা বন্ধ থাকতে দেখিনি। সকাল ৭টা থেকে শুরু করে সন্ধে পর্যন্ত তাঁরা এই নৌকা দিয়ে মানুষেরা পারাপার করেন এখানে। ঘুঘুমারি ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে হলে অনেকটা ঘুরে চলাচল করতে হয়। এই নৌকা দিয়ে পারাপার করলে সেই সময় অনেকটাই কম লাগে।

সার্থক পণ্ডিত

Bangla Video: চাকরির পরীক্ষায় পাশ করেও মেলেনি সুযোগ, মাদুর বুনে টিকে আছেন প্রতিবন্ধী গণেশ

পশ্চিম মেদিনীপুর: জীবনে বেঁচে থাকার জন্য কতটা লড়াই’ই না লড়তে হয়। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান থাকলেই তো আর শুধু বেঁচে থাকা হয় না। বেঁচে থাকার জন্য চাই মনের জোর। দু’পা অকেজো, হাতের উপর ভর করে চলে তাঁর যাতায়াত। এভাবেই ছোট থেকে প্রবল পরিশ্রম করে স্নাতক হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর যুবক গনেশ চন্দ্র ঘাঁটা।

জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে বেশ কয়েকবার সরকারি চাকরির পরীক্ষাও দিয়েছেন, যদিও সুযোগ আসেনি। প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া সরকারি কিংবা বেসরকারি তরফে তেমন কোনও সাহায্য সহযোগিতা পান না। বাধ্য হয়ে জীবন চালাতে মাদুর বোনেন শিক্ষিত এই যুবক। আর অল্প কিছু ছাত্র পড়িয়ে চলে জীবন যাপন। জীবনের লড়াইয়ে তাঁর প্রতিদিনের সংগ্রাম যে কারোর চোখে জল নিয়ে আসবে।

আর‌ও পড়ুন: সুন্দরবনের অসহায় মৎস্যজীবী ও মৌলেদের স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নিল এরা!

ছোট থেকেই লড়াই করে বড় হয়ে ওঠা, করেছেন উচ্চশিক্ষা। দু’বার চাকরির পরীক্ষায় পাস করলেও মেলেনি চাকরি। কেলেঘাই নদীর পাড়ে সবং-এর প্রত্যন্ত গ্রাম নঁওগা। সেই গ্রামেই বাড়ি গনেশ চন্দ্র ঘাঁটা’র। আর পাঁচটা সুস্থ স্বাভাবিক শিশুর মতই তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বছর পাঁচ বয়সে এক অজানা জ্বরে আক্রান্ত হন। তার পর‌ই তাঁর দু’পা অকেজো হয়ে যায়। তখন থেকেই হাতের উপর ভর করে চলাচল শুরু হয়। নিম্নবিত্ত পরিবারের পক্ষে উন্নতমানের চিকিৎসার খরচ চালানো সম্ভব ছিল না।

প্রতিকূলতা, শারিরীক প্রতিবন্ধকতাকে নিত্যসঙ্গী করে জীবন যাপন করছেন তিনি। সাহায্য সহযোগিতা তেমন কিছু পাননি তিনি। প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নিজের জীবন চালাতে এখন ভরসা মাদুর কাঠি দিয়ে মাদুর বোনা। আর সামান্য কটা টিউশন করে নিজের সারাদিনের রোজগার করা। বছর ৩৮-এর গনেশবাবু বেশ কয়েক বছর আগে হারিয়েছে বাবা-মা’কে। ফলে এক অজানা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের গর্ভে এই প্রতিভাবান লড়াকু মানুষের জীবন।

রঞ্জন চন্দ

Tribals Livelihood: শাল পাতাতেই বেঁচে আছে জীবন, এখনও মর্ম বোঝেনি শহর

গ্রামীণ অর্থনীতির জড়তা কাটাতে সরকার নানান প্রচেষ্টা করলেও তা যেন বিশেষ একটা কাজ করছে না বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকায়। ২০২৪ সালেও এখানকার মানুষজন জঙ্গল থেকে পাতা কুড়িয়ে জীবন যাপন করছেন।
গ্রামীণ অর্থনীতির জড়তা কাটাতে সরকার নানান প্রচেষ্টা করলেও তা যেন বিশেষ একটা কাজ করছে না বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকায়। ২০২৪ সালেও এখানকার মানুষজন জঙ্গল থেকে পাতা কুড়িয়ে জীবন যাপন করছেন।
বাঁকুড়ার শুশুনিয়ার শিউলিবোনা গ্রাম। এখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ মানুষ বনজ সম্পদের উপর নির্ভর করে বেঁচে আছেন। শুকনো কাঠ সংগ্রহের পাশাপাশি জঙ্গলের কাঁচা শালপাতা তুলে তা সেলাই করে বাজারে বিক্রি করাই এঁদের মূল পেশা।
বাঁকুড়ার শুশুনিয়ার শিউলিবোনা গ্রাম। এখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ মানুষ বনজ সম্পদের উপর নির্ভর করে বেঁচে আছেন। শুকনো কাঠ সংগ্রহের পাশাপাশি জঙ্গলের কাঁচা শালপাতা তুলে তা সেলাই করে বাজারে বিক্রি করাই এঁদের মূল পেশা।
এত কষ্টের মধ্যেও কিছুটা খুশির খবর হল, আগের থেকে চাহিদা বেড়েছে শালপাতার থালার। ফলে আবারও যেন পুনর্জীবিত হয়েছে এই পেশা। লকডাউনের সময় একেবারেই বিক্রি হচ্ছিল না শাল পাতা। তাতে চরম সঙ্কটে পড়ে গিয়েছিলেন আদিবাসী মানুষজন। তবে থার্মোকলের থালার চাহিদা কমায় শালপাতার থালার বিক্রি আবার বাড়ছে।
এত কষ্টের মধ্যেও কিছুটা খুশির খবর হল, আগের থেকে চাহিদা বেড়েছে শালপাতার থালার। ফলে আবারও যেন পুনর্জীবিত হয়েছে এই পেশা। লকডাউনের সময় একেবারেই বিক্রি হচ্ছিল না শাল পাতা। তাতে চরম সঙ্কটে পড়ে গিয়েছিলেন আদিবাসী মানুষজন। তবে থার্মোকলের থালার চাহিদা কমায় শালপাতার থালার বিক্রি আবার বাড়ছে।
এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্যরা বিকল্প জীবিকার অভাবেই জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করাকেই জীবিকা হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। শাল পাতা কুড়িয়ে, পাতা বেঁধে থালা তৈরি করে কোন‌ওরকমে তাঁরা টিকে আছেন।
এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্যরা বিকল্প জীবিকার অভাবেই জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করাকেই জীবিকা হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। শাল পাতা কুড়িয়ে, পাতা বেঁধে থালা তৈরি করে কোন‌ওরকমে তাঁরা টিকে আছেন।
কাঁচা শাল পাতাকে ব্যবহার করে থালা বানানো ছাড়াও অন্যান্য ব্যবহার রয়েছে শালপাতার। পাতা ঝরার মরশুমে শালপাতা সংগ্রহ করে রেখে দেন আদিবাসীরা। যা বর্ষার সময় জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগে।
কাঁচা শাল পাতাকে ব্যবহার করে থালা বানানো ছাড়াও অন্যান্য ব্যবহার রয়েছে শালপাতার। পাতা ঝরার মরশুমে শালপাতা সংগ্রহ করে রেখে দেন আদিবাসীরা। যা বর্ষার সময় জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগে।
আবার অনেকে এই পাতা সংগ্রহ করে তা বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসের দিকে বাজারজাত করেন। তাতে এখনকার বাজার মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি হয়, ফলে লাভ হয় বেশি।ছবি ও তথ্য- নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
আবার অনেকে এই পাতা সংগ্রহ করে তা বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসের দিকে বাজারজাত করেন। তাতে এখনকার বাজার মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি হয়, ফলে লাভ হয় বেশি।
ছবি ও তথ্য- নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Bengali News: পাঁচ মেয়ের‌ই বিয়ে হয়ে গেছে, কেউ দেখে না! জীবন যুদ্ধে দিশেহারা বৃদ্ধ যোগেন্দ্র

শিলিগুড়ি: সকাল গড়িয়ে ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১২ টা। তপ্ত দুপুরে শিলিগুড়ি শহরে সবাই তখন যে যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এরমধ্যে হঠাৎ এক বৃদ্ধর হাঁক ডাক কানে ভেসে আসে। পানের ঝাঁকা নিয়ে গলি গলি ঘুরে শেষে ক্লান্ত হয়ে ছায়ায় এসে বসেছিলেন। কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিয়েই ফের হাঁক দিয়ে হাঁটতে শুর করলেন, ‘পান লাগবে পান / মিঠা পাতা পান, বাংলা পাতা পান’।

আরও পড়ুন: এক বিজ্ঞপ্তিতেই সল্টলেকে মৃত্যু মুখে সারমেয়রা! সারাদিন প্রায় কিছুই খেতে পাচ্ছে না

এমন সুর তুলে মাথার ঝাঁকায় করে প্রখর রোদে পান বিক্রি করে চলেছেন ৮০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধ। বয়সের ভারে ঠিকভাবে হাঁটতেও পারেন না। তবে পান বিক্রির আশায় রোজ ঘুরে বেড়ান শহরের অলিগলি। এই বয়সে পান বিক্রি করতে রাস্তায় কেন জিজ্ঞেস করতেই তিনি জানান, থাকেন শিলিগুড়ি শহরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যসেন কলোনিতে। নাম যোগেন্দ্র সরকার। বাড়িতে থাকে দেখাশোনার মত কেউ নেই। পাঁচ মেয়ের‌ই বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কেউ তো আর দেখভাল করে না।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তাই এই ৮০ বছর বয়সেও নিজের অন্ন সংস্থানের জন্য মাথায় পানের ঝাঁকা নিয়ে ঘুরছেন। বেঁচে থাকতে গেলে যে কতটা কঠিন লড়াই করতে হয় তা এই বৃদ্ধকে দেখলেই বোঝা যায়। যোগেন্দ্রবাবু জানান,
কোন‌ওদিন ২০০ তো কোন‌ওদিন কপাল ভাল থাকলে ৪০০ টাকার মতো রোজগারও হয়ে যায়। পানের খরচ বাদ দিয়ে হাতে থাকে মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। লকডাউনের আগে পর্যন্ত সবজির ব্যবসা করতেন। কিন্তু তারপর আর হাতে টাকা না থাকায় বাধ্য হয়ে পান ফিরি করে বেড়াচ্ছেন। তবে এইভাবে আর কতদিন টানতে পারবেন তা ওই বৃদ্ধর শরীর দেখলে সংশয় তৈরি হয়।

অনির্বাণ রায়

Amir Hussain Lone: ঘাড় ও কাঁধে ধরে ব্যাটিং, পায়ের সাহায্যে বোলিং, স্বপ্ন দেখাচ্ছেন শৈশবের দুর্ঘটনায় বাহুহীন এই কাশ্মীরি ক্রিকেটার

শ্রীনগর: ক্রিকেটের ব্যাকরণকে নতুন করে লিখছেন আমির হুসেন লোন। জম্মু কাশ্মীরের এই ক্রিকেটার শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে ক্রিকেট শুধু খেলছেনই না, বরং অধিনায়কত্ব করছেন। জম্মু কাশ্মীরের প্যারা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তিনি। বিজবেহারা এলাকার ওয়াঘামা গ্রামের এই তরুণ এখন সকলের অনুপ্রেরণা।

পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু ২০১৩ সালে। শৈশবে মাত্র ৮ বছর বয়সে নিজের দু’টো হাত তিনি হারান বাবার কারখানায়। তার পরও ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেননি। হালও ছাড়েননি। তাঁর প্রতিভার সন্ধান পেয়ে এক শিক্ষক ক্রিকেটার হওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলেন। কাঁধ এবং ঘাড়ের মাঝে ব্যাট ধরে তিনি ব্যাটিং করেন। বোলিং করেন দু’ পায়ের সাহায্যে।

আরও পড়ুন : নীল রঙের এই কলা! মুখে দিলেই ভ্যানিলা আইসক্রিম! ওজন ও হৃদরোগ কমাতে অদ্বিতীয়…খেয়ে দেখুন একবার

৩৪ বছর বয়সি এই ক্রিকেটারের কথায়, ‘‘দুর্ঘটনার পর আমি আশা ছাড়িনি। কঠোর পরিশ্রম করে যেতে থাকি। সব কাজ আমি নিজেই করতে পারি। কারওর উপর নির্ভরশীল নই। দুর্ঘটনার পর কেউ আমাকে সাহায্য করেনি। সরকারও কোনও সাহায্য করেনি। শুধু পরিবার আমার পাশে ছিল।’’

 

প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে তাঁকে খেলতে দেখে বাকিদের প্রতিক্রিয়া নিয়েও বলেছেন এই তরুণ, ‘‘২০১৩ সালে আমি দিল্লিতে জাতীয় স্তরের ম্যাচ খেলি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলি। তার পর আমি নেপাল, শারজা, দুবাইয়ে ক্রিকেট খেলেছি। আমার পা দিয়ে বোলিং এবং ঘাড় ও কাঁধের সাহায্যে ব্যাটিং দেখে সকলে চমকে গিয়েছিল। ক্রিকেট খেলার শক্তি দেওয়ার জন্য আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই।’’

আমিরের জীবনসংগ্রাম নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমা। তাঁর এবং দলের বাকি সদস্যদের আদর্শ সচিন তেন্ডুলকর এবং বিরাট কোহলি। দুই মহাতারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য দিন গুনছেন তাঁরা।