দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : সরকারিভাবে বর্ষা বিদায় নিলেও এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির বিরাম নেই বাংলায়। কিন্তু শীতের গন্ধ নিয়ে হাজির হয়েছে ওরা। প্রায় একমাস আগে থেকেই খেজুর গুড় তৈরির কারিগররা হাজির হয়েছেন বাগানে।
এক মাস ধরে খেজুর গাছ প্রস্তুত করার কাজ চলছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আর কয়েক সপ্তাহের অপেক্ষা। তারপরেই পাওয়া যাবে টাটকা খেজুর গুড়।
মূলত, নদীয়া থেকে খেজুরগুড় প্রস্তুতকারকরা হাজির হয়েছেন বিভিন্ন বাগানে। বাগানগুলি প্রত্যেক বছর তারা লিজ নেন। শীত শুরুর আগেই তারা এই বাগানে হাজির হয়ে যান। কারণ খেজুর রস সংগ্রহ করার আগে আরও বেশ কিছু কাজ থাকে।
মূলত বাগান পরিষ্কার করা, খেজুর গাছগুলি থেকে রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করার কাজগুলি চলতে থাকে প্রায় মাস দেড়েক আগে থেকে। অন্যদিকে খেজুর গুড় তৈরির জন্য উনুন তৈরি, কারিগরদের থাকার জায়গা ইত্যাদি তৈরি হয়।
কিন্তু কখন পাওয়া যাবে খেজুর গুড়? এক কারিগর বলছেন ‘‘মূলত খেজুর রস সংগ্রহ শুরু হলেই খেজুর গুড় তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। তবে তার জন্য এখন সপ্তাহ দুয়েক অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আর একটু ঠান্ডা ভাব না এলে খেজুর গাছগুলি থেকে রস পাওয়া যাবে না।’’ মোটামুটি ভাবে কালীপুজোর পর থেকেই খেজুর রস তারা সংগ্রহ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
অর্থাৎ আর মাত্র দুইসপ্তাহের পর থেকেই বাঙালির পাতে উঠবে টাটকা খেজুর গুড়। যদিও প্রথমদিকে খেজুর রস কম পাওয়া যাবে। ফলে খেজুর গুড় উৎপাদন হবে কম। কিন্তু শীত পুরোপুরি ভাবে এলে আরও বেশি গুড় উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
তবে বৃষ্টি হলে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হবে। তাই ঠিক সময় সুস্বাদু খেজুর গুড় পেতে হলে আবহাওয়া ভাল থাকতে হবে। যে কারণে প্রায় ১৫০০ খেজুর গাছ প্রস্তুত করে রস সংগ্রহের অপেক্ষায় রয়েছেন কারিগররা।
নয়ন ঘোষ