বংশী সেন মোদক

Buddhadeb Bhattacharjee death: বিদায় নিয়েছেন বুদ্ধদেব! প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে চোখে জল ৮০ বছরের চা বিক্রেতার

বাঁকুড়া: ‘বুদ্ধবাবু আমাকে খুব ভালবাসতেন’ বললেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ, পার্টি অফিসের বাইরে চা বিক্রি করেন তিনি। যতবার বাঁকুড়া আসতেন, ততবারই তাঁর চায়ের দোকানে যেতেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বংশীর চা ছাড়া একদম চলত না তার। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মারা গেছেন শুনে চোখে জল ৮০ বছরের বংশী সেন মোদকের।

স্কুলডাঙ্গার পার্টি অফিসের পাশে বংশীবাবুর দোকান ছিল, যা এখন আর নেই। প্রায় দশ বছর আগে শারীরিক কারণে ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য হন বৃদ্ধ। তবে তার আগে যতবার বাঁকুড়ায় এসেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, ততবার বংশীর চা তার সঙ্গে ছিল। কাঁপা কাঁপা গলায় বংশী বলেন, “তিনি আমায় তিনি খুব ভালবাসতেন।”

আরও পড়ুন: শেষ বার আলিমুদ্দিনে বুদ্ধদেব, শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বাম নেতা-কর্মী-সমর্থকরা

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বহুবার এসেছেন বাঁকুড়ায়। বঙ্গ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু করে সতীঘাট। তাঁর সভায় ভিড় করেছে লাখ লাখ মানুষ। এক সময় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাশে থেকে বহু কাজ করেছেন অনাথ মল্ল, বর্তমানে তিনি রাজ্যের ফরওয়ার্ড ব্লকের সভাপতি। অনাথ বলেন, একজন মুখ্যমন্ত্রীর মতো তিনি ব্যবহার করতেন না। তাঁর ব্যবহার দেখে মনে হত তিনি একজন সাধারণ মানুষ। সবাইকে পাশে নিয়ে চলতেন। তার ব্যবহার আমরা ভুলতে পারছি না। বিধানসভা এবং লোকসভার ভোটও তিনি পরিচালনা করে গেছেন। আজও পর্যন্ত ২০১০ সালের ৩০ অক্টোবরের জনসভার চেয়ে বড় জনসভা বাঁকুড়ায় কোনও দিন হয়নি”। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মৃতিচারণ করতে করতে উঠে এল বংশীবাবুর চায়ের দোকানের কথা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পরে ইউনুসকে শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কী বললেন মমতা?

সাদা চুল, সাদা পাঞ্জাবি, সাদা ধুতি। রাজ্যের বিভিন্ন খুঁটিনাটি তার নখদর্পণে। বহুবার এসেছেন বাঁকুড়া, করেছেন সভাও। মানুষের ভিড় উপচে পড়েছে বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সতীঘাটে। সেই পথচলার গতি কমেছিল আগেই, এবার শেষ হল সেই পথচলা।