পশ্চিম মেদিনীপুর : ছোট থেকেই এক এক করে শুরু। জীবনের প্রথম পর্যায়ে প্রথাগত তালিম না থাকলেও তিনি শুরু করেন ছবি আঁকা। দেখে দেখে আঁকতেন নানা ছবি, বাহবা পেতেন বড়দের থেকে। এভাবেই শুরু। ছোট জীবনে গড়েছেন একাধিক দেবদেবীর মূর্তিও। তবে এরপর ফাইন আর্ট নিয়ে কলেজে পড়াশোনা। পড়াশোনার শেষে তিনি চলে আসেন ভাস্কর্যে, ফাইবার, কাঠ দিয়ে করেছেন একাধিক মূর্তি। রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যেও গিয়েছে তার হাতে বানানো একাধিক মনীষীদের মূর্তি। শুধু যে হাতের নিপুণতা তা নয়, তিনি বাজাতে পারেন বাঁশি। শরীর সুস্থ রাখতে এখনও নিয়মিত শরীরচর্চা এবং জিমন্যাস্টিকের প্র্যাকটিসও করেন তিনি। শিল্পীর প্রতিভা অবাক করবে সকলকে।
প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম। সেই অর্থে পাননি প্রথাগত তালিম। সামান্য।মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম তার। এখন পেশাগতভাবে প্রতিদিন গড়ে চলেছেন একাধিক মূর্তি। অবসরে বসে পড়েন বাঁশের বাঁশি নিয়ে। যেমন তার হাতের সৌখিনতা তেমনইহাতের কারসাজিতে সুর ওঠে বিভিন্ন গানের। একাধারে যেমন তিনি ভাস্কর্য তৈরি করেন তেমনই বাঁশের বাঁশিতে সুর ওঠে নিত্যনতুন। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর গ্রামীণের ঝিলিঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ভবতোষ বেরা। ছোট থেকেই তার শখ অঙ্কনের প্রতি। পরবর্তীতে তিনি চলে আসেন ভাস্কর্য পেশাতে।
আরও পড়ুন : মোগলমারি বৌদ্ধবিহারে এসেছেন? দেখেছেন এক মূর্তি গুলো? ইতিহাস জানেন?
বাড়িতেই করেছেন স্টুডিও। বাড়িতেই সারাদিন বসে গড়ে তোলেন বিবেকানন্দ থেকে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি। এছাড়াও একাধিক মানুষেরও প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন তিনি। বাংলা নয়, বাংলার পাশাপাশি বিহার, ঝাড়খন্ডে গিয়েছে তার হাতে তৈরি নানা মূর্তি। তার শিল্পী জীবনে বেশি গড়েছেন বিবেকানন্দের মূর্তি ও রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতি। প্রতিদিন তার শিল্পকর্মে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী। এছাড়াও কমবেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাও দেন তিনি। তার হাতে গড়া একাধিক ছাত্র-ছাত্রী আজ প্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন : সম্পত্তির বন্টন নেই, এই নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে ঝামেলা? জেনে নিন আইনজীবীর পরামর্শ
সামান্য ছাপোষা পরিবারের সন্তান তিনি, ছোট থেকেই অভাবকে সঙ্গী করে বড় হয়ে ওঠা। ছোটবেলায় সেই অর্থে কোনও প্রথাগত তালিম না পেলেও, নিজের জেদ ও ইচ্ছেতেই শিখেছেন অংকন। করেছেন কলেজ পাস। বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। কখনও কাঠ, কখনও ফাইবার দিয়ে নানান মূর্তি গড়েন। তার হাতের শিল্প নিপুনতা অবাক করবে সকলকে। শিল্পীর এই শিল্পগুনকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ