লাঙ্গল দিয়ে চাষে ব্যস্ত কৃষক 

North 24 Parganas News:  আধুনিক কৃষি‌যন্ত্রের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন লাঙল

বসিরহাট: আধুনিক যন্ত্রের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন লাঙল। কাকভোরে গ্রামের মেঠো আলপথ ধরে সামনে দু’টি গোরু, পিছনে গোরুর লাঙল ঘাড়ে হেঁটে চলেছেন কৃষক। এমন ছবি খুব বেশি দিনের পুরানো নয়। এক সময় গ্রামবাংলার কৃষকরা এক টুকরো লোহার ফাল আর কাঠ দিয়ে তৈরি লাঙল, জোয়াল ও বাঁশের তৈরি মই ব্যবহার করে গরুর সাহায্যে জমিতে চাষ করতেন। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কৃষকদের জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। এখন সেই লাঙল, জোঁয়াল, মই এবং গরুর স্থান দখল করেছে ইঞ্জিন চালিত পাওয়ার টিলার। অথচ কৃষিকাজে যুগের পর যুগ ধরে লাঙল দিয়ে জমি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।

আরও পড়ুন: মাঝরাস্তা থেকে সন্দীপ ঘোষকে পাকড়াও করল সিবিআই, সোজা নিয়ে গেল সিজিও-তে

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকার হিঙ্গলগঞ্জের স্বরূপকাঠি গ্ৰাম বছর ৬২ এর কৃষক কৃষক নগেন্দ্র মণ্ডল পিতৃপুরুষদের আমলের লাঙলের মাধ্যমে হাল চাষের পদ্ধতি ধরে রেখেছেন। রাতের আধার শেষ হওয়ার আগেই গরু কাঠের লাঙল দিয়ে বেরিয়ে পড়েন নগেন্দ্র বাবু। মাঠে কাজ করতে করতে একটু বেলা হলে কাপড়ে পুটলি বেঁধে স্ত্রী ফুলবাসি তার বাড়ির বাসি কাজ কাজকর্ম ছেড়ে নগেন্দ্র বাবুর জন্য পান্তা ভাত নিয়ে আসেন, সঙ্গে থাকে কাঁচা লঙ্কা পেঁয়াজ। আর এই চেনা ছবি যেন হারিয়ে যেতে বসেছে কলের ভিড়ে।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনুসের, কী বিষয়ে কথা হল?

প্রাচীন ঐতিহ্যের লাঙল নাকি পাওয়ার টিলার কোনটি কৃষির কাজের জন্য উপযুক্ত এ বিষয়ে কৃষিবিদ রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় জানান, “চাষের কাজ পাওয়ারটিলারে দ্রুত হলেও প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হওয়া লাঙলের মাধ্যমে চাষে মাটির গভীরতা বেশি খনন হয় সেজন্য বাড়তি উর্বরতা পাওয়া যায়। ” তবে লাঙল গ্রাম বাংলার এক সময়ের ঐতিহ্যও বটে। যা কালের বিবর্তনে আগামীতে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়াবে, এমনটাই মনে করছেন অনেকেই।