কর্মীদের বার্তা অনুব্রতর

Anubrata Mondal News: সেই পুরনো ছন্দে অনুব্রত মণ্ডল! বার্তা দিলেন কর্মীদের, কালীপুজোর পর কী করতে চলেছেন?

ইন্দ্রজিৎ রুজ, বোলপুর: ২ বছর পর জামিন পেয়ে বীরভূমে ফিরে প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এমনকি, তিনি ফের সক্রিয় রাজনীতিতে যে দাপটের সঙ্গে ফিরছেন, সেকথা বুঝিয়ে দিতে বলেন, “পার্টি অফিসে এমনি আসছি নাকি? সবাই যেন এক সঙ্গে চলে।” নাম না করে কাজল শেখের উদ্দেশ্যে অনুব্রত বলেন, “কেউ খুঁচিয়ে দিল আর বাইট দিয়ে দিলাম, এটা যেন না হয়।” বাস্তবিকই পুরনো ছন্দে দেখা গেল বীরভূমের কেষ্টকে৷ অর্থাৎ, অনুব্রত জেলায় ফিরতেই সরগরম বীরভূমের রাজনৈতিক ক্ষেত্র৷

দিল্লি থেকে ফেরার পর বুধবার প্রথম দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন অনুব্রত৷ এদিন, ফের দলীয় কার্যালয়ে আসেন তিনি৷ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন৷ পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অনুব্রত৷ বেশ কিছুটা পুরনো ছন্দেই দেখা গেল বীরভূমের ‘কেষ্ট’কে৷ তিনি বলেন, “আমি খুবই ভাল আছি৷ আপনাদের সহযোগিতা করতে বলব৷ মুখ্যমন্ত্রী এখানে এসেছিলেন, ধন্যবাদ জানাই তাঁকে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন জেলার বিধায়ক, নেতা, সভাধিপতি সবাইকে এক সঙ্গে মিলে কাজ করতে। আর মানুষের পাশে থাকব। কালীপুজোর পর ব্লকে ব্লকে মিটিং করব৷”

আরও পড়ুন: ‘যা অভিযোগ, তা যদি প্রমাণ হয়…’ সন্দীপ-অভিজিৎদের বিরাট বিপদ! সিবিআইয়ের বড় আবেদনও খারিজ

সক্রিয় রাজনীতি করবেন? এহেন প্রশ্নে তিনি বলেন, “কেন আগের বারের মতো রাজনীতি করব না? কী জন্য পার্টি অফিসে আসছি? কী জন্য বলছি মানুষকে নিয়ে চলতে হবে?”

দলের নেতা-কর্মীদের বার্তা দিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “সবাই যেন ভাল থাকে৷ কেউ যেন অশান্তি না করে৷ সবাইকে নিয়ে যেন চলে। কেউ বুঝিয়ে দিল, আর বাইট দিয়ে দিল৷ তা যেন না হয়।”

অনুব্রতর সংযোজন, “আমার মেয়েকে ১৬ মাস জেল খাটানো হয়েছে। সে তো নেতা নয়৷ সাধারণ বাড়ির মেয়ে৷ যাক ঈশ্বরের কাছে আমি এমন কিছু অন্যায় করেছিলাম, তার পাপের শাস্তি পেয়েছি৷ তাই সবাই এক সঙ্গে চলব৷ কেউ ভেদাভেদ করো না মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ।” অর্থাৎ, অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমে ফিরেই বুঝিয়ে দিলেন, তিনি দাপটের সঙ্গেই নিজের পুরনো ‘ফর্মে’ ফিরছেন। এমনকি, সেই চেনা ছন্দে দলের নেতা-কর্মীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে বিরত থাকার বার্তা দিলেন।