শনি-মঙ্গল নিয়ে আমাদের বাঙালিদের একটা খুঁতুখুঁতুনি আছেই। শনিবারে কোথাও যাত্রা বা নতুন কাজ শুরু সাধারণত কেউ করতে চান না, বিশেষ করে তা যদি বারবেলায় হয়। আবার মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার প্রতিমা বিসর্জনের রীতি নেই। অথচ, এবার বিজয়া দশমী পড়েছে শনিবারেই। এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু তিথি ক্ষয়ের কারণে চার দিনের বদলে পুজো কমে এসেছে তিন দিনে। বিজয়া দশমীও তাই রবিবারের বদলে পড়েছে শনিবার।
দেওঘরের পাগলবাবা আশ্রমের বিখ্যাত জ্যোতিষাচার্য পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগল লোকাল 18-কে বলেছেন যে সাধারণত বিজয়া দশমীকে শুভ তিথি রূপে গণ্য করা হয়। সর্বভারতীয় স্তরে এই তিথিতে নতুন সম্পত্তি কেনা, কন্যার পিতৃগৃহ পরিত্যাগ করে স্বামীগৃহে যাওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। এর জন্য বিজয়া দশমীতে নির্দিষ্ট শুভ লগ্নেরও প্রয়োজন হয় না। বিজয়া দশমী জুড়ে বিরাজ করে অবুজ মুহূর্ত, যার অর্থ সমগ্র দিনটিই শুভ।
যদিও এবার শনিবার পড়ে যাওয়ায় এই অবুজ মুহূর্ত থাকছে না। পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগল বলছেন যে সর্বভারতীয় পঞ্জিকা মতে এবার বিজয়া দশমী শুরু হচ্ছে ১২ অক্টোবর সকাল ১১টা ০৫ মিনিট থেকে এবং তা শেষ হচ্ছে ১৩ অক্টোবর সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে। কিন্তু উদয় তিথি অনুসারে বিজয়া দশমী উদযাপিত হবে ১২ অক্টোবর, শনিবারে।
আরও পড়ুন : পেটের রোগ সারাতে অব্যর্থ গুড়! খেতে হবে এভাবে! ব্লাড সুগারে কি খাওয়া যায়? জানুন
কেন এবার বিজয়া দশমী তিথিকে শুভকাজের অযোগ্য বলে গণ্য করছেন জ্যোতিষীরা? পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগল বলছেন, সর্বভারতীয় পঞ্জিকা মতে এবার দেবীর দোলায় আগমন, যার ফল ছত্রভঙ্গ বা ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়। অন্য দিকে, দেবীর গমন ঘোটকে, এটিও অশুভের ইঙ্গিতবাহী। এর সঙ্গে শনিবার যুক্ত হওয়ায় শুভ কাজে বাধা পড়েছে।
ফলে, তাঁর মতে, সম্পত্তি ক্রয়, নতুন প্রকল্প শুরু বা কন্যার স্বামীগৃহে যাত্রা এবছর বিজয়া দশমীতে স্থগিত রাখাই উচিত হবে। চাইলে গুরুজনদের প্রণাম, সমবয়সীদের বিজয়া দশমীর প্রীতি এবং শুভেচ্ছা জ্ঞাপনও রবিবারে করাই ভাল!