নদীর জলে ভেসে গেল বাঁশের সাঁকো, ঝুঁকি নিয়ে চলছে নৌকায় পারাপার

Bamboo Bridge Collapsed : জলের তোড়ে ভেসে গেল বাঁশের সাঁকো, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুই জেলার

ঝাড়গ্রাম: অনবরত বৃষ্টির জেরে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে ভেসে গেল বাঁশের সাঁকো। যার ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দুই জেলার মধ্যে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নদীর দুই তীরে থাকা দুই জেলার গ্রামবাসীদের। বাধ্য হয়ে প্রতিদিন তারা নৌকায় করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে পারাপার।

টানা ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের বাঁধগোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতপাটি এলাকা। কংসাবতী নদীর উপর সাতপাটিতে একটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। যার মাধম্যে ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দারা চিকিৎসা পরিষেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজের জন্য পার্শ্ববর্তী জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে যাতায়াত করেন। আবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলির বহু মানুষ প্রতিদিন সবজি থেকে শুরু করে দুধ বিক্রি করার জন্য ঝাড়গ্রামে আসেন। নদীর জলের তোড়ে সাঁকোটি ভেসে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের।

আরও পড়ুন: অর্থের অভাবে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে কুশলের?

সাতপাটি, বাঁধগড়া, নারানপুর সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষকে মেদিনীপুর যেতে হলে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ কিলোমিটার ঘুর পথে ধেরুয়ার ব্রিজ পেরিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এই বাঁশের সাঁকো থাকায় সহজেই কংসাবতী নদী পেরিয়ে চাঁদড়া হয়ে চলে যাওয়া যায় মেদিনীপুরে। সারা বছর কংসাবতী নদীতে তেমন একটা জল না থাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। কিন্তু সেই সাঁকো ভেঙে পড়ায় এখন সকলের মাথায় হাত।

ঝাড়গ্রামের দুধ বিক্রেতা শানু বলেন, বাঁশের সাঁকো দিয়ে কংসাবতী নদী পেরিয়ে ঝাড়গ্রাম আসার এটাই একমাত্র সহজ পথ। প্রতিদিন আমাদের কাজের সূত্রে যাতায়াত করতে হয়। নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকোটি ভেসে গিয়েছে। ফলে ভয় হলেও নৌকোতে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রশাসনের উদ্যোগে এখানে যদি কজওয়ে বা সেতু নির্মাণ করা হলে আমরা উপকৃত হব।

বুদ্ধদেব বেরা