দহন জ্বালার মধ্যে শান্তি দিচ্ছে কিশোরের কুলফি

Bangla Video: বৃদ্ধ কিশোরীর কুলফির স্বাদে মজে আট থেকে আশি

হুগলি: তীব্র দাবদাহে পুড়ছে রাজ্য। হুগলিতেও একই অবস্থা। দহন জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে ঘনঘন জল খেয়েও যেন পিপাসা মিটছে না। ঠান্ডা কিছু খেতে মন চাইছে। কিশোরী সাউ সেই তৃপ্তি দিচ্ছেন হুগলির গ্রামে গ্রামে ঘুরে। কাঁচা বরফের টুকরোর ভিতর লুকিয়ে থাকা টিনের চোঙা বের করে এনে ছুরি দিয়ে চাপ দিতেই মুখ খুলে যায়। বার দুয়েক ঝাঁকাতেই কোন‌ও আকৃতির সেই লোভনীয় জিনিসটি বেরিয়ে আসে। শালপাতায় ছোটো ছোটো টুকরো করে হাতে ধরাতেই জিভে জল চলে আসে।

কুলফি মালাই এই গরমে শরীর ঠান্ডা করে। প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে মাথায় ঝাঁকা নিয়ে সেই কুলফি বিক্রি করে চলেছেন বৃদ্ধ কিশোরী সাউ। আদতে বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা, থাকেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। হুগলির পান্ডুয়ার বৈঁচি গ্রাম, পোলবা সহ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে কুলফি ফেরি করেন। কুলফি বেচে তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি একা। তবে পেট চালাতে কুলফি ফেরি করেন আজও। অশক্ত শরীর অনেক সময় চলে না, তাই গাছের ছায়ায় একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার পথে বেরিয়ে পড়েন।

আর‌ও পড়ুন: নির্ধারিত দিনের আগেই ভোটগ্রহণ আসানসোলে!

এই কুলফি খেলে গ্রীষ্মের উষ্ণতা থেকে একটু পরিতৃপ্তি মেলে। এখন যারা প্রৌঢ় হয়েছেন তাঁরা ছোটোবেলায় কিশোরীর কুলফি খেয়েছেন, এখনও খান। তেমনই একজন বনমালী পরামানিক বলেন, ছোটোবেলায় কুলফি খেতাম বৃদ্ধের থেকে। তখন ওর বয়সও কম ছিল। এখন এই বয়সেও মাথায় ভারি ঝাঁকা নিয়ে ঘোরেন। দেখে কষ্ট হয়। তার কুলফির স্বাদ একই আছে।

রাহী হালদার