বাবার সঙ্গে মালা তৈরি করছে শিল্পা 

Bangla Video: পুজোর মালা তৈরি করে পড়াশোনার খরচ জোটাচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কিশোরী

পূর্ব বর্ধমান:  শিল্পা প্রামাণিক পঞ্চাননতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। কিছুদিন পরেই সে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। তবে পড়াশোনা সামলেই সে নিয়মিত মালা তৈরির কাজে সাহায্য করে তার বাবাকে। এমনি দৃশ্য দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়।

মাধ্যমিকের পড়া সামলে বিশ্বকর্মা পুজোর মালা তৈরির কাজে ব্যস্ত পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া-১ ব্লকের বনগ্রামের ছাত্রী শিল্পা প্রামানিক। আর কয়েকদিন পরই বিশ্বকর্মা পুজো। আর তার আগে জোরকদমে মালা তৈরির কাজ চলছে। বনগ্রামের বাসিন্দা সৌরভ প্রামাণিক দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত রয়েছেন মালা তৈরির কাজে। সৌরভ’বাবুর দুই মেয়ে এবং এক ছেলে। ছোট মেয়ের নাম শিল্পা। সেই’ই মালা তৈরির কাজে বাবাকে নিয়মিত সাহায্য করে। এই প্রসঙ্গে শিল্পা জানিয়েছে, আর কয়েক মাস পরই মাধ্যমিক পরীক্ষা দেব। কিন্তু এখন পড়াশোনা সামলানোর পরেও আমাকে মালা তৈরি করতে হচ্ছে। মালা তৈরি করে যে অর্থ পাই সেখান থেকে আমি আমার পড়াশোনার খরচ চালাই। আমাদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়, সেই কারণেই নিজের খরচ নিজে মেটানোর জন্যই মালা তৈরি করতে হয়।

আরও পড়ুন: কেউ এলেন শখের বাইক নিয়ে, কারোর আবার সঙ্গী স্কুটি! আরজি কর কাণ্ডে এ কোন দৃশ্য

কাটোয়া-১ ব্লকের বনগ্রাম, পঞ্চাননতলা, দুর্গাগ্রামের প্রায় বাড়িতেই হয় কাপড় অথবা প্লাস্টিকের মালা তৈরির কাজ। আর এই তিন গ্রাম থেকে তৈরি হওয়া মালা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পাড়ি দেয়। বিভিন্ন পুজোয় নানান ধরনের মালা তৈরি করেই দিন চলে তাঁদের। বিভিন্ন পুজোয় এইসকল গ্রামগুলিতে তৈরি হওয়া মালার ভাল চাহিদা থাকে। সেরকমই বিশ্বকর্মা পুজোতেও মালার চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে।

শিল্পার বাবা সৌরভ প্রামাণিক জানিয়েছেন, একার দ্বারা মালা তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই আমার মেয়েরাও আমাকে সাহায্য করে। ছোট মেয়ে শিল্পা মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। নিজের পড়াশোনা করে তারপরও আমাকে মালা তৈরিতে সাহায্য করে। এতে নিজের খরচ ও নিজেই মেটাতে পারে। আমি চাইব আগামী দিনে যেন পড়াশোনা করে স্বনির্ভর হয়।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী