দাঁড়িয়ে পণ্যবাহী ট্রাক

Bangladesh Anti-Quota Student Movement: বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব এপারেও, ব্যাপক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা

উত্তর ২৪ পরগনা: সরকারি চাকরিতে কোটা-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশটির সুপ্রিম কোর্ট গত রবিবার ছাত্রদের দাবির পক্ষে রায়দান করলেও এখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। নতুন করে চার দফা দাবি তুলে ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্ররা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। অফিস কাছারি সবকিছু বন্ধ। সেই ঘটনার প্রভাব এসে পড়েছে এপার বাংলাতেও।

গোটা বাংলাদেশ জুড়ে এই মুহূর্তে কারফিউ চলায় দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর পেট্রাপোল দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যত বন্ধ। সীমান্তপারে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পণ্যবাহী প্রায় ৮৫০ টি ট্রাক সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সীমান্তে। প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের অর্থ ক্ষতি হচ্ছে। কবে আবারও পুনরায় স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্য দেখা যাবে এই স্থল বন্দরে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।

আর‌ও পড়ুন: স্কুল আছে, শিক্ষক‌ও আছেন শুধু নেই ক্লাসরুম! এ এক আজব জায়গা

হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। কোন‌ওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না ওপারের পোর্ট অথরিটির সঙ্গে। আর তার ফলে সমস্যা আর‌ও বেড়েছে। জানা গিয়েছি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে আটকে রয়েছে ভারত থেকে যাওয়া প্রায় ২০০ টি পণ্যবাহী ট্রাক। ইতিমধ্যেই পোর্ট অথরিটির তরফ থেকে জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশ পোর্ট অথরিটির সঙ্গে একটি বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে আটকে থাকা ভারতীয় ট্রাকগুলির পণ্য খালি করে পুনরায় দেশে ফেরানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আটকে পড়া ভারতীয় ট্রাকগুলির চালক ও খালাসিরা রিতীমত আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

এদিকে ভারত থেকে ট্রাক যেতে না পারায় বাংলাদেশে কাঁচা সবজির দামও বিপুলভাবে বেড়ে গিয়েছে। তাই সবার আগে কাঁচা সবজিবাহী ট্রাকগুলো বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াতের পাশাপাশি প্রচুর মানুষও যাতায়াত করেন। ফলে এই স্থলবন্দর ঘিরে একটি বড়সড় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘটে। এখানে অনেকের দোকান আছে। কিন্তু বাংলাদেশে অশান্তি শুরু হওয়ার পর সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় দোকানদাররাও।

রুদ্রনারায়ণ রায়