CMOH বাংলো 

Ayurvedic Plant Garden: বাঁকুড়ার এই সরকারি বাংলোয় আছে ভেষজ রত্নে ভরা জীবনদায়ী বাগান, নেপথ্যকাহিনি জানলে চমকে যাবেন

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার আনাচেকানাচে যে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদগুলি দেখে আপনারা আগাছা বলে মনে করেন তার অধিকাংশরই রয়েছে ভেষজ গুণ! বাঁকুড়ায় আয়ুষ শাখার হাত ধরে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় ভেষজ বাগান। তেমনই একটি বাগান রয়েছে বাঁকুড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সরকারি বাংলোয়। মোটামুটি আকারে দুই থেকে আড়াই কাঠার মতো জায়গায় তৈরি এই ভেষজ বাগানে পাওয়া যাবে এক একটি ভেষজ রত্ন। সহজলভ্য এই গাছগুলি চেনেনই না অনেকে যেমন, কালমেঘ, সিট্রোনেলা, কুলেখাড়া এবং ঘৃতকুমারী। এই বাগান তৈরি করা হয়েছে বাঁকুড়া আয়ুষ শাখার তরফ থেকে।

এমনিতেই সরকারি বাংলো, ছিমছাম। গাছগাছালিতে ঘেরা সুন্দর পরিবেশ। বাগানে প্রতিটি গাছের গায়ে লেখা রয়েছে নাম। সেই নাম দেখে খুব সহজেই চিনে ফেলতে পারবেন গাছটি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, মানুষের ভেষজ উদ্ভিদ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই আয়ুষ শাখার এমন চিন্তাভাবনা। এছাড়াও নিজেদের বাগানের ভেষজ উদ্ভিদগুলিও নানারকম ভাবে জনকল্যাণকর কাজে ব্যবহার করা হয় এই দফতর থেকে।

আরও পড়ুন : মহিষাদলের রথযাত্রা দেখতে যাবেন? বিশদে জানুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

প্রাচীনকাল থেকে আদিবাসী চিকিৎসকরা ওষধি গাছ ব্যবহার করে আসছেন এবং মানবতার ঐতিহ্যগত জ্ঞানের অংশ এই ভেষজ পাঠ। ভারতবর্ষের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে ভেষজ উদ্ভিদের নাম। প্রাচীন ভারতে এই উদ্ভিদ ব্যাবহার করে এক অন্য মাত্রায় পোঁছে ছিল তৎকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা। বাঁকুড়ার মাটিও বহু প্রাচীন, রয়েছে ভেষজ ইতিহাস এবং প্রাগৈতিহাসিক ভূখণ্ড শুশুনিয়া পাহাড়। যেখানে গেলে আজও খুঁজে পাওয়া যাবে নাম না জানা বহু ভেষজ উদ্ভিদ। সেই কারণেই বাঁকুড়ার আয়ুষ ভেষজ উদ্যানগুলি একটি বিশেষ বার্তা বহন করছে।