Tag Archives: garden
Herbs Garden: স্কুলে ভেষজ উদ্যান, ঔষধি গাছ চিনছে পড়ুয়ারা
হাওড়া: বিদ্যালয়ে ভেষজ উদ্যান। স্কুলের মধ্যে গড়ে ওঠা এই ভেষজ উদ্যানের উদ্ভিদদের গুণাবলী বিষয়ক পাঠ নিচ্ছে পড়ুয়ারা। এই ভেষজ বাগান থেকে প্রয়োজনমত পাতা সংগ্রহ করে তা ব্যবহার করাও হচ্ছে। উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের বাড়মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এলে এই ভেষজ বাগান দেখতে পাবেন।
প্রায় ৩-৪ মাস আগে এই ভেষজ বাগান তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল স্কুলটিতে। তারও কয়েক বছর আগে শুরু হয়েছিল ফলের বাগান তৈরির কাজ। সেই বাগানে কয়েক বছর আগে লাগানো গাছে ফল ধরতে শুরু করেছে। যা নিয়ে ভীষণ উৎসাহিত স্কুলের পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষকরা সকলে। ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের হাতে লাগানো পেয়ারা, জামরুল, পাতিলেবু আম-আমড়া, কুল, জাম সহ নানান ফলের গাছ আছে এখানে। এর মধ্যে অধিকাংশ গাছেই ফল ধরেছে। নিজেদের লাগানো গাছে ফল দেখে দারুন আনন্দিত এবং উৎসাহিত ছাত্রছাত্রীরা। এবার পুরনো সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সকলে ব্যস্ত ভেষজ উদ্যান তৈরিতে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে কীভাবে নিজেকে বাঁচাবেন? হাতে-কলমে শিখল দিঘার পড়ুয়ারা
ভেষজ গাছের উপকারিতা এবং গাছের পরিচর্যা বিষয়ে ছাত্রদের অবগত করে চলেছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তাপস বাঙাল। নিজের উদ্যোগে গাছ জোগাড় করে বাগান তৈরি করছেন বিদ্যালয়ে। গাছ লাগানো আর গাছ দান করা হল তাপসবাবুর নেশা। মানুষকে নানাভাবে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক রাজদ্রুত সামন্ত জানান, ভেষজ বাগানে বিশল্যকরুল, অরিগ্যানো, লেমন গ্রাস, মুক্তঝুরি, ভুঁয়ে আমলা, অ্যালোভেরা, থানকুনি সহ প্রায় ৪০ রকমের গাছ লাগানো হয়েছে। এই ভেষজ বাগানের মাধ্যমে উদ্ভিদের প্রতি পড়ুয়াদের মধ্যে ভালোবাসা তৈরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রাকেশ মাইতি
Ayurvedic Plant Garden: বাঁকুড়ার এই সরকারি বাংলোয় আছে ভেষজ রত্নে ভরা জীবনদায়ী বাগান, নেপথ্যকাহিনি জানলে চমকে যাবেন
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার আনাচেকানাচে যে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদগুলি দেখে আপনারা আগাছা বলে মনে করেন তার অধিকাংশরই রয়েছে ভেষজ গুণ! বাঁকুড়ায় আয়ুষ শাখার হাত ধরে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় ভেষজ বাগান। তেমনই একটি বাগান রয়েছে বাঁকুড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সরকারি বাংলোয়। মোটামুটি আকারে দুই থেকে আড়াই কাঠার মতো জায়গায় তৈরি এই ভেষজ বাগানে পাওয়া যাবে এক একটি ভেষজ রত্ন। সহজলভ্য এই গাছগুলি চেনেনই না অনেকে যেমন, কালমেঘ, সিট্রোনেলা, কুলেখাড়া এবং ঘৃতকুমারী। এই বাগান তৈরি করা হয়েছে বাঁকুড়া আয়ুষ শাখার তরফ থেকে।
এমনিতেই সরকারি বাংলো, ছিমছাম। গাছগাছালিতে ঘেরা সুন্দর পরিবেশ। বাগানে প্রতিটি গাছের গায়ে লেখা রয়েছে নাম। সেই নাম দেখে খুব সহজেই চিনে ফেলতে পারবেন গাছটি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, মানুষের ভেষজ উদ্ভিদ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই আয়ুষ শাখার এমন চিন্তাভাবনা। এছাড়াও নিজেদের বাগানের ভেষজ উদ্ভিদগুলিও নানারকম ভাবে জনকল্যাণকর কাজে ব্যবহার করা হয় এই দফতর থেকে।
আরও পড়ুন : মহিষাদলের রথযাত্রা দেখতে যাবেন? বিশদে জানুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
প্রাচীনকাল থেকে আদিবাসী চিকিৎসকরা ওষধি গাছ ব্যবহার করে আসছেন এবং মানবতার ঐতিহ্যগত জ্ঞানের অংশ এই ভেষজ পাঠ। ভারতবর্ষের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে ভেষজ উদ্ভিদের নাম। প্রাচীন ভারতে এই উদ্ভিদ ব্যাবহার করে এক অন্য মাত্রায় পোঁছে ছিল তৎকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা। বাঁকুড়ার মাটিও বহু প্রাচীন, রয়েছে ভেষজ ইতিহাস এবং প্রাগৈতিহাসিক ভূখণ্ড শুশুনিয়া পাহাড়। যেখানে গেলে আজও খুঁজে পাওয়া যাবে নাম না জানা বহু ভেষজ উদ্ভিদ। সেই কারণেই বাঁকুড়ার আয়ুষ ভেষজ উদ্যানগুলি একটি বিশেষ বার্তা বহন করছে।