শ্মশান কালী

Bankura News: প্রতি অমাবস্যায় বিশেষ রূপ, বাঁকুড়ার এই মহাশ্মশানে একাধিক রূপে পূজিতা কালী

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: লক্ষ্যাতড়া মহা শ্মশানে তন্ত্র মতে এবং শাস্ত্র মতে পূজিত হন ডাকাত কালী এবং শ্মশান কালী! এই দৃষ্টান্ত বিরল। বাঁকুড়ার এই বিশেষ মহাশ্মশানে চিত্রটা একেবারে অন্যরকম। একই শ্মশান প্রাঙ্গনে অমাবস্যার রাতে চলে দুই ধরনের পুজো। তন্ত্র মতে এবং শাস্ত্রমতে পূজিত হন মা কালী। ব্রিটিশ আমলে বেনারস থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল মা ভবতারিণীর মূর্তি। সেই মূর্তি পূজিত হত দাপুটে ডাকাতদের কাছে। তারপর ১৯৬৮  গন্ধেশ্বরী নদীর ওপার থেকে মায়ের মূর্তি নিয়ে আসা হয় লক্ষ্যাতড়া মহা শ্মশানে।

মা ভবতারিণীর কাছেই ভক্তরা একদম শাস্ত্রমতে পুজো দিতে পারবেন। অপরদিকে শ্মশানকালী মন্দিরে পুজো হয় তন্ত্রমতে। তাছাড়াও এই মহাশ্মশানে রয়েছেন একাধিক দেবদেবী। মা ভবতারিণীর ডান পাশে রয়েছেন শিব এবং বাম পাশে রয়েছেন বজরংবলী। শ্মশানের মাঝখানে অধিষ্ঠান করছেন মা তারা। তাছাড়া রয়েছেন শ্মশান কালী এবং সাধক বামাক্ষ্যাপার বিগ্রহ। প্রায় ৩০০-৩৫০ বছরের পুরানো কালীক্ষেত্র এটি।

আরও পড়ুন : ছোট্ট হলেও গুণে ঠাসা! ছাদে বা একফালি জমিতে এই ফল চাষ করেই মালামাল হতেন পারেন রাতারাতি

বাঁকুড়া শহরের তথা জেলার অন্যতম বড় কালী ক্ষেত্র লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশান। কৌশিকী অমাবস্যা থেকে শুরু করে কালীপুজো, এক অন্যরকম রূপ ধারণ করে এই মহাশ্মশান। আপনি যদি ঘুরে দেখতে চান তাহলে কলকাতা থেকে বাঁকুড়া চলে আসুন ট্রেন কিংবা বাস ধরে। মাত্র ৪ ঘণ্টার দূরত্ব। বাসে এলে সতীঘাট ব্রিজের কাছে নেমে, পায়ে হেঁটে ৫ মিনিটের পথ। পৌঁছে যাবেন লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশানে। আবার ট্রেনে এলে, বাঁকুড়া স্টেশনে নেমে টোটো ধরে মাত্র ১৫-২০ টাকার বিনিময়ে চলে আসুন মহাশ্মশান। এই মহাশ্মশানের সেক্রেটারি অভিজিৎ দত্ত বলেন, ‘‘শাস্ত্রমতে এবং তন্ত্রমতে পূজিত হন মা কালী। এই দৃষ্টান্ত বিরল পশ্চিমবঙ্গে।’’