ক্ষতি হওয়া জমিতেই আশার আলো দেখছে ফুল চাষিরা

Flower Farming: রিমল তাণ্ডবে ধ্বংস বাগান, হাহাকারের মধ্যেই ফুল চাষে আশার আলো

হাওড়া: হাহাকারের মাঝে আশার আলো ফুল চাষে। রিমল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড চাষের জমি। ঝড়ের দাপটে গাছের ডাল পালা ভেঙে পড়ে, বৃষ্টিতে গাছের গোড়ায় জল জমে যায়। সব মিলিয়ে সবজি ও ফুল চাষের ভালমত ক্ষতি হয়। দোপাটি, গাঁদার বাগান রিমল তাণ্ডবে কার্যত উজার হয়ে যায়। তার ওপর এই দাবদাহে গাছের কচি পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে।

এই গরমে ফুল গাছ রক্ষা করতে প্রচন্ড পরিশ্রম করতে হচ্ছে চাষিদের। তবে কিছু কৌশল নেওয়ায় অনেকেই রিমল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব সত্ত্বেও কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। প্রথমেই জমিতে জমা জল মুক্ত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়েছে ফুল চাষিদের। অপর দিকে গাছ বাঁচাতে ওষুধ স্প্রে করছেন তাঁরা। এর ফলে এখন যত তাড়াতাড়ি ফুল গাছের নতুন শিকড় জন্মাবে ততই মঙ্গল।

আর‌ও পড়ুন: সালিশি সভায় ডেকে যা হল, কী ভয়ঙ্কর…

ফুল গাছ বাঁচাতে চাষীদের এখন ডেইলি রুটিন হল, গাছের গোড়ায় মাটি দেওয়া থেকে এক-দু দিন অন্তর গাছে স্প্রে করা। এভাবেই কঠোর পরিশ্রমে পার হয়েছে পনেরোটা দিন। এমতবস্থায় হাওড়ার বাগনান রামচন্দ্রপুরের ফুল চাষের অর্ধেকেরও বেশি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত বলেই জানিয়েছেন চাষিরা। দোপাটি ও গাঁদা ফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বিপর্যয় নেমে এলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁরা লাভের মুখ দেখতে পারবেন বলে মনে করছেন চাষিরা। তাই দুর্যোগের পরেও চাষ বাঁচাতে খরচ করছে কৃষকেরা। এই প্রসঙ্গে ফুল চাষি মাধব মণ্ডল জানান, দুর্যোগের পর বেশিরভাগ ফুল গাছ’ই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে এতে সুবিধার হল, দুর্যোগের পর ফুলের দাম অনেকটা বেড়েছে। আর তাতেই ক্ষতির ধাক্কা সামলে লাভের আশা করছেন তাঁরা।

রাকেশ মাইতি