গরমে বন্যপ্রাণীদের জন্য নানা ব্যবস্থা বন দফতরের

Bardhaman Zoo: কেউ খাচ্ছে তরমুজ, কেউ ORS ! গরমে বন্যপ্রাণীদের জন্য নানা ব্যবস্থা বন দফতরের

শরদিন্দু ঘোষ, বর্ধমান: কেউ খাচ্ছে তরমুজ। কেউ ওআরএস। কেউ কেউ আবার স্নান করছে পরম আনন্দে। এই জ্বালাপোড়া গরমে অতিষ্ঠ বর্ধমানের রমণাবাগান অভয়ারণ্যের পশুপাখিরা। তাদের সুস্থ রাখতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে বন দফতর।

তীব্র দাবদাহে নাজেহাল বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্যের জীবজন্তুরা। তাদের সুস্থ রাখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পানীয় জল। সেই সঙ্গে থাকছে ফ্রুট জুস এবং ওআরএস। চিতাবাঘ, ভাল্লুককে ভাল করে স্নান করানো হচ্ছে। রয়েছে বড় ফ্যানের ব্যবস্থাও। এনক্লোজারের মাথায় রাখা হয়েছে খড়ের ছাউনি। খসখসি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বেশিরভাগ এনক্লোজার। কিছু সময় অন্তর জল দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেগুলোকে।

আরও পড়ুন– এটা ছাড়া উড়তেই পারবে না বিমান, এয়ারক্রাফ্টের পিছনের অংশকে কী বলে জানেন ?

কুমিরদের সুস্থ রাখতে পাম্প চালিয়ে জল ভরা হচ্ছে জলাশয়ে। সেইসঙ্গে চিকিৎসকরা নিয়মিত তাদের দেখভাল করছেন।চলতি গ্রীষ্মের তাপমাত্রা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। বেলা বাড়তেই গরম হওয়া বইছে। আগামী কয়েকদিন একই রকম দাবদাহ বজায় থাকবে বলে আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বন্য প্রাণীদের উপর বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষ।

বর্ধমান জেলা বন দফতরের অধীনে রয়েছে রমনাবাগান জুওলজিক্যাল পার্ক। এখানে চিতাবাঘ থেকে ভাল্লুক, হরিণ, কুমির, ময়ূর ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর পাখি রয়েছে।

এই সমস্ত প্রাণীদের গরম থেকে স্বস্তি দিতে ইতিমধ্যেই বনকর্মীরা সকাল থেকেই ব্যস্ত থাকছেন।

আরও পড়ুন– পরিচালকের কথায় গভীর রাতে হোটেলের ঘরে যাননি বলে একটি ছবির নায়িকা হওয়া ভাগ্যে জোটেনি ! ‘বিস্ফোরক’ তথ্য অভিনেত্রীর

জেলা বিভাগীয় অতিরিক্ত বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধরী বলেন, এখন পানীয় জলের সঙ্গে গ্লুকন-ডি এবং ওআরএস দেওয়া হচ্ছে সমস্ত পশু পাখিদের। শরীরকে ঠান্ডা করতে সকাল সকাল চিতা বাঘের এনক্লোজারের বাইরে থেকে পাইপে করে জল দিয়ে স্নান করানো হচ্ছে ওদের। পশু পাখিদের ছাউনির খড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, যাতে রোদের প্রখর তাপে তারা কষ্ট না পায়। এনক্লোজারের ভিতরে স্প্রিঙ্কলার মেশিনের মাধ্যমে জল ছিটিয়ে ভিজিয়ে রাখা হচ্ছে। অভয়ারণ্যের ভেতরে পুকুরগুলোয় এই গরমে জল শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই মোটর চালিয়ে পর্যাপ্ত জল ভরে দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। যাতে কুমিরদের কোনও সমস্যা না হয়।

ভাল্লুকের খাঁচায় বড় ফ্যান চালিয়ে ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে ভাল্লুকের প্রধান খাদ্য মধুর পরিমাণ কমিয়ে তরমুজ বেশি খাওয়ানো হচ্ছে। অন্যান্য পশুদের জন্যও খাদ্যতালিকায় ফলমূল ও শাক সবজির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। সর্বক্ষণ সমস্ত পশু পাখিদের ওপর নজর রেখে চলেছেন বনকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত রমনাবাগান জু – এ সমস্ত বন্যপ্রাণী সুস্থ রয়েছে। গরমের উত্তাপ না কমা পর্যন্ত আগামী কিছুদিন তীক্ষ্ণ নজরদারি রাখা হবে পশুদের উপর।