ঠিকঠাক ভাবে না খাওয়া এবং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতিও এই অবস্থার কারণ হতে পারে। যোগব্যায়াম অভ্যাস করা হলে রক্তশূন্যতার সমস্যায় তা খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। এমনিতে যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সক্ষম। আর তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। যা রক্তাল্পতা থেকে সেরে উঠতেও সাহায্য করে।

Anemia: অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন? রোজ পাতে রাখুন এই খাবার, পাবেন ভরপুর আয়রন, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়বে হু হু করে

হিমোগ্লোবিন হল এক ধরনের প্রোটিন। যা লোহিত রক্তকণিকায় পাওয়া যায়। মূলত শ্বাসতন্ত্রের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি থেকে অক্সিজেন নিয়ে তা দেহের অন্যান্য অংশে সরবরাহ করে থাকে। সেই সঙ্গে কার্বন-ডাই-অক্সাইডও শোষণ করে নেয়। তবে এক-এক জনের দেহে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এক-এক রকম। তবে রক্তে লোহিত রক্তকণিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে অ্যানিমিয়া হতে পারে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য ডায়েটে কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। সেই তালিকাই দেখে নেওয়া যাক।

পি প্রোটিন শেক:
বাজারে প্রাপ্ত প্রোটিন পাউডারের তুলনায় পি প্রোটিন শেকের মধ্যে বেশি প্রোটিন থাকে। প্রতিদিন ২০ গ্রাম করে পি প্রোটিন শেক সেবন করলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

মিন্ট লিফ জ্যুস:
আসলে পুদিনা পাতা আয়রন সমৃদ্ধ। যা দেহের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ১০০ গ্রাম পুদিনা পাতায় থাকে ১৬ মিলিগ্রাম আয়রন।

আরও পড়ুন-   বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

বিটরুট জ্যুস:
বিটরুটে থাকে পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ইত্যাদি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ১০০ গ্রাম বিটরুটে প্রায় ০.৮ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।

তিল আর খেজুরের স্মুদি:
তিল বীজ আর খেজুরের মধ্যে থাকে আয়রন। এর পাশাপাশি তিল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। তাই ভেজানো খেজুর, তিল বীজ, ঘি এবং দুধ মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন-   গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

প্রুন জ্যুস:
প্রুন হল শুষ্ক প্লাম। এটি আয়রনের দারুণ উৎস। দৈনন্দিন ডায়েটে এই খাবার যোগ করা যেতে পারে। এটি ব্লাড সুগারের মাত্রা কমাতেও সহায়ক।

আমন্ড:
আমাদের শরীরের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ড্রাই ফ্রুট হল আমন্ড। এর অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন এই আমন্ড খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ হয়। কারণ আমন্ডে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায়।

ব্রকোলি:
ব্রকোলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা দেহের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে আয়রন শোষণও উন্নত করে।