Tag Archives: anemia
Hemoglobin Level For Men-Women: শরীরে রক্ত কম? অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন? প্রতিদিন ১০মিনিট দিলেই, হবে সমস্যার সমাধান; রক্তের ঘাটতি দূর হবে নিমেষেই
Keywords: Link:
Written by: Upasana
Health Tips: পান পাতা ভেবে ভুল করবেন না, এটাই ওজন কমানোর ‘ব্রহ্মাস্ত্র’…! শরীর থেকে নিংড়ে বার করবে সুগার, এভাবে খেলেই যৌবন চাঙ্গা!
Saag: আয়রনের খনি…! দুর্ধর্ষ সুস্বাদু এই শাক ‘মহার্ঘ্য’! শিরায় শিরায় ভরে দেয় রক্ত, বাড়ায় হিমোগ্লোবিন! হুহু করে কমবে ওজন, কোলেস্টেরল
Water Spinach or Kalmi Saag Benefits: মাত্র ৫ টাকাতেই জব্দ ডায়াবেটিস! অবহেলায় বেড়ে ওঠা ‘এই’ শাক হাজারও রোগের যম! কোলেস্টেরল-অ্যানিমিয়ার মহৌষধ, মহিলাদের জন্য অমৃত…!
Health Tips: শক্তি এবং এনার্জিতে টগবগ করে ফুটবে শরীর; এক চামচ এই পাউডার সেবন করলেই হবে কামাল
সাধারণত আদিবাসীদের সুস্থ ভাবে দীর্ঘ জীবনযাপন করতে দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন জাগে যে, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা কী খান। আজ তাঁদের সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আসলে আজকের প্রতিবেদনে এমন একটি পাউডারের বিষয়ে কথা বলব, যা চালের গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়। আর তা খেতেও বেশ সুস্বাদু। এছাড়া এটি শরীরে শক্তিও জোগায়।
আরও পড়ুনঃ সন্তানকে ভুলেও টিফিনে এই ৫ খাবার দেবেন না! পেট হবে রফাদফা, চরম ক্ষতি শরীরের
ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির আপার বাজারে এই পাউডারটি পাওয়া যায়। এর নাম চকোর পাউডার। এর একটা বিশেষ বিষয় রয়েছে। আসলে এই পাউডার সেবন করলে একাধিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং শরীরও শক্ত-সবল থাকে। সেই সঙ্গে এনার্জিও থাকে তুঙ্গে। রাঁচির আপার বাজারে এই পাউডারটি বিক্রয় করেন নিধি নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন যে, আমরা আদিবাসীরা এই পাউডার প্রচুর পরিমাণে সেবন করি। মাত্র এক চামচ এই পাউডার সেবন করলে রক্তশূন্যতা এবং দুর্বলতা দূর হয়।
পাউডারটি কীভাবে তৈরি হয়?
নিধি বলেন যে, আমরা যখন আমাদের জমিতে বেগুন, আলু বা যে কোনও সবজি চাষ করি, তখন গাছের পাশে ছোট ছোট ঘাস জন্মায়। যাকে আমরা আমাদের ভাষায় চকোর বলে ডাকি। এরপর ওই ঘাসগুলি তুলে রোদে শুকিয়ে তা গুঁড়ো করে নিই। আর এটাই হল চকোর পাউডার। যার একটা আলাদাই সুগন্ধ থাকে।
তিনি আরও বলেন, “অনেকে আলুর তরকারি রান্না করার সময় এই চকোর গুঁড়ো মিশিয়ে থাকেন। ফলে এর স্বাদ হয় চমৎকার। আবার আটার সঙ্গে এই গুঁড়ো মিশিয়ে স্যুপও তৈরি করা হয়। আর সর্দি-কাশির জন্য এটি দারুণ ওষুধ হিসেবে কাজ করে। মাত্র দু’কাপ স্যুপ খেলেই নিমেষে সারবে সর্দি-কাশি। আবার এর মধ্যে থাকে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম। ফলে সেটি হাড় ও মেরুদণ্ডকে মজবুত করতে সহায়ক। আর এই কারণেই আমাদের আদিবাসীদের কাছে এটা ওষুধের চেয়ে কম নয়।”
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির আয়ুর্বেদিক ডাক্তার ভি কে পান্ডে (বিনোভা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএএমএস) Local 18-কে জানিয়েছেন যে, চকোর আসলে রাঁচির আশপাশের জঙ্গলে জন্মানো একটি স্থানীয় ঘাস। এর অনেক পুষ্টিগুণ বর্তমান। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি ছাড়াও এতে ভিটামিন বি-১৬ আর আয়রন, জিঙ্ক এবং ক্যালসিয়ামের মতো উপাদান রয়েছে। ফলে এই পাউডার আমাদের হাড় মজবুত করে। এছাড়া হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতেও সহায়ক এটি।
Anemia: অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন? রোজ পাতে রাখুন এই খাবার, পাবেন ভরপুর আয়রন, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়বে হু হু করে
হিমোগ্লোবিন হল এক ধরনের প্রোটিন। যা লোহিত রক্তকণিকায় পাওয়া যায়। মূলত শ্বাসতন্ত্রের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি থেকে অক্সিজেন নিয়ে তা দেহের অন্যান্য অংশে সরবরাহ করে থাকে। সেই সঙ্গে কার্বন-ডাই-অক্সাইডও শোষণ করে নেয়। তবে এক-এক জনের দেহে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এক-এক রকম। তবে রক্তে লোহিত রক্তকণিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে অ্যানিমিয়া হতে পারে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য ডায়েটে কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। সেই তালিকাই দেখে নেওয়া যাক।
পি প্রোটিন শেক:
বাজারে প্রাপ্ত প্রোটিন পাউডারের তুলনায় পি প্রোটিন শেকের মধ্যে বেশি প্রোটিন থাকে। প্রতিদিন ২০ গ্রাম করে পি প্রোটিন শেক সেবন করলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
মিন্ট লিফ জ্যুস:
আসলে পুদিনা পাতা আয়রন সমৃদ্ধ। যা দেহের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ১০০ গ্রাম পুদিনা পাতায় থাকে ১৬ মিলিগ্রাম আয়রন।
বিটরুট জ্যুস:
বিটরুটে থাকে পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ইত্যাদি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ১০০ গ্রাম বিটরুটে প্রায় ০.৮ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।
তিল আর খেজুরের স্মুদি:
তিল বীজ আর খেজুরের মধ্যে থাকে আয়রন। এর পাশাপাশি তিল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। তাই ভেজানো খেজুর, তিল বীজ, ঘি এবং দুধ মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
প্রুন জ্যুস:
প্রুন হল শুষ্ক প্লাম। এটি আয়রনের দারুণ উৎস। দৈনন্দিন ডায়েটে এই খাবার যোগ করা যেতে পারে। এটি ব্লাড সুগারের মাত্রা কমাতেও সহায়ক।
আমন্ড:
আমাদের শরীরের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ড্রাই ফ্রুট হল আমন্ড। এর অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন এই আমন্ড খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ হয়। কারণ আমন্ডে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
ব্রকোলি:
ব্রকোলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা দেহের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে আয়রন শোষণও উন্নত করে।