মুর্শিদাবাদ: গঙ্গার বাঁধ পেরিয়ে গঙ্গার জল গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকা বাসিন্দাদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই জলমগ্ন মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা ব্লকের মহেশপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সাঁকোপাড়া গ্রামে। অন্যদিকে জলমগ্ন রানিনগর থেকে জলঙ্গি সর্বত্রই।
বেশ কিছু দিনের টানা বৃষ্টির ফলে বেড়েছে নদীর জল। জল ঢুকে প্লাবিত একাধিক এলাকা৷ ফলে পুজোর মুখে আবারও বন্যার ভ্রুকুটি রাজ্যে। অনেকেরই আশঙ্কা, এবারের পুজোয় হয়তো নৌকা ডিঙ্গি নিয়েই কাটাতে হবে তাঁদের। তবে প্লাবিত এলাকাগুলিতে নজর রাখছে প্রশাসন। মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা ব্লকের মহেশপুর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে গঙ্গার পাড়ে বালির বস্তা ফেলা হয়েছে জল আটকানোর জন্য। সাঁকোপাড়া গ্রামে গঙ্গার বাঁধ পেরিয়ে জল ঢুকে যাওয়ার ফলে জলমগ্ন সাঁকোপাড়া গ্রাম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে গ্রামবাসীরা। ফলে পুজোর আগে প্লাবিত একের পর গ্রাম।
ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার আরডি দেশ পান্ডে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, গত বছরের অগাষ্ট মাসের তুলনায় এই বছর তার চেয়ে বেশি জল আপ ইস্টিমটিকে আসছে। ফারাক্কা বাঁধের যতটুকু জল ধরে রাখার ক্ষমতা আছে তার বেশি জল এলে ছেড়ে দিতে বাধ্য ডাউন স্টিমে। ফলে বিভিন্ন এলাকায় জলমগ্ন হচ্ছে।
তবে শুধু ফারাক্কা নয়, জলস্তর বৃদ্ধি হতেই মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা, রানিনগর ও জলঙ্গি ব্লকের সীমান্তবর্তী সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। ভগবানগোলার নির্মল চর, রানিনগরের মালিবাড়ি ১, কালীনগর ১, কাতলামারী ১ ও ২, রাজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত জলঙ্গি ব্লকের সাহেবনগর, সাগরপাড়া, ঘোষপাড়া ও জলঙ্গি ও চোঁয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে হাজার-হাজার বিঘার কলাই ও একানি ফসল জলের তলায় চলে গিয়েছে। যা থেকে আর দাম পাওয়া সম্ভব নয় বলেই দাবি চাষীদের। ফলে দুর্গাপুজোর আগে মাথায় হাত এখন বন্যার কবলে পড়া গ্রামের বাসিন্দাদের।
কৌশিক অধিকারী